1. admin@daynikdesherkotha.com : Desher Kotha : Daynik DesherKotha
  2. arifkhanjkt74@gamil.com : arif khanh : arif khanh
  3. alaminjhalakati@gmail.com : Al-Amin Khan : Al-Amin Khan
সুন্দরগঞ্জের  স্কুল ছাত্র সিহাব হত্যাকান্ড মুক্তিপণের কারণে সিহাব হত্যা করে তিন বন্ধু - দৈনিক দেশেরকথা
বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:৩৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
স্বৈরাচার পতনে বাক স্বাধীনতা  ফিরে পেয়েছে গণমাধ্যম “রাতে পড়া, দিনে চা বিক্রি “চলছে পিন্টুর জীবন যুদ্ধ ঝিকরগাছার গদখালী ফুল রাজ্যে হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি জাকারিয়ার মতবিনিময় সভা  ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের নাভারন শাখায় গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত শেখ হাসিনার ’রাতের ভোট’ নিয়ে অনুসন্ধানে দুদক জাতিসংঘ মহাসচিবে সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ মোবাইল কলরেট ও ওষুধের ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার কিশোরগঞ্জে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন- দর্শনার্থীর ঢল  উলিপুর প্রেসক্লাবের উদ্যোগে শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ পটুয়াখালী গলাচিপা সমলয় পদ্ধতিতে ধান চাষ কার্যক্রম উদ্বোধন হাসপাতালেই ভোটার হচ্ছেন অভ্যুত্থানের আহতরা

সুন্দরগঞ্জের  স্কুল ছাত্র সিহাব হত্যাকান্ড মুক্তিপণের কারণে সিহাব হত্যা করে তিন বন্ধু

হযরত বেল্লাল
  • প্রকাশ বুধবার, ২০ জুলাই, ২০২২

 213 বার পঠিত

সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধি>গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা এমসি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র শাহরিয়ার রহমান সিহাব (১৪) হত্যাকান্ডের ৭দিন পর  মঙ্গলবার গাইবান্ধা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে হত্যাকারিদের নাম এবং কারণ প্রকাশ করেছে। মুলত মুক্তিপণের কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

হত্যাকারিরা হলেন শান্তিরাম ইউনিয়নের মধ্য শান্তিরাম গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক সুমন, শান্তিরাম কালিয়ারছিড়া গ্রামের মন্জু মিঞার ছেলে কাবিল হোসেন জিন্নাহ মিয়া ও শান্তিরাম ফোরকানিয়া গ্রামের ফরিদুল ইসলামের ছেলে বাদশা মিয়া।

সিহাব বেলকা ইউনিয়নের পূর্ব বেলকা গ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও আইভি পরিবহনের মালিক আনিছুর রহমানের ছেলে।  জানা গেছে, ঈদুল আযহার ১৫দিন আগে থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণের আশায় মাদকাক্ত বখাটে ওই তিন শিশু সিহাবকে অপহরণের পরিকল্পনা করে। যানবাহনের অভাবে তারা সিহাবকে অপহরণ করতে ব্যর্থ হয়।

এরপর গত ১৪ জুন দিবাগত রাতে সিহাবের বিরুদ্ধে রিয়া নামের একটি মেয়েকে যৌন হয়রানি অভিযোগ এনে মোবাইল ফোনে জিন্না তাকে বেলকা এমসি উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছনে ডেকে নেয়। পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক ওই সময় সুমন একটি ভাড়াটে মোটরসাইকেল নিয়ে ওই স্থানে  আসে এবং মেয়েটির সাথে মোকাবেলা করার কথা বলে সিহাবকে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে ধুবনী কারিগরি কলেজমাঠে নিয়ে যায়।

সেখানে বাদশা মিয়া এসে উপস্থিত হয়। তারপর একটি মোটরসাইকেলে সিহাব, সুমন, বাদশা ও জিন্নাসহ চারজন উঠে সীচাবাজারে যায়। সেখান থেকে রাতে আবারও ধুবনী কারিগরি কলেজ মাঠে ফিরে এসে সিহাবকে ঘুমের ট্যাবলেট মিশানো জুস খাওয়ায় এবং ইনজেকশন পুশ করে। অচেতন অবস্থায় সিহাবকে ধুবনী বাজারে জিন্নার ভাড়া করা আর্মি রেজাউলের বাসায় নিয়ে রুমের মধ্যে তালাবন্ধ করে রাখে।

গভীর রাতে ওই তিনজনের গতিবিধি সন্দেহ হলে বাসার মালিক তাদের সাথে তর্কবির্তক করে। তখন ওই তিনজন বখাটে সিহাবকে তালাবদ্ধ অবস্থায় রেখে চলে যায়। রাত আড়াইটার সময় আবার তারা ওই বাসায় ফিরে এসে অচেতন সিহাবকে নিয়ে লালচামার তিস্তার খেয়াঘাটে নিয়ে বস্তায় ভরে শ্বাসরুদ্ধ করে সিহাবের মৃত্যু নিশ্চিত করে তাকে নদীর ধারে ফেলে রেখে চলে যায় ওরা।

 প্রকাশ থাকে যে, ১৪ জুন রাত দশটার সময় বেলকা চৌরাস্তা মোড়রের আনিছুরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হতে সিহাব বাড়ির উদ্দেশ্যে রহনা দেয়। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হতে বাড়ির দুরত্ব ৫০০ মিটার। রাত এগারোটার সময় আনিছুর বাড়িতে গিয়ে দেখতে পায় ছেলে বাড়িতে নেই। এসময় তার কাছে থাকা মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। এরপর থেকে খোঁজাখুজি শুরু হয়। ১৫ জুন সকাল এগারোটা পর্যন্ত তার কোন সন্ধান না পাওয়ায় থানায় জিডি করে বাবা।

ইতিমধ্যে সিহাব নিখোঁজের খবরটি ছড়িয়ে পরে গোটা উপজেলায়। এরই এক পর্যায় দুপুরে লালচামার তিস্তার খেয়াঘাটে একটি শিশুর মরাদেহ পড়ে থাকার খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ছুঁটে গিয়ে সিহাবের লাশ সনাক্ত করে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশের সুরুতহাল রিপোট তৈরি করে এবং লাশ ময়না তদন্তের মর্গে পাঠায়। ১৬ জুন সকালে বেলকা ফুটবল খেলার মাঠে নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

সিহাবের বাবা আনিছুর রহমান জানান, তার সাথে কাউরো কোন শক্রতা ছিল না।সে খুনিদের সঠিক বিচার দাবি করেছেন।

থানার ওসি সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম জানান, প্রকৃত খুনিদের খুঁজে বের করার কারণে গনমাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়নি। দেরিতে হলেও প্রকৃত খুনিদের বের করতে পেরেছে পুলিশ। সোমবার দিবাগত রাতে প্রকৃত আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার আসামিদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

দেশেরকথা/বাংলাদেশ

এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা

এই সাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।কপিরাইট @২০২০-২০২৪ দৈনিক দেশেরকথা কর্তৃক সংরক্ষিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park