132 বার পঠিত
মতলব উত্তর উপজেলার মুক্তির কান্দি ও গোপাল কান্দিতে মাদক বিক্রিতে বাধা দেওয়ায় এবং আওয়ামীলীগ নেতাকে মারধরের ঘটনায় ৩ জনের জামিন না মন্জুর করেছে আদালত। গতকাল ১৬ আগষ্ট মঙ্গলবার দুপুরের চাঁদপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মন্জুরুল আলম এ আদেশ দেন।
আদেশে বলা হয়, ১৪ জুলাই ২০২২ ইং তারিখে মতলব উত্তর থানার ১৫ নং মামলার এজাহারভূক্ত ১নং আসামী মনির হোসেন মেম্বারের ছেলে কামাল হোসেন, ২নং আসামী মো. শরীফ হোসেন ও ৩ নং আসামী জমির আলীর ছেলে মেহেদি বেআইনিভাবে মারামারি করে আইন-শৃঙ্খলা বঙ্গ করায় ও মাথায় গুরতর আহত করায় এই ৩ জনকে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেয় আদালত।জানা গেছে গত ১৯ জুলাই ২০২২ ইং তারিখে আসামীগন উচ্চ আদালত থেকে ৪ সপ্তাহের আগাম জামিন। ১৮ আগস্ট পর্যন্ত জামিন বহাল থাকা অবস্থায় গতকাল ১৬ আগষ্ট নিম্ম আদালতে হাজির হলে আদালত জেল হাজতে পাঠায়।
জানা যায়, গত ১৩ জুলাই উপজেলার গোপাল কান্দি গ্রামের মনির হোসেন মেম্বার ও জয়নাল আবেদিন মোল্লা একই ওয়ার্ডে ইউপি নির্বাচনে মেম্বার পদে নির্বাচন প্রতিধন্ধিতা করে। রানা আহাম্মেদ রফিক জয়নালের সর্মথক থাকার কারনে ও তাদের মাদক বিক্রিতে বাধা প্রদান করায় রফিকের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে।
গোপাল কান্দি গ্রামের মো. মনির হোসেন মেম্বার , তার ছেলে কামাল হোসেন , ও মোঃ শরীফ , জমির হোসেনের ছেলে মেহেদী, কাবিলের ছেলে রাজিব, আলী হোসেনের ছেলে শুকুর , আব্দুস শুকুর আলীর ছেলে শাওন, আব্দুল আউয়ালের ছেলে . শাহ আলম, মৃত জাফর বেপারির ছেলে . জর্জ মিয়া ও মুক্তির কান্দি গ্রামের মুছলিম ছৈয়ালের ছেলে ইব্রাহিম সহ অজ্ঞাত নামা আরো ৪/৫ জন মিলে জয়নাল আবেদিন মোল্লার সমর্থক রফিকুল ইসলাম রানা অতর্কিত আক্রমন করে।
এতে আওয়মীলীগ নেতা, আ’লীগ নেতা জয়নাল আবেদিন মোল্লা, তার ছেলে রাকিব, ও আবুল হোসেনের ছেলে বেলালকে জখম হয়।ঐদিন রফিকুল ইসলাম রানা বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ৩ জনকে জেল হাজতের নির্দেশ দেন কোর্ট।