1. admin@daynikdesherkotha.com : Desher Kotha : Daynik DesherKotha
  2. arifkhanjkt74@gamil.com : arif khanh : arif khanh
বিরামপুরে বিলুপ্তির পথে বাঁশ ও বেত শিল্প - দৈনিক দেশেরকথা
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
মেট্রোরেলে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। কোটা সংস্কার আন্দোলনে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা লক্ষ্য করে তাণ্ডব আমার বিশ্বাস তারা ন্যায়বিচার পাবে, হতাশ হতে হবে না,জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীরা কোথাও আগুন কিংবা ভাঙচুর করেনি: ডিবিপ্রধান চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের বিষয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উলিপুরে আলোকিত শিশু কন্ঠ পরিষদের আয়োজনে পবিত্র  আশুরা পালিত পবিত্র আশুরা উপলক্ষে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ ছারছীনার পীর সাহেব হুজুর আর নেই দেশের সব স্কুল-কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা নলডাঙ্গায় ১১ অসহায় পরিবারের মাঝে চেক ও ঢেউটিন বিতরন

বিরামপুরে বিলুপ্তির পথে বাঁশ ও বেত শিল্প

নয়ন হাসান
  • প্রকাশ বৃহস্পতিবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২২

 129 বার পঠিত

বিরামপুর প্রতিনিধি>দিনাজপুরের বিরামপুর হতে ক্রমান্বয়ভাবে মেলামাইন ও প্লাস্টিক সামগ্রীর ভারে এবং বাহারী বিজ্ঞাপনে হারিয়ে যাচ্ছে বিরামপুরের বাঁশ ও ঐতিহ্যবাহী বেতশিল্প। বাঁশ ও বেতের তৈরি পণ্যের কদর নেই বললেই চলে।
ঐতিহ্য হারাতে বসেছে এই শিল্পটি। এক সময় গ্রামীন জনপদে মানুষ গৃহস্থালি কৃষি ও ব্যবসা ক্ষেত্রে বেত ও বাঁশের সরঞ্জামাদি ব্যবহার করা হলেও এখন বিলুপ্তির পথে এ শিল্পটি। বাসা-বাড়ি, অফিস-আদালত সবখানেই ব্যবহার করা হত বাঁশ ও বেতের তৈরি আসবাবপত্র। এখন সময়ের বিবর্তনে বদলে গেছে চিরচেনা বাঁশ ও বেতের চিত্র।
বিরামপুর উপজেলার চাঁদপুর, মির্জাপুর, মুকুন্দপুর, বিশ্বনাথপুর ও কেটরাহাটসহ কয়েকটি গ্রামে মাহালী পরিবার ঐতিহ্য ধরে রাখাসহ জীবন ও জীবিকার তাগিদে বাঁশ আর বেতের শিল্পকে আকড়ে ধরে রেখেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মেলামাইন ও প্লাস্টিক সামগ্রীর কদর দিনদিন বেড়ে যাওয়া এই কুটির শিল্পের চাহিদা এখন আর নেই। তাছাