158 বার পঠিত
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি>হবিগঞ্জের শহরতলীর আলমপুর এলাকায় মোবাইল কেনা-বেচা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে এতে মামুন মিয়া (৩৫) নামে এক বাকপ্রতিবন্ধি যুবক নিহত হয়েছে। সে পেশায় একজন ইলেক্ট্রশিয়ান বলে জানা গেছে পুলিশসহ আহত হয়েছে আরো অন্তত অর্ধশতাধিক লোকজন। তাদেরকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত মামুন মিয়া ওই গ্রামের আমির আলীর ছেলে। খবর পেয়ে সদর থানা ও বানিয়াচং থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে শুক্রবার বিকেল এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায় ওই গ্রামে একাধিকপঞ্চায়েত রয়েছে এরমধ্যে উত্তরাংশ পঞ্চায়েতের নেতৃত্বে রয়েছেন সাবেক ইউপি মেম্বার ফরিদ মিয়া, বর্তমান মেম্বার আব্দুস সাত্তার ও রিপন মিয়া এবং নয়াবাড়ি পঞ্চায়েতের নেতৃত্বে রয়েছেন সাবেক মেম্বার কাজল, মনিরুল ইসলাম এখলাছ, আব্দুল আলী ও সুহেল মিয়া। উভয় পঞ্চায়েতের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত গ্রাম্য বিরোধ চলে আসছি।
এছাড়াও গত কয়েকদিন যাবত রিপন ও সুহেল মিয়ার মধ্যে মোজাহিদ মিয়া নামে এক যুবকের মোবাইল ফোন কেনা-বেচা নিয়ে বিরোধ চরমে পৌছে এরই জেরধরে শুক্রবার বিকেলে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন সংঘর্ষে মামুন মিয়া গুরুতর আহত হলে তাকে সদর আধুনিক হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান এ ছাড়া আরও বেশ কয়েকজন টেটাবিদ্ধ হয়েছেন। এর মধ্যে মেজর মিয়া বুকে টেটাবিদ্ধ হলে তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে সিলেট ওসমানি মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়। পরে সেখান থেকে তাকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
আহত অবস্থায় কিসমত আলী (৬০), শিমুল আহমেদ (২৮), মোস্তফা মিয়া (২০), মেজর মিয়া (২৫) ও জাহেদ মিয়া (৩৫) শের আলী (৪০)।
জাহেদ খান (৪০) কে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এছাড়াও গ্রেফতার আতংকে অনেক আহতরা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়বানিয়াচং থানার ওসি মো. এমরান হোসেন জানান, গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে তবে গ্রেফতার এড়াতে আলমপুর পুরুষশূণ্য হয়ে পড়েছে সংঘর্ষ ফেরাতে গিয়ে এসআইসহ প্রায় ২৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
এদিকে, হবিগঞ্জ-নবীগঞ্জ সড়কের আলমপুর অংশে ২ ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলায় আটকে যায় যানবাহন চলাচল। চরম দূর্ভোগে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। সড়কের দু’পাশে সৃষ্টি হয় তীব্র যানযাট যদিও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।