1. admin@daynikdesherkotha.com : Desher Kotha : Daynik DesherKotha
  2. arifkhanhrd74@gmail.com : desher kotha : desher kotha
  3. mdtanjilsarder@gmail.com : Tanjil News : Tanjil Sarder
রাজীবপুরের বীরপ্রতীক তারামন বিবির তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে নেই কোন কর্মসূচি - দৈনিক দেশেরকথা
শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:১৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ভারতের সাথে বাণিজ্যে রুপিতে লেনদেনে ব্যবসায়ীদের কতটা কাজে আসছে? পূর্ণাঙ্গ রূপ পেতে যাচ্ছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ এবার প্রেমে পাগল কর্ণিয়ার নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করা হলে ,বাংলাদেশও নিষেধাজ্ঞা দেবে: প্রধানমন্ত্রী অলৌকিকভাবে বেঁচে গেল বিদ্যুৎস্পৃষ্ট সেই ৭ মাসের শিশু হোসাইন অধ্যাপক ড. নাছির উদ্দীন আযহারীর “ইন্টারনেটে বিবাহ ও বিচ্ছেদ” সামাজিক দিকনির্দেশনামূলক বই প্রকাশ মিরপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিশু সহ ৪ জনের মৃত্যু, বিদ্যুৎ বিভাগের দুঃখ প্রকাশ ইবির প্রধান ফটকের সামনে ট্রাক চাপায় ১জন নিহত হয়েছে   বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধাকরাদের ভিসার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র দূর্গাপূজা উপলক্ষে কলকাতায় কত টাকায় বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশি ইলিশ

রাজীবপুরের বীরপ্রতীক তারামন বিবির তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে নেই কোন কর্মসূচি

ইউনুছ
  • প্রকাশ বুধবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২১

 69 বার পঠিত

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি> আজ একাত্তরের রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা বীরপ্রতীক তারামন বিবির তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৮ সালের আজকের এই দিনে তিনি কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলায় নিজ বাড়িতে মারা যান।
মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার (১ ডিসেম্বর) তার গ্রামের বাড়ী রাজীবপুর উপজেলার কাচারীপাড়া গ্রামের বাড়িতে বাদ মাগরিব পারিবারিকভাবে ও বাদ আছর কুড়িগ্রামের অারাজী পলাশবাড়ী এলাকার গুচ্ছ পাড়া গ্রামের বাড়ীতে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার ছেলে আবু তাহের ও বীরপ্রতীক তারামন বিবির ভাই হাসান মিয়া।
তারামন বিবির ভাই হাসান মিয়া আক্ষেপ করে বলেন, গত বছরের এই দিনে বোনের দ্বিতীয় মৃত্যু বার্ষিকীতে সেসময়ের জেলা প্রশাসক ও ইউএনও মহোদয়কে বাড়িতে দাওয়াত করেছিলাম। কিন্তু উনারা অাসেননি। এতে খুবই কষ্ট পেয়েছিলাম। তাই এবারও অার পূর্বের মত করে অায়োজন করব না। তাছাড়া অামি নিজেই অত্যন্ত গরীব মানুষ।
তারামন বিবি ছিলেন রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নের শংকর মাধবপুর গ্রামের প্রয়াত আব্দুস সোবহানের সাত ছেলেমেয়ের মধ্যে তৃতীয় কন্যা সন্তান। তিনি লেখাপড়ার সুযোগ পাননি। অন্যের বাড়িতে কাজ করতেন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে রান্না করতেন ১৪ বছর বয়সী তারামন। রান্না করতে করতে অস্ত্র চালাতে শেখেন। তারপর রান্নার খুন্তি ফেলে রাইফেল হাতে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে অংশ নেন সম্মুখ সমরে।
মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য তাকে বীরপ্রতীক খেতাব দেওয়া হলেও সে কথা তিনি দীর্ঘ ২৫ বছর জানতে পারেননি। ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক বিমল কান্তি দে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান আলী এবং রাজিবপুর কলেজের সহকারী অধ্যাপক আব্দুস সবুর ফারুকীর সহায়তায় তাকে খুঁজে বের করেন। এরপর ১৯৯৫ সালের শেষ দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে বীরপ্রতীক খেতাবের পদক তুলে দেওয়া হয়। বীরপ্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত মাত্র দু’জন নারীর মধ্যে একজন হচ্ছেন তারামন বিবি।তারামন বিবির জন্ম ১৯৫৭ সালে কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলার শংকর মাধবপুর গ্রামে। ১৯৭১ সালে তারামন বিবি ১১নং সেক্টরে নিজ গ্রামে ছিলেন।
তখন ১১নং সেক্টরের নেতৃত্বে ছিলেন সেক্টর কমান্ডার আবু তাহের। মুহিব হাবিলদার নামে এক মুক্তিযোদ্ধা তারামন বিবিকে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য উৎসাহিত করেন। যিনি তারামনের গ্রামের পাশের একটি ক্যাম্পের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি তারামনকে ক্যাম্পে রান্নাবান্নার জন্য নিয়ে আসেন। তখন তারামনের বয়স ছিল মাত্র ১৩ কিংবা ১৪ বছর। পরবর্তীতে তারামনের সাহস ও শক্তির পরিচয় পেয়ে মুহিব হাবিলদার তাকে অস্ত্র চালনা শেখান। এরপর একদিন দুপুরের খাবার খাওয়ার সময় তারামন ও তার সহযোদ্ধারা জানতে পারেন পাকবাহিনীর একটি গানবোট তাদের দিকে আসছে। তারামন তার সহযোদ্ধাদের সঙ্গে যুদ্ধে অংশ নেন এবং তারা শত্রুদের পরাস্ত করতে সক্ষম হন। এরপর তারামন অনেক সম্মুখযুদ্ধে পুরুষ মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে অংশ নেন। এ কারণে ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে।
বীর প্রতীক তারামন বিবির ছেলে আবু তাহের জানান, বীরপ্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত মাত্র দু’জন নারীর মধ্যে একজন হচ্ছেন অামার তারামন বিবি। একাত্তরের রণাঙ্গনের এই মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে নিজ উদ্যোগে পারিবারিকভাবে রাজীবপুরের বাড়ীতে বাদ মাগরিব মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছি। রাজীবপুরের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার অাব্দুল হাই সরকার বলেন, বীর প্রতীক তারামন বিবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের কোন আনুষ্ঠানিকতা নেই।
এ বিষয়ে রাজীবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অমিত চক্রবর্তী জানান, বীরপ্রতীক তারামন বিবির তৃতীয় বার্ষিকী উপলক্ষে এখন পর্যন্ত সরকারী কোন নির্দেশনা নেই।তিনি বলেন, ‘আমি আনঅফিসিয়ালি বাদ জোহর উনার বাড়ীতে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করব’।

দেশেরকথা/বাংলাদেশ

এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা

এই সাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।কপিরাইট @২০২২-২০২৩ দৈনিক দেশেরকথা কর্তৃক সংরক্ষিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park