51 বার পঠিত
আজ সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) জেলা প্রশাসক সম্মেলনে জ্বালানি বিভাগের অধিবেশন শেষে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
গরমে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম তাপমাত্রায় এসি চালানো যাবে না বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।
তিনি বলেন, ‘আগামী গ্রীষ্ম মৌসুমে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম তাপমাত্রায় শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) চালানো যাবে না। যদি কেউ সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে কম তাপমাত্রায় এসি চালায়; তাহলে সেই প্রতিষ্ঠান, সংস্থা বা ব্যক্তির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে। পাশাপাশি আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।’
আজ সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) জেলা প্রশাসক সম্মেলনে জ্বালানি বিভাগের অধিবেশন শেষে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে বাণিজ্য উপদেষ্টাকে চিঠি দেওয়া হবে, যাতে বেসরকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে এ সিদ্ধান্ত জানায়। ধর্ম উপদেষ্টাকে চিঠি দেওয়া হবে যাতে মসজিদের ইমামদের অনুরোধ করেন যে, ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম তাপমাত্রায় শীতাতপ যন্ত্র না চালান। কেবিনেট ডিভিশনের সচিবকে ডিও দিয়ে সচিবালয়সহ সরকারি প্রতিষ্ঠানে এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গ্রীষ্ম মৌসুমে লোডশেডিং কমানোর জন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ শীত মৌসুমে দেশে বিদ্যুতের চাহিদা থাকে ৯০০০ মেগাওয়াট। কিন্তু গ্রীষ্ম মৌসুমে চাহিদা বেড়ে ১৭০০০ থেকে ১৮০০০ মেগাওয়াট হয়ে যায়।’
জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ‘দুটো কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যায়, তার একটি হচ্ছে সেচ। সেচে ২০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ লাগে। এটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, সেটা আমরা দিতে চাই। এর বাইরে ৬০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ লাগে শুধু শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র চালানোয়। এসি এখন শুধু শহরে নয়, গ্রাম পর্যন্ত ব্যবহার হয়। অনেকে সোয়েটার, কোট পরে ১৯,২০,২১,২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসেও এসি চালায়। আমাদের দেশে এত কম তাপমাত্রার দরকার নেই।’
তিনি বলেন, ‘এজন্য এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটা বাস্তবায়নে বিদ্যুৎ সরবরাহ ও বিতরণ কোম্পানিগুলো মনিটরিং টিম গঠন করবে। কোনো লাইনে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার দেখা গেলে সেখানে লোডশেডিং করা হবে।’