133 বার পঠিত
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ‘বাংলাদেশের জন্য অবকাঠামো উন্নয়নের এক মাইলফলক এ বছর। অনেক ষড়যন্ত্রের জাল আর প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে গত ২৫ জুন আমরা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করতে সক্ষম হয়েছি ।
এই সেতু উদ্বোধনের ফলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলকে ২১টি জেলার সাথে সরাসরি রাজধানীসহ অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত হয়েগেছে।সোমবার (৪ জুলাই) দুপুরে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা অডিটোরিয়াম উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ড. শামসুল আলমের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল হাসান এর সভাপতিত্বে ও সহকারূ উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাহফুজ মিয়ার সঞ্চালনায় প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা আমাদের আত্মপ্রত্যয়ের প্রতীক। ‘পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর পরই মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেলের মতো মেগা প্রজেক্টগুলো এই বছরই চালু হতে যাচ্ছে।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম এর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে অনুদান হিসাবে মোট ৪ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা প্রদান করেন। এর মধ্যে ১২ জন দরিদ্র ব্যক্তিকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার আর ১৬ টি প্রতিষ্ঠানকে ২ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা প্রদান করেন।
অনুদান বিতরণ পূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র এএসপি মতলব সার্কেল ইয়াছির আরাফাত, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ছেংগারচর পৌরসভার প্রশাসক মোঃ হেদায়েত উল্যাহ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন খান সুফল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শহিনা আক্তার, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি দেওয়ান জহির, অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ শাজাহান কামাল, ফতেপুর পশ্চিম ইউপি চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ,ষাটনল ইউপিরনচেয়ারম্যান ফেরদাউস আলম সরকার, মডেল ব্যাসদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খায়ের উদ্দীন প্রমূখ।
মতলবের উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, মতলব উত্তরের ৪ লক্ষাধিক জনবসতির মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পকে টেকসই ও আধুনিকভাবে গড়ে তুলতে হবে। মতলব-গজারিয়া সেতু নির্মাণের মাধ্যমে মতলব তথা চাঁদপুরের দক্ষিণাঞ্চলের সাথে রাজধানীর দূরত্ব কমিয়ে আনতে হবে। আর এই সেতু বাস্তবায়নের মাধ্যমে মতলবে শিল্পাঞ্চল গড়ে তুলতে হবে।