1. admin@daynikdesherkotha.com : Desher Kotha : Daynik DesherKotha
  2. arifkhanjkt74@gamil.com : arif khanh : arif khanh
  3. alaminjhalakati@gmail.com : Al-Amin Khan : Al-Amin Khan
৩ ডিসেম্বর ঠাকুরগাঁও পাক হানাদার মুক্ত দিবস - দৈনিক দেশেরকথা
শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্বৈরাচার পতনে বাক স্বাধীনতা  ফিরে পেয়েছে গণমাধ্যম কিশোরগঞ্জে স্মরণকালের জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন !   পটুয়াখালী গলাচিপায় ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিশাল জনসভা ৪৯ দিনে কুরআন হিফয করায় বিস্ময় শিশু হাবিবুর রহমানকে ছাত্রশিবিরের সংবর্ধনা সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু ৬ দিনের রিমান্ডে ঝালকাঠিতে আমুকে লবণ চোর শনাক্ত করলেই এককেজির প্যাকেট লবণ উপহার জরায়ু মুখে ক্যান্সার প্রতিরােধে ঝালকাঠিতে  কন্যা শিশুদের জন্য এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তৎপরতা বৃদ্ধি আমরা সংস্কারের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ চাই : ইবি ভাইস চ্যান্সেলর আমির হোসেন আমু গ্রেপ্তার ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন আপনার সঙ্গে আছে’ পর্যটক সমাগম স্বাভাবিক হলে সংকট কাটিয়ে উঠার  প্রত্যাশা পর্যটন সংশ্লিষ্টদের 

৩ ডিসেম্বর ঠাকুরগাঁও পাক হানাদার মুক্ত দিবস

মোঃ ইলিয়াস আলী
  • প্রকাশ শুক্রবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২১

 127 বার পঠিত

১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর এইদিনে ঠাকুরগাঁও মহকুমায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মরণপণ লড়াই আর মুক্তিকামী জনতার দুর্বার প্রতিরোধে পরাজিত হয় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। মুক্তিযোদ্ধা ও সর্বস্তরের জনগণ ওই দিন ভোরে ঠাকুরগাঁও শহরে প্রবেশ করে বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে দেন। পাক হানাদার মুক্ত হয় ঠাকুরগাঁও ৷

হানাদারদের পরাজয়ের পর এ এলাকার সর্বত্রই ছড়িয়ে পড়ে মুক্তির উল্লাস। আনন্দে উদ্বেলিত কণ্ঠে জয়বাংলা ধ্বনি আর হাতে প্রিয় স্বদেশের লাল-সবুজ পতাকা নিয়ে ছুটোছুটি করতে থাকে সবাই। ২৫ মার্চের পর দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে মুক্তিযুদ্ধ। শুরু থেকে পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়াকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে মুক্তাঞ্চল। সেখান থেকে পরিচালিত হয় চূড়ান্ত লড়াই। ১৫ এপ্রিলের পর ঠাকুরগাঁও এলাকায় শুরু হয় হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, লুটপাট আর বাড়ি ঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জাটিভাঙ্গা ও রানীশংকৈল উপজেলার খুনিয়াদীঘি পাড়ে মুক্তিকামী লোকজনকে নির্বিচারে হত্যা করা হয়। ১৭ এপ্রিল জগন্নাথপুর, গড়েয়া শুখাপনপুকুরী এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েক হাজার মুক্তিকামী মানুষ ভারত অভিমুখে যাওয়ার সময় স্থানীয় রাজাকাররা তাদেরকে জড়ো করে মিছিলের কথা বলে পুরুষদের লাইন করে পাথরাজ নদীর তীরে ব্রাশ ফায়ার করে হত্যা করে।

