160 বার পঠিত
কিশোরগঞ্জ কটিয়াদী উপজেলার গাউছিয়া রাহমানিয়া হোছাইনিয়া আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্রে বাংলা ১ম পত্রের দাখিল পরীক্ষা চলাকালীন দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট খানজাদা শাহরিয়ার বিন মান্নান আকস্মিকভাবে কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে সন্দেহজনকভাবে একজন পরীক্ষার্থীর পরিচয় যাচাইকালে জানতে পারেন যে, মূল পরীক্ষার্থীর বদলে একজন ভূয়া পরীক্ষার্থী প্রক্সি দিতে এসেছেন।
ঐ পরীক্ষার্থীকে আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদকালে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এবং পুনরায় উপস্থিত পরীক্ষার্থীদের নিরীক্ষণ করে আরও ৫ জন ভূয়া পরীক্ষার্থী সনাক্ত হয়।
অনুসন্ধানে জানা যায় যে, হাকিমিয়া হাবিবিয়া গাউসপাক মহিলা দাখিল মাদ্রাসার অংশগ্রহণকারী ৬ জন পরীক্ষার্থীর স্থলে উক্ত প্রতিষ্ঠানের সুপার মো. সোলাইমান এবং সহকারি মৌলভী মো. সাদেকুর রহমানের পরিকল্পনা এবং যোগসাজশে অন্য একটি কওমী মাদ্রাসার ৬ জন ভূয়া পরীক্ষার্থী সাজিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেওয়া হয়।
বিষয়টি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এবং অভিযুক্তগণ তাদের দোষ স্বীকার করে নেওয়ায় উল্লিখিত ৬ জন মূল পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয় এবং ভূয়া পরীক্ষার্থী সাজানোর কাজে জড়িত থাকায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে হাকিমিয়া হাবিবিয়া গাউসপাক মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. সোলাইমানকে ০৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং সহকারি মৌলভী মো. সাদেকুর রহমানকে ০৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। ৬ জন ভুয়া পরীক্ষার্থী অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের মুচলেকাগ্রহণপূর্বক কেন্দ্রসচিবের জিন্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
কারাদন্ডপ্রাপ্ত দুইজন আসামীকে কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।