319 বার পঠিত
‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস’ উপলক্ষ্যে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে নেমেছে লাখো মানুষের ঢল। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিদের পরাধীনতার শিকল ভাঙতে দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করে মুক্তিগামী বাঙালিরা। রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে বাঙালি জাতি পেল সোনার বাংলাদেশ। যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে এই দেশ, তাদের প্রতি আজও শ্রদ্ধা জানাতে লাখো মানুষের ঢল নেমেছে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে। এ সময় জাতির সূর্য সন্তানদের বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করে গোটা জাতি।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মৃতিসৌধের শহিদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানান। এর পর শহিদ বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান ভুটানের রাজা।
এরপর দেশি-বিদেশি কূটনীতিক ও রাজনৈতিক নেতাদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় সৌধ প্রাঙ্গণ। পর্যায়ক্রমে প্রশাসন, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়, রাজনৈতিক দল, প্রেসক্লাব ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও সাধারণ মানুষ শ্রদ্ধা জানান।
সকালেই ফুলে ফুলে ভরে ওঠে স্মৃতিসৌধের বেদি। আর লাল-সবুজের পতাকায় ছেয়ে যায় সৌধ প্রাঙ্গণ।
পোশাক শ্রমিক রিয়াজুল ইসলাম বলেন, আমরা দিনভর কারখনায় কাজের চাপে থাকি। বছরে দুই বার আমরা দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করা বীর শহিদদের স্মরণ করার সুযোগ পাই। আজ তাই পুরো পরিবার নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি। এখানে আসলেই গর্বে বুকটা ভরে যায়। তবে অন্যান্য বারের মতো এবার লোকসমাগম অনেক কম হয়েছে। রমজান মাস হওয়ায় লোকজন কম এসেছে স্মৃতিসৌধে।
রাজধানী থেকে শ্রদ্ধা জানাতে আসা হুমায়ন কবির বলেন, আমরা যুদ্ধ করতে পারিনি। কিন্তু যারা যুদ্ধ করেছেন, দিয়েছেন দেশের জন্য প্রাণ, তাদের কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করা প্রয়োজন। তাই শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি।
গাজীপুরের একটি স্কুলের শিক্ষক শাখাওয়াত হোসেন বলেন, এই দিনটাতে জাতীয় স্মৃতিসৌধে এলে অনেক ভালো লাগে। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারলে আত্মা তুষ্টি পায়। আমার মতো অনেকেই গাজীপুর থেকে আজ স্মৃতিসৌধে এসেছেন শ্রদ্ধা জানাতে। রমজান মাস হওয়ায় সাহরি খেয়ে না ঘুমিয়েই সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের উদ্দেশে রওনা হয়েছি।
এদিকে ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকায় নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সিসি ক্যামেরাসহ সাদা পোশাকেও পুলিশের নজরদারি রাখা হয়েছে সৌধ এলাকায়।