160 বার পঠিত
বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী নগরী ঢাকা। ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিতে পরিপূর্ণ ঢাকা। এখানে বাস কারতো অনেক জমিদার ও নবাব। তাদের বাসস্থান, ব্যবহৃত জিনিসপত্র এখন দর্শনীয় হয়ে আছে। এর মধ্যে নবাববাড়ি, আহসান মঞ্জিল, বাহাদুর শাহ পার্ক, লালবাগ কেল্লা, বিনত বিবির মসজিদ, নারিন্দা হলুদ মসজিদ ভ্রমণ পিপাসু মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। কিন্তু এসব নিদর্শন দেখতে প্রতি বছর অনেক মানুষের ভিড় জমে। দেশি পর্যটক ছাড়াও অনেক বিদেশি পর্যটক আসে পুরান ঢাকার ইতিহাস ও ঐতিহ্য দেখতে।
ঢাকায় প্রচলন শুরুর সময়ে ‘ঠিকা গাড়ি’ নামে পরিচিত ছিল ঘোড়ার গাড়ি। আগে ঘোড়ার গাড়ি নিত্যদিনের সঙ্গী হলেও আধুনিকতার ছোঁয়াতে ঘোড়ার গাড়ির সঙ্গে কমে গেছে এর যাত্রীও।প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে এই ঘোড়ার গাড়ি। অনেক মানুষ ঘোড়ার গাড়িতে চড়ার জন্য পুরান ঢাকায় আসে। প্রাচীন কালে যখন যন্ত্রচালিত বাহন ছিল না, তখন মানুষ পশুচালিত গাড়িতে করে একস্থান থেকে অন্যস্থানে যাতায়াত করতো। শুধু তাই নয়, জমিদার ও নবাবের বাহন ছিল এটি। কিন্তু এটি বর্তমানে শুধু পুরান ঢাকাতে পাওয়া যায়। প্রাচীন রাজধানী শহর পুরান ঢাকার সদরঘাট থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত যায়। কিন্তু ভাড়া একটু বেশি লাগে। জনপ্রতি ৩০ টাকা করে ভাড়া লাগে। এতে প্রায় ১০-১২ জন যাত্রী বসতে পারে। আর এই গাড়িতে চড়ার আনন্দ আলাদা। যেখানে মানুষ বাস, রিকশা, সিএনজি তে করে যাতায়াত করছে, আর ঘোড়ার গাড়ি চড়ার অভিজ্ঞতা একটু ভিন্ন। এতে চড়ে আশেপাশের সব দেখা যায়। উন্মুক্ত গাড়িতে বসে খোলা আকাশের নিচে টগবগিয়ে এগিয়ে যায়। তবে রূপকথার গল্পেও অনেক শুনলেও বাস্তবে দেখা যাবে পুরান ঢাকায়। যেমন পঙ্ক্ষিরাজ ঘোড়া, রাজপুত্রের টগবগিয়ে চলা ঘোড়া। কিন্তু আধুনিকতার যুগে ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে ঘোড়ার গাড়ি, যা স্থানীয় ভাষায় টমটম নামে পরিচিত।
মোঃ আবদুল্লাহ আলমামুন
সমাজবিজ্ঞান বিভাগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়