1. admin@daynikdesherkotha.com : Desher Kotha : Daynik DesherKotha
  2. arifkhanjkt74@gamil.com : arif khanh : arif khanh
বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বৃদ্ধির থেকে মান উন্নয়নে গুরুত্ব দিতে হবে(মতামত) - দৈনিক দেশেরকথা
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৫১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
মেট্রোরেলে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। কোটা সংস্কার আন্দোলনে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা লক্ষ্য করে তাণ্ডব আমার বিশ্বাস তারা ন্যায়বিচার পাবে, হতাশ হতে হবে না,জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীরা কোথাও আগুন কিংবা ভাঙচুর করেনি: ডিবিপ্রধান চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের বিষয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উলিপুরে আলোকিত শিশু কন্ঠ পরিষদের আয়োজনে পবিত্র  আশুরা পালিত পবিত্র আশুরা উপলক্ষে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ ছারছীনার পীর সাহেব হুজুর আর নেই দেশের সব স্কুল-কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা নলডাঙ্গায় ১১ অসহায় পরিবারের মাঝে চেক ও ঢেউটিন বিতরন

বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বৃদ্ধির থেকে মান উন্নয়নে গুরুত্ব দিতে হবে(মতামত)

মোঃ হাছান
  • প্রকাশ মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

 275 বার পঠিত

বাংলাদেশে  উচ্চশিক্ষার মানের ঘাটতি থাকলেও দিন দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বেড়েই চলেছে । দেশের একমাত্র বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বে ১০০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় স্থান না পাওয়ার অন্যতম কারণ গবেষণা, শিক্ষায় প্রযুক্তির ব্যবহার ও আবাসন ব্যবস্থা ইত্যাদি শিক্ষার্থীদের সুযোগ সুবিধার অভাব। প্রাচ্যের অক্সফোর্ডের যখন এই অবস্থা তখন দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কী অবস্থা সেটা একটু ব্যখ্যা করা প্রয়োজন।

বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা প্রদানের উদ্দেশ্যে বর্তমানে ৬০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে তারমধ্যে নারায়ণগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ জেলায় দুইটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। স্বায়ত্ব-শাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালিত এই সকল বিশ্ববিদ্যালয় সরকারের অর্থায়নে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল ।

বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ দ্বারা বাংলাদেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালনা করা হয়। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে ১০৭ টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় চালু আছে। এবং বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে ২-টি, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি ও এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন। দেশের সর্ববৃহত্তম বিদ্যাপীঠ জাতীয়  বিশ্ববিদ্যালয় সেখানে প্রায় ২,২৮৩ টি অধিভুক্ত কলেজে অধ্যয়ন করে ২৮ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী।

দেশের অধিকাংশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি লেগেই থাকে ধীরগতির ভর্তি ব্যবস্থা, আবাসন সংকট, নিম্ন মানের যাতায়াত ব্যবস্থা, লাল ফিতার দৌরাত্ম এসব সহনীয় মাত্রায় হোক বা নাহোক সেশন জট এতো মাত্রায় যা প্রতিটি শিক্ষার্থীর অসহনীয়। এতো সমস্যা থাকার স্বত্তেও সরকার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা সমাধান কম গুরুত্ব দিয়ে তারপরেও কেন প্রতিটি জেলায়  এতো  বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলছে।

গুটি কয়েক সায়ত্তশাসিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সমস্যা সমাধানের সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থ। তাদের মধ্যে অন্যতম বশেমুরপ্রবি, পাবিপ্রবি, আরো অন্যান বিশ্ববিদ্যালয়।

যখন দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অবস্থা, তখন দেশের বৃহত্তম শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে একটু পর্যবেক্ষন করা দরকার। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের গোল্লায় যাওয়ার মতো অবস্থা। তাদের ক্লাস,  পরীক্ষা,  প্রেজেন্টেশন, ফিল্ড ওয়ার্ক,  গবেষণা যেন কিছুতেই জবাবদিহিতা নেই। নামে মাত্র পরীক্ষা আর জটের মাধ্যমে পাচঁ বছর পর সার্টিফিকেট পাওয়া ছাড়া । জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা জানেন না গবেষণা কীভাবে করতে হয়। উচ্চ শিক্ষার মাধ্যমে শুধু ডিগ্রি অর্জন তাদের অবলম্বন।

পাবলিক ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের খরচের সাথে পাল্লা দিয়ে শিক্ষার মান বাড়িয়েছে, তার প্রমান্যচিত্র পাওয়া যায় বিডিএস এর জরিপ থেকে, তাদের প্রতিবেদন অনুসারে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়  গ্র্যাজুয়েটদের কর্মসংস্থানের হার যেখানে ৩২ শতাংশ, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে তা ৪৪ শতাংশ। চাকুরির বাজারের সাথে তাল মিলিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের শিক্ষা কারিকুলাম প্রনয়ণ করে থাকে। কিন্তু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ঠিক তার উল্টো দেশের সার্বিক দিক বিবেচনায় শিক্ষা কারিকুলাম প্রনয়ণ হয়ে থাকে, সেখানে শিক্ষার্থীদের কতটুকু চাকরি বাজারে মানিয়ে নিতে পারবে সেটা প্রশাসনের ভাবা উচিৎ।

উচ্চশিক্ষায় প্রথমে প্রয়োজন মানসম্মত শিক্ষার পরিবেশ যেখানে একজন শিক্ষার্থী তার মেধা বিকশিত করার সুযোগ পেয়ে থাকবে। শিক্ষার সেই পরিবেশ গঠনের জন্য  শিক্ষা খাতের উপর ভর্তুকি বাড়াতে হবে, ছাত্র রাজনীতির লাগাম টানতে হবে, আবাসিক হলে সিট বানিজ্য বন্ধ করতে হবে, আন্তর্জাতিক কারিকুলামে বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার দ্বার উন্মোচিত করতে হবে।

দেশেরকথা/বাংলাদেশ

এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা

এই সাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।কপিরাইট @২০২০-২০২৪ দৈনিক দেশেরকথা কর্তৃক সংরক্ষিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park