1. admin@daynikdesherkotha.com : Desher Kotha : Daynik DesherKotha
  2. arifkhanhrd74@gmail.com : desher kotha : desher kotha
  3. mdtanjilsarder@gmail.com : Tanjil News : Tanjil Sarder
দাফনের পর জীবিত উদ্ধার, আদালতে জবানবন্দির পর আবার লাপাত্তা হাসি বেগম - দৈনিক দেশেরকথা
বুধবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:১৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ব্যারিস্টার সুমনকে শোকজ রমজান মাস উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার: বাণিজ্যমন্ত্রী কিশোরগঞ্জে স্বাস্থ্য-পুষ্টি এবং ওয়াস বিষয়ক ২দিনের মৌলিক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ইবিতে প্রভোস্ট কোয়াটারে নিরাপত্তা সংকটে শিক্ষকেরা, চুরির ঘটনা অনাকাঙ্খিত  কুয়াকাটায় পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে নিষিদ্ধ চরঘেরা জাল এবার রাজধানীর মানিকনগরে ৩ বাসে আগুন নির্বাচনে বিদেশিদের চাপ প্রয়োগের অধিকার নেই: ইসি নবীনগরের ঐতিহ্য সংরক্ষণে জোবাইদ মোমেনের ডিজিটাল প্লাটফর্ম নবীনগরের অ্যালবাম দিঘীনালার লম্বাছড়ায় জেলা প্রশাসন স্কুল এন্ড কলেজ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ইবিতে কাম ফর রোড চাইল্ডের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

দাফনের পর জীবিত উদ্ধার, আদালতে জবানবন্দির পর আবার লাপাত্তা হাসি বেগম

শিমুল তালুকদার
  • প্রকাশ বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

 180 বার পঠিত

‘দাফনের’ দুই দিন পর ভিডিও ফোন করে জীবিত থাকার কথা জানানো ফরিদপুরের সদরপুরের সেই নারী হাসি বেগম (২৪) আবার লাপাত্তা হয়েছেন। আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার পর পুলিশ ওই নারীকে তাঁর বাবার কাছে বুঝিয়ে দেন। ২৭সেপ্টেম্বর বুধবার বেলা চারটার দিকে আদালত চত্বর থেকে উধাও হন হাসি বেগম।

হাসি বেগমের বাবা সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের শৌলডুবী গ্রামের হাবিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কোর্ট থেকে জবানবন্দির নেওয়ার পরে সদরপুর থানার পুলিশ হাসিকে আমার জিম্মায় দিয়েছিলো। পরে আমি হাসিকে রেখে বাথরুমে যাই, এসে দেখি হাসি নেই। হাসিকে না পেয়ে আমি কোর্টের বিভিন্ন জায়গায় অনেকক্ষণ খোজাখুজি করে, ক্লান্ত হয়ে যাই। কিন্তু এক থেকে দেড় ঘন্টা খোজাখুজি করেও হাসিকে পাইনি। এরপর সন্ধ্যা হয়ে গেলে আমি বাড়ির দিকে চলে আসি।

হাসি বেগমের কথিত লাশ শনাক্তের পর ২২ সেপ্টেম্বর তাঁর বাবা হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে জামাতা মোতালেব শেখকে আসামি করে সদরপুর থানায় ‘পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ গুম করার’ অভিযোগে একটি মামলা করেন। মামলার পর মোতালেবকে আটক করে পুলিশ। এরই মধ্যে গত সোমবার হাসি বেগমকে জীবিত উদ্ধার করে পুলিশ। পরে মোতালেবকে ছেড়ে দেওয়া হয়। হাসিকে উদ্ধারের পর হত্যা মামলার চার্জসিট দেওয়ার উদ্যোগ নেয় পুলিশ। এরই অংশ হিসেবে বুধবার দুপুরের দিকে হাবিবুর রহমান ও হাসিকে আদালতে আনা হয়। সেখানে হত্যা মামলার বাদী হাবিবুর ও ভিকটিম হাসি বেগমের জবানবন্দি নেওয়া হয়।

সদরপুর আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মনি মোহন সিং বলেন, সদরপুর থানায় করা হত্যা মামলাটি মিথ্যা। গত ২২ তারিখে করা মামলাটি শেষ করতে বাদী ও ভুক্তভোগীর জবানবন্দি নথিভুক্ত করেছেন আদালত। মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ৪ অক্টোবর।

সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুন আল রশিদ বলেন, হাসিকে জীবিত উদ্ধারের পর হত্যা মামলাটি অর্থহীন হয়ে পড়ায় সেটির চার্জসিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ। এই কারনে আদালতে বাবা ও মেয়ের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। জবানবন্দির পর হাবিবুরের কাছে তার মেয়েকে বুঝিয়ে দেয় পুলিশ।

ওসি আরও বলেন, হাসি বেগম পুলিশকে জানিয়েছেন, ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইলের ওই তরুণকে তিনি বিবাহ করেছেন। কিন্তু তার এই কথা মূল্যহিন। এই কারণেই তিনি বিবাহিত এবং তার প্রথম স্বামী মোতালেবকে তিনি তালাক দেয়নি। হাসি বেগমের সঙ্গে তাঁর স্বামীর বয়সের ব্যবধান অনেক। ২৭ সেপ্টম্বর বুধবার বিকেলে কোর্টের জবানবন্দির পর হাসি বেগমকে তাঁর বাবার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। এরপর হাসি বেগম কোথায় গেছেন, তা পুলিশের জানা নেই।

দেশেরকথা/বাংলাদেশ

এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা

এই সাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।কপিরাইট @২০২২-২০২৩ দৈনিক দেশেরকথা কর্তৃক সংরক্ষিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park