41 বার পঠিত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের কলেজ রোডের বাসিন্দা রায়হান মাহমুদ পিয়াস শখের রঙ্গিন মাছ পালক থেকে হয়েছেন তরুণ উদ্যোক্তা।তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মার্কেটিং এ পড়াশোনা করেছেন।
শখের বশে ঢাকা থেকে রঙ্গিন মাছ ও একুয়ারিয়াম কিনে এনেছিলেন বাড়িতে। সেই থেকে রঙিন মাছ ও একুয়ারিয়ামে লক্ষাধিক টাকা খরচ করেছেন বলে জানা যায়।
পড়াশোনা শেষ করে চাকরির পেছনে না ছুটে শখের রঙ্গিন মাছ ও একুয়ারিয়াম সামগ্রীর ব্যবসা শুরু করেন তিনি। নবীনগরের সমবায় সুপার মার্কেটের বিপরিতে ও স্পীড বোট ঘাট সংলগ্ন ইসলাম মার্কেটে দিয়েছেন রঙিন মাছ ও একুয়ারিয়ামের দোকান ” ফাতিহা অ্যাকুয়ারিয়াম সেন্টার, নবীনগর। ” নামে একটি ব্যবসায়ি প্রতিষ্ঠান ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (অনলাইন) ফেসবুকে করেছেন ” ফাতিহা অ্যাকুয়ারিয়াম সেন্টার,” নামে পেজ ও গ্রুপ।
গোল্ড ফিশ, ফাইটার ফিশ, এঞ্জেল ফিশ, কৈ কার্প, বেলুন মলি, প্লাট, কমেট, গোরামি, সাকার, ক্যাট ফিশ, রেইনবো শার্ক, টাইগার বার্ব, কিসিং গোরামি সহ নানা জাতের রঙিন মাছ, মাছের খাদ্য ও একুয়ারিয়াম রয়েছে তার দোকানে অথবা আপনার পছন্দমত যে কোন প্রজাতির রঙ্গিন মাছ অর্ডার করলেই অল্প দিনে পেয়ে যাবেন বলে জানান তিনি।
পিয়াস জানান, কিছু মাছ আছে অমূল্য। যেগুলো পৃথিবীতে বিলুপ্ত প্রায়। তাছাড়া “এরোআনা” ফিশ নামে একটি প্রজাতির মাছ আছে যেটির ৮ ইঞ্চির দাম কোটি টাকার উপর। মানসিক প্রশান্তি ও সুন্দর বিকাশের জন্য একুরিয়ামের অনেক গুরুত্ব রয়েছে। আপনি ঘন্টার পর ঘন্টা একুরিয়ামে থাকা মাছের দিকে তাকিয়ে থাকলেও আপনার ভাল লাগবে।
বাংলাদেশে সাধারণত দুই ধরনের একুরিয়াম করা যায়। ফ্রেশ ওয়াটার ও সল্ট ওয়াটার। তবে সল্ট ওয়াটার একুরিয়াম অনেক ব্যয়বহুল। কোটি টাকার উপর খরচ হয়ে থাকে।
আপনারা চাইলে ফাতিহা একুরিয়াম সেন্টার থেকে সাধ্যের মধ্যে কিনতে পারেন ছোট-বড় যে কোন সাইজের একুরিয়াম ও রঙ্গিন মাছ।
রায়হান মাহমুদ পিয়াস জানান, শখ থেকে রঙিন মাছ ব্যবসায় এসেছেন তিনি। নিজের জ্ঞান ও প্রজ্ঞাকে চেষ্টা করছেন কাজে লাগাতে। পড়াশোনা করলেই যে চাকরির পিছনে ছুটতে হবে এমন নয়। প্রথম দিকে পড়াশোনার কারনে অনেকেই ভিন্নমত পোষণ করলেও এখন অনেকেই উৎসাহ প্রদান করছেন।