1. admin@daynikdesherkotha.com : Desher Kotha : Daynik DesherKotha
  2. arifkhanjkt74@gamil.com : arif khanh : arif khanh
মৌলিক স্বাক্ষরতা কার্যক্রমে অনিয়মের অভিযোগ - দৈনিক দেশেরকথা
শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:১২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্বৈরাচার পতনে বাক স্বাধীনতা  ফিরে পেয়েছে গণমাধ্যম তাপপ্রবাহ নিয়ে যে বার্তা দিল আবহাওয়া অফিস বোন পরিচয়ে আল জাজিরায় কথা বলা তরুনী আমার বোন নয়: তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ক্রিকেটারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধান উপদেষ্টা গণমাধ্যমকর্মী আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে: তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে পানগুছি নদী পারাপার ১১ বছরে ৩০ জনের মৃত্যু পটুয়াখালীত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতবনিমিয় সভা । একমাসে ১৯৮টি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাগেরহাটের হাটবাজার নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব  হুমকির মুখে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ     বাড়ছে ডেঙ্গু, এক সপ্তাহে হাসপাতালে ৯ রোগী ঠাকুরগাঁওয়ে সুন্দরবনের উপকূলীয় মোরেলগঞ্জে মিষ্টি মাল্টার বাম্পার ফলন,কৃষকের মুখে হাসি    

মৌলিক স্বাক্ষরতা কার্যক্রমে অনিয়মের অভিযোগ

দেশেরকথা
  • প্রকাশ শুক্রবার, ২২ জুলাই, ২০২২

 107 বার পঠিত

ঝালকাঠির রাজাপুরে ছয় মাস মেয়াদী মৌলিক স্বাক্ষরতা কার্যক্রমে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই প্রকল্পে চুক্তিভিত্তিক (ছয় মাস) মেয়াদী শিক্ষক-শিক্ষিকারাও সম্মানি থেকে বঞ্চিত।

অনুসন্ধানে জানাগেছে, ২০১৯ সালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ধীন উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর আওতায় ৬৪ জেলায় ছয় মাস মেয়াদী মৌলিক স্বাক্ষরতার একটি প্রকল্প চালু করে।

ভিলেজ এন্ড সিটি ডেভলপমেন্ট সোসাইটি নামে একটি এনজিও এ উপজেলায় কাজ করার দায়িত্ব পায়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এই প্রকল্পের সভাপতি। 
বাস্তবায়নকারী সংস্থা ভিসিডিএস এর প্রতিনিধি মাহমুদুল হাসান ও প্রোগ্রাম অফিসার এনজিও প্রতিনিধি মনিরউজ্জামান রেজোয়ান এ উপজেলার দায়িত্ব পালন করেন।

ওই সময় নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সোহাগ হাওলাদার উপজেলার ছয় ইউনিয়নে স্ব-স্ব! ইউপি চেয়ারম্যানদের নিয়ে তিন’শ কেন্দ্রে ছয়’শ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও বিশ জন সুপারভাইজার নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করেন। এরপর হঠাৎ কোভিট-১৯ শুরু হলে প্রকল্পের সকল কার্যক্রম স্থগিত হয়।

পরবর্তিতে কোভিট-১৯ নিয়ন্ত্রনে আসলে ইউএনও মো. মোক্তার হোসেন দায়িত্বে থাকা অবস্থায় উপজেলা সদরের বাইরে গিয়ে ২০২১ সনের ৮ ডিসেম্বর আঙ্গায়িার একটি কেন্দ্র উদ্বোধনের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু হয়।

মাঠ পর্যায়ে শিক্ষন কার্যক্রম চলতি বছরের ৭ জুলাই শেষ হয়। তবে কারো কাছ থেকে প্রকল্পের মোট ব্যয় সম্পর্কে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।

স্থানীয়রা জানায়, উদ্বোধনের পরে আর কেউ খোঁজ রাখেনি মৌলিক স্বাক্ষরতা প্রকল্পের। কোন কোন কেন্দ্রে দুই একদিন স্থানীয়দের ডেকে চা-বিস্কিট খাইয়ে ছবি তুলে ক্লাসের কার্যক্রম শেষ করে। কোথাও ওই সকল কেন্দ্রের জন্য বই-খাতা দেয়া হলেও তা আজও বাধা অবস্থাই রয়ে গেছে।

কোন কোন এলাকায় এ কার্যক্রম সম্পর্কে কিছুই যানেনা স্থানীয়রা। কিন্তু এমন করতে করতে তিন মাস পার হয়ে যায়।প্রশ্ন ওঠে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষকদের  সম্মানি ভাতা নিয়ে। তিন মাসের সময় দুই মাসের সম্মানি একত্র করে আটশত টাকা কেটে রেখে দেয়া হলো চার হাজার টাকা।

এদের মধ্যে যারা এলাকায় থাকেনা তাদের দেয়া হলো অর্ধেক টাকা। আবার নিয়োগ প্রাপ্ত অনেক শিক্ষকের নাম পরিবর্তন করে নতুন লোক দাঁড় করিয়ে ইউএনও মোক্তার হোসেনের সময় হাতিয়ে নেয় মোটা অংকের টাকা প্রকল্পের স্থানীয় প্রতিনিধিরা।

পরে ইউএনও নুসরাত জাহান এর সময় শিক্ষকদের চার মাসের সম্মানি একত্র করে ইউএনওকে না জানিয়ে ঈদুল আজহার কয়েকদিন আগে কিছু শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সম্মানি ভাতার চার হাজার ছয়’শ টাকা কেটে রেখে পাঁচ হাজার টাকা দেয় প্রকল্পের স্থানীয় প্রতিনিধিরা।

কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, মোগো এলাকার এউককা পোলা একদিন কইছে মোরা যারা বয়স্কো আছি তাদের লেখা-পড়া হরাবে। হেয়া কবে শুরু হরবে মোরা জানিনা।

শুক্তগড় ইউনিয়নে প্রকল্পের শিক্ষক-শিক্ষিকা মো. রাব্বি ইসলাম, ছনিয়া, জুবায়ের জানায়, ভাতা দেয়ার কথা বলে তাদের দিয়ে কেন্দ্রগুলোতে ছাত্র-ছাত্রী সংগ্রহ করায়। পরে আর ভাতা প্রদান করে না। তাদের ছয় মাসের মূল সম্মানি ভাতা থেকেও ৫৪০০ টাকা কেটে রেখেছে।

গালুয়া ইউনিয়নের প্রকল্পের শিক্ষক-শিক্ষিকা মো. সুমন, হাবিবা আক্তার,মরিয়ম আক্তার জানায়, তারা ছয় মাসের প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও এখন পর্যন্ত তাদের সম্মানি ভাতার এক টাকাও পায়নি।

প্রকল্পের শুক্তাগড় ইউনিয়ন সুপারভাইজার মো. রবিউল ইসলাম জানায়, সে কোন টাকা-পয়সা কর্তন করেনি। সব তার উপরস্থ কর্মকর্তারা জানে। তবে শেষের চার মাসে প্রত্যেক শিক্ষককে পাঁচ হাজার টাকা করে দিয়েছে বলেও রবিউল জানায়।
ভিলেজ এন্ড সিটি ডেভলপমেন্ট সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক আব্দুল গফফার খান বলেন, রাজাপুর উপজেলায় আমাদের প্রতিনিধি মাহমুদ হাসান ও প্রোগ্রাম অফিসার এনজিও প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান রেজওয়ান রয়েছে। ওখানে সবকিছু তারাই পরিচালনা করে। টাকা-পয়সা নিয়ে এদিক-সেদিক করার কোন সুযোগ নেই। তারপরেও যদি হয়ে থাকে তার দায়ভার তাদের। প্রকল্পের মোট ব্যয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি তা এড়িয়ে যান।

ভিলেজ এন্ড সিটি ডেভলপমেন্ট সোসাইটির উপজেলা প্রতিনিধি মো. মাহমুদ হাসান বলেন, ছয় মাসের প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে। ছয়’শ শিক্ষক-শিক্ষিকার মধ্যে পাঁচ’শ জনকে তাদের সম্মানি ভাতা দেয়া হয়েছে। বাকি এক’শ জনের সম্মানি ভাতা পর্যাক্রমে দেয়া হবে। সম্মানি ভাতা কেটে রাখার বিষয় জানতে চাইলে সে কলটি কেটে দেয়। পরে একধিকবার ফোন দিলেও সে আর রিসিফ করেননি।

ঝালকাঠি উপ আপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারি পরিচালক মো. জানে-ই আলম হাওলাদার বলেন, অভিযোগের বিষয় জানতে পেরে ইউএনওকে ফোন দিয়ে ছিলাম এখনও তার কাছে অভিযোগ জমা পড়েনি। বিষটি তদন্ত করা হচ্ছে।

রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রকল্পের সভাপতি নুসরাত জাহান খান বলেন, বিষটি আমি শুনেছি অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্তা নেয়া হবে।

দেশেরকথা/বাংলাদেশ

এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা

এই সাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।কপিরাইট @২০২০-২০২৪ দৈনিক দেশেরকথা কর্তৃক সংরক্ষিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park