166 বার পঠিত
মতলব উত্তর উপজেলার দক্ষিন লুধুয়ার সুদখোর খোরশেদ হাওলাদারের যন্ত্রনায় অতিষ্ট হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী।এমনই একাদিক অভিযোগ পাওয়া গেছে কতিথ খোরশেদ হাওলাদার ওরফে খুইশার বিরোদ্ধে।
তিনি পড়েন লুঙ্গি, সেই লুঙ্গির ভাঁজে গুঁজে রাখেন লাখ লাখ টাকা। কখন যে কাকে চড়া সুদে ধার দিবেন এসব টাকা সে অপেক্ষায় প্রতিনিয়ত ঘুরে বেড়ান তিনি। এভাবেই কয়েক বছর ধরে চালিয়ে যাচ্ছেন সুদের অবৈধ ব্যবসা। তার এমন অবৈধ সুদ ব্যবসায় তিনি কোটিপতি হয়ে গেছেন।
কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কিংবা রাষ্ট্রিয় বৈধতা ছাড়াই ব্যক্তিগত অর্জিত এমন কর্মকান্ডে জড়িয়ে আছেন তিনি। সুদের টাকা লেনদেনে নিজেই তৈরি করছেন দলিল সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। স্থানীয় কিছু অসাধু সিন্ডিকেটের ছত্রছায়ায় অবৈধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন খুইশ্যা ওরফে খোরশেদ ।
চড়া মূল্যের সুদ আদায় না হলে নিজস্ব সিন্ডিকেটের সদস্যদের নিয়ে তৈরি করেন ব্যাক্তিগত বলয়। নানা মুখি চাপ সৃষ্টি করে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে সুদ গ্রহিতা থেকে আদায় করেন মোটা অঙ্কের টাকা। এমন ঘটনা এ এলাকার প্রায় ঘরে ঘরে।
এ সিন্ডিকেটের সদস্যরা ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক পরিচয়ে আধিপত্য বিস্তার করে আসছেন । এমন ঘটনায় বিভিন্ন ব্যক্তি ও পরিবারে আত্মহত্যার মত মারাত্মক ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়াকে কেন্দ্র করে গত ২০২১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর অবৈধ সুদকারবারি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা চেয়ে উচ্চ আদালতে একটি রিট করা হয়েছিল।
একই বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর অবৈধ সুদকারবারিদের তালিকা প্রণয়ণ ও অবৈধ প্রতিষ্ঠান সমুহ বন্ধ করার বিষয়ে আদেশ প্রদান করেন উচ্চ আদালত।
উচ্চ আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে খোরশেদ হাওলাদার কিভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন সুদের লেনদেন! এমন প্রশ্ন এখন মানুষের মুখে মুখে।
এবিষয়ে সাড়ে পাঁচানী হোসাইনীয় ফাজেল মাদ্রাসার প্রভাষক পীরজাদা মাওলানা এনামুল হক বলেন, সুদকে আল্লাহ হরাম করে দিয়েছেন। সুদ খোরের স্থান জাহান্নামে।
এবিষয়ে খোরশেদ হাওলাদারকে ০১৮১৩-৮১৯৯৪৯ এই নাম্বারে ফোন দিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিলে তিনি নিজেকে খোরশেদ বলে অস্বীকার করেন। কিন্তু তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রমান পাওয়া গেছে এই নাম্বারটি তার।