190 বার পঠিত
প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২২ ইং এর চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যোৎসাহীর সনদপত্র পেলেন সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম খোকন । সে উপজেলার ৪০নং ব্রাহ্মণচক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিদোৎসাহী সদস্য ও সভাপতি। ২৩ নভেম্বর বুধবার দুপুরে উপজেলার অডিটরিয়ামে উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে তাকে সনদপত্র দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরের উপজেলা শিক্ষা অফিসে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের শ্রেষ্ঠ বিদ্যোৎসাহী সমাজকর্মী বাছাই কমিটি’র সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সাকাৎকারে শিক্ষার মানোন্নয়নসহ বিভিন্ন জড়িপে ৪০ নং ব্রাহ্মণচক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিদোৎসাহী সদস্য ও সভাপতি সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম খোকনকে লিখিতভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার ১৮৮ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জড়িপ চালিয়ে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি, স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবহারে উদ্বোদ্ধ করা, বাথরুম নির্মান, বিদ্যালয়ে ওয়াল তৈরী ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখায় অবদান, বিদ্যালয়ে সৌন্দর্য বর্ধনে ফুল ও ফলজবৃক্ষ রোপণ, খেলা-ধূলার সামগ্রী বিতরণ, কাব দল গঠনসহ ব্যাক্তিগত অর্থায়নে বিদ্যালয় সমূহ ও শিক্ষার্থীদের মানোন্নয়নে মধ্যে সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়ে শ্রেষ্ঠ বিদ্যোৎসাহী নির্বাচিত হন।
তিনি ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, কলামিস্ট, সমাজ সেবক, মানবাধিকার কর্মী ও সংগঠক। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন,,আমি শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করেছি। বিশেষ করে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারগন, বিদ্যালয়ের শিক্ষক ম্যানেজিং কমিটি, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকার সর্বস্তরের মানুষের সার্ভিক সহযোগীতা পেয়েছি। আমার একাজে স্থানীয় সাংসদ এ্যাড. নূরুল আমিন রুহুল এমপি, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস, দূর্গাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান দেওয়ান আবুল খায়ের ও স্থানীয় সাংবাদিকগন ও রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ আমাকে উৎসাহ, অনুপ্রেরণা ও সহযোগীতা করেছে।
আমি সরকারি সকল জাতীয় দিবসে উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের উৎসাহ যুগেয়েছি। বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ, মহামারি করোনাকালীন সময়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে মাস্ক ও স্যানেটাশন বিতরণ, অভিভাবকদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী এবং বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ঔষধ দিয়েছি। এছাড়াও বৃক্ষ রোপণ, পরিস্কার পরিছন্ন, মাঠ ভরাট, শ্রেণি কক্ষ বৃদ্ধি, শহীদ মিনার নির্মাণ, শিক্ষকদের তদারকি, মা সমাবেশ, ফলাফল বৃদ্ধি, খন্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগ, সীমান নির্ধারণসহ আরো অসংখ্য কাজ করেছি।
এছাড়াও মাদ্রাসার এতিম শিক্ষার্থীদের মাঝে কম্বল বিতরন, পথ শিশুদের মাঝে ঈদবস্ত্র বিতরন, কিশোরীদের মাঝে স্বাস্থ্য সামগ্রী বিতরণ, রাস্তার মোড়ে ও কবরস্থানে সৌরবিদ্যুত স্থাপন, মসজিদ, মাদ্রাসা ও ঈদগাঁয়ে অনুদানসহ বিভিন্ন সামাজিক কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছি। যতদিন বাঁচবো ততদিন মানব সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখবো ইনশাআল্লাহ।