205 বার পঠিত
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) খালগুলোতে নৌপথ চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ঢাকা শহরের যানজট নিরসনে ও পরিবেশ রক্ষায় ডিএনসিসির আওতাধীন খালগুলোতে নৌপথ চালু করা হবে। হাতিরঝিলের আদলে মিরপুরের রূপনগর খাল দিয়ে তুরাগ নদী পর্যন্ত নৌপথ চালু করা হবে।আজ রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে ক্লাইমেট পার্লামেন্ট আয়োজিত প্যানেল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মেয়র এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, রূপনগর খালে মোট ১১টি ব্রিজ রয়েছে। সেগুলোকে আর্চ ব্রিজ নির্মাণের মাধ্যমে এই পথে নৌযান চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে। এই শহরকে বাঁচাতে ন্যাচার বেজড সলিউশন করতে হবে। নৌপথ চালুর মাধ্যমে যানজট যেমন কমবে সেই সঙ্গে পরিবেশ দূষণ রোধ করা সম্ভব হবে।
ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেন, ‘গুলশান, বনানী ও বারিধারা অনেকটা ম্যানহাটন শহরের মতোই অভিজাত ও ব্যয়বহুল। কিন্তু এটি অত্যন্ত দুঃখজনক এসব এলাকায় কোটি কোটি টাকা খরচ করে বাড়ি বানালেও সুয়ারেজের ব্ল্যাক ওয়াটারের সংযোগ আমাদের সারফেস ড্রেনে দিয়ে রেখেছে। অভিজাত এলাকায় পয়োবর্জ্যের অবৈধ সংযোগ দুঃখজনক। অল্প টাকা খরচ করে সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট করেনি।’
বায়ু দূষণ রোধে করণীয় বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘বায়ু দূষণ রোধে সিটি করপোরেশন থেকে ব্রাউজার দিয়ে পানি ছিটানো হয়। নির্মাণকাজের সময় সৃষ্ট ধুলা যেন বায়ু দূষণ না করে সে বিষয়ে আমরা ডেভেলপার কোম্পানিগুলোর সঙ্গে সভা করেছি। পাশাপাশি সারফেস ড্রেনে দেওয়া পয়োবর্জ্যের সংযোগের ফলেও পানি দূষণের সঙ্গে বায়ু দূষণও হচ্ছে। তাই অনসাইটে স্যানিটেশন ব্যবস্থা জরুরি। আমরা পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপণে গুরুত্বারোপ করেছি। ইলেকট্রিক স্কুল বাস চালুর পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে।’
শক্তি ফাউন্ডেশনের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ইমরান আহমেদের সঞ্চালনায় প্যানেল আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্টের নির্বাহী পরিচালক ড. এস এম মনজুরুল হান্নান খান, ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ইকোনমিক অফিসার এমি চ্যাশ, সুইডেন দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি ড্যানিয়েল নোভাগ, বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র নগর পরিবহন বিশেষজ্ঞ ক্যাটালিনা ওচুয়া, আইসিডিডিআরবি’র প্রজেক্ট কো–অর্ডিনেটর ডা. মো. মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।