একইভাবে রানীশংকৈল উপজেলার খুনিয়াদিঘীর পাড়ে গণহত্যা চালানো হয়। হরিপুর ও রানীশংকৈল উপজেলার নিরীহ মানুষজনকে পাকবাহিনী ধরে এনে লাইন করে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করা হতো। মানুষের রক্তে এক সময় লাল হয়ে উঠে ওই পুকুরের পানি। পরবর্তীতে এ পুকুর খুনিয়াদিঘি নামে পরিচিত পায়।ঠাকুরগাঁওয়ে মুক্তি বাহিনীর সাথে পাকিস্তানী বাহিনীর সম্মুখ যুদ্ধ শুরু হয় জুলাই মাসের প্রথম দিকে। প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত গেরিলারা হানাদার বাহিনীর ঘাটির উপর আক্রমণ চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতি করে। বেশ কিছু ব্রিজ ও কালভার্ট উড়িয়ে দেয় তারা। দালাল রাজাকারদের বাড়ি ও ঘাটিতে হামলা চালায়। নভেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে মুক্তিযোদ্ধারা ব্যাপক অভিযান চালায়।

মুক্তি বাহিনীর যৌথ অভিযানে পঞ্চগড় মুক্তিবাহিনীর দখলে আসলে পাকবাহিনীর মনোবল ভেঙ্গে যায়। এরপর ভারতীয় মিত্রবাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর যৌথ আক্রমণ শুরু হয় ঠাকুরগাঁও অঞ্চলে। মিত্রবাহিনী যাতে ঠাকুরগাঁও দখল করতে না পারে সেজন্য পাকসেনারা ৩০ নভেম্বর ভূল্লী ব্রিজ উড়িয়ে দেয়। তারা সালন্দর এলাকায় সর্বত্র বিশেষ করে ইক্ষু খামারে মাইন পুতে রাখে। মিত্রবাহিনী ভূল্লী ব্রিজ সংস্কার করে ট্যাংক পারাপারের ব্যবস্থা করে।

১ ডিসেম্বর ভূল্লী ব্রিজ পার হলেও মিত্রবাহিনী যত্রতত্র মাইন থাকার কারণে ঠাকুরগাঁও শহরে ঢুকতে পারেনি। ওই সময় শত্রুদের মাইনে দুটি ট্যাংক ধ্বংস হয়ে যায়। এরপর এফ এফ বাহিনীর কমান্ডার মাহাবুব আলমের নেতৃত্বে মাইন অপসারণ করে মিত্রবাহিনী ঠাকুরগাঁওয়ের দিকে অগ্রসর হয়। ২ ডিসেম্বর সারারাত প্রচণ্ড গোলাগুলির পর শত্রুবাহিনী ঠাকুরগাঁও থেকে পিছু হটে সৈয়দপুরে আশ্রয় নেয়। ৩ ডিসেম্বর ভোর রাতে শত্রুমুক্ত হয় ঠাকুরগাঁও। তখন মুক্তিযোদ্ধা ও সর্বস্তরের জনগণ মিছিল নিয়ে ঠাকুরগাঁও শহরে প্রবেশ করে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে দেয়।

বিজয় ছিনিয়ে আনতে ১০ হাজার নারী পুরুষকে প্রাণ দিতে হয়। পাশবিক নির্যাতনের শিকার হন দুই হাজার মা-বোন।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহাবুবুর রহমান বলেন, ৩ ডিসেম্বর স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা তাদের সংগ্রামের মাধ্যমে ঠাকুরগাঁওকে মুক্ত করেছিল। দেশ স্বাধীনের ১৩ দিন আগে জেলা শত্রুমুক্ত হয়। এ এলাকার মানুষের দেশপ্রেম, শত্রুকে পরাজিত করার মানসিকতা সেটা প্রশংসনীয়। ৩ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও মসজিদ মন্দিরে দোয়া ও প্রার্থনা করা হয়। বিভিন্ন আবাসিক প্রতিষ্ঠান, শিশু পরিবার, জেল খানায় এই দিবস উপলক্ষে ভালো খাবার পরিবেশন করা হয়।

দেশেরকথা/বাংলাদেশ

এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা

এই সাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।কপিরাইট @২০২০-২০২৪ দৈনিক দেশেরকথা কর্তৃক সংরক্ষিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park