148 বার পঠিত
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি>হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার আইলাবই গ্রামের শিশু কন্যা তাকমিনা আক্তার লিজা (৯) হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনের ৫ মাস পর প্রধান আসামী তাকবীর হাসানকে (২০) খুলনা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তাকবীর হাসান আইলাবই এলাকার সাইদুর রহমান ওরফে মন মিয়া গত (২৩-জুলাই) বিকেল ৩টায় খুলনা জেলার খালিশপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সে ঘটনার পর থেকে খুলনা পালিয়ে গিয়ে একটি চায়ের দোকানে কাজ নেয়ে পিবিআই তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে অভিযান চারিয়ে গ্রফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী গতকাল রবিবার বিকেলে তাকবীর হাসান হত্যার দায় স্বীকার করে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে আসামীর বরাত দিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুল আহাদ জনান আসামী তাকবীরের সাথে তারই গ্রামের একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
সম্পর্ক চলাকালীন সময় একদিন সন্ধ্যায় তারা দেখা করতে গেলে ভিকটিম লিজা তাদেরকে একত্রে দেখে ফেলে ভিকটিম লিজা আক্তার ঘটনাটি মেয়েটির মাকে জানিয়ে দেয়।
এরপর থেকে মেয়েটির সাথে তাকবিরের প্রেমের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়।এই ঘটনায় আক্রোশান্বিত হয়ে আসামী তাকবীর হাসান গেল বছর ২১-জুলাই ঈদ-উল-আযহার দিন সকাল ৭টায় শিশু লিজাকে গলা টিপে হত্যা করে।
আদালতে এমনটাই জানিয়েছে আসামী তাকবীর হাসান বলে তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোঃ শাহনেওয়াজ প্রসঙ্গত শিশু লিজাকে গত ২১ জুলাই ঈদ-উল-আযহার দিন সকাল অনুমান সাড়ে ৬টায় সেলিনা বেগম তার মেয়ে তাকমিনা আক্তার লিজাকে মাধবপুর উপজেলার পাশের গন্ধব্যপুর গ্রামের একটি দোকান থেকে নুডুলস ও প্রয়োজনীয় কিছু দ্রব্য সামগ্রীকিনে আনার জন্য পাঠায়।
পরবর্তীতে তার মেয়ে নুডুলস নিয়ে বাড়ীতে ফিরে না আসলে আশেপাশের সম্ভাব্য সকল স্থানে ও আত্মীয় স্বজনদের বাড়ীতে খোঁজাখুজি করে মেয়ের কোন সন্ধান না পেয়ে সেলিনা বেগম মাধবপুর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়রী করেন।
পরবর্তীতে গত ২৫ জুলাই ২১ সালে ১১টায় দুইজন মহিলা গ্রামের বাঁশ ঝাড়ের ভিতরে লাকড়ি কুড়াতেগিয়ে ভিকটিমলিজার অর্ধ-গলিত মৃতদেহ দেখতে পান এবং ভিকটিমের মা সেলিনা বেগমকে সংবাদ দেন।
তাৎক্ষনিক ভাবে সেলিনা বেগম ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে তার মেয়ের অর্ধ-গলিত মৃতদেহ শনাক্ত করেন। গত ২১ জুলাই সাড়ে ৬টায় হইতে ২৫ জুলাই ১১টার মধ্যে যে কোন সময় অজ্ঞাতনামা খুনিরা শিশু কন্যা লিজাকে শ্বাসরুদ্ধ করে বা অন্য যেকোন ভাবে হত্যা করেছে মর্মে লিজার বাবা বাদী হয়ে মাধবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।