মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি>বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে খাউলিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কর্তৃক মারধর ও হুমকির অভিযোগে সংখ্যালঘু পরিবারের সংবাদ সম্মেলন।
সোমবার(২৪ জানুয়ারি) দুপুরে এ অভিযোগ এনে ভুক্তভোগী পরিবার মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগীর মা মিনতি রানী। মিনতি রানী ওই ইউনিয়নের বড়পরী গ্রামের বাসিন্দা প্রাক্তন স্কুল শিক্ষক হরিপদ মিস্ত্রির স্ত্রী ও সাবেক ইউপি সদস্য।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, আমার পুত্র বনস্পতি মিত্র প্রাণিসম্পদ বিভাগের খাউলিয়া ইউনিয়নের এ আই টেকনিশিয়ান হিসেবে কর্মরত। কয়েকমাস আগে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচন নিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান সাইদুর রহমানের সাথে শত্রুতা সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে গত ১৭ জানুয়ারি প্রতিবেশী দেলোয়ার গাজির বাড়ির সম্মুখ হতে যাবার পথে বনস্পতি মিত্রকে তার বাড়িতে ডেকে নেয়। ওই সময় দেলোয়ার গাজীর রুগ্ন একটি গাভীকে ক্যালসিয়াম ইনজেকশন দেয়ার জন্য বললে বনস্পতি মিত্র নিয়ম অনুযায়ী গাভীটিকে ইনজেকশন পুশ করেন। বৃদ্ধ ও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ওই গাভীটি রবিবার (২৩ জানুয়ারি) মারা যায়।
উক্ত গাভী মারা যাবার অজুহাতে সোমবার (২৪ জানুয়ারি) ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান বনস্পতিকে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে অকথ্য ও অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে। বনস্পতি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি বুঝিয়ে বলা ও শান্ত হওয়ার অনুরোধ করলে তিনি আরও ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে চড়থাপ্পড় দেন। একটু পরে ঘর থেকে মোটা বেতের লাঠি এনে বনস্পতিকে বেদম প্রহার করে আহত করেন।
সংবাদ সম্মেলনে মিনতি রানী আরও জানান, সংখ্যালঘু পরিবার হওয়ায় বর্তমানে হুমকির মুখে ভীতসন্ত্রস্ত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন তার পরিবার। এ পরিস্থিতিতে ন্থানীয় সংসদ সদস্য এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার সাইদুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি গরু মৃত্যুর ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়ে বনস্পতিকে ডেকে পাঠাই। সে আসলে ভুক্তোভোগী পরিবারকে একটি গরু কিনে দেয়ার জন্য বলি। তবে মারধর ও গালিগালাজের মত কোন ঘটনা সেখানে ঘটেনি