33 বার পঠিত
গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসার জন্য প্রত্যেককে ইউনিক আইডি বা স্বতন্ত্র পরিচয়পত্র দেবে সরকার। ওই আইডি দেখিয়ে দেশের সব সরকারি হাসপাতালে বিনা মূল্যে চিকিৎসা পাওয়া যাবে। এ ছাড়া যেসব বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে সরকারের চুক্তি থাকবে সেখানেও বিনা মূল্যে চিকিৎসা পাবেন তারা।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-জনতার সঙ্গে ছয় উপদেষ্টার বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম, যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, আহত যোদ্ধাদের ইউনিক আইডি কার্ড থাকবে। সব সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে তারা সারা জীবন বিনামূল্যে সেবা পাবেন। যেসব বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে সরকারি চুক্তি থাকবে সেখানেও বিনামূল্যে সেবা পাবেন তারা। ১৭ নভেম্বরের পর সাপোর্ট সেন্টার থাকবে। সেখান থেকে সব ধরনের সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। আহতদের চিকিৎসায় সব সরকারি হাসপাতালে বেড ডেডিকেটেড থাকবে। ঢাকার সব হাসপাতালকে একটি নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে। ডিসেম্বরের মধ্যে সব প্রক্রিয়া শেষ করা হবে। এ বিষয়ে গাফিলতি কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না।
এরআগে বৈঠকে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার, উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম, যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।
ওই বৈঠকে ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম, আন্দোলনে শহীদ মুগ্ধ’র জমজ ভাই ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ অংশ নেন। এছাড়া ওই বৈঠকে শতাধিক আহত ছাত্র-জনতা উপস্থিত ছিলেন।
বেলা ২টায় বৈঠক শুরু হওয়ার কথা থাকলেও নিজেদের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে প্রায় আড়াই ঘণ্টা দেরি করে বৈঠক শুরু হয়।
এর আগের বুধবার (১৩ নভেম্বর) আহতদের দেখতে গিয়ে আগারগাঁওয়ে পঙ্গু হাসপাতালে তোপের মুখে পড়েন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা। এদিন দুপুর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখেন আহতরা। আহতদের চিকিৎসা, অনুদানের দাবিতে তারা ওই আন্দোলন করেন। পরে চার উপদেষ্টা গিয়ে তাদের সবাইকে নিয়ে মন্ত্রণালয়ে সভা করে তাদের দাবিগুলো সমাধানের আশ্বাস দিলে তারা রাস্তা ছেড়ে দেন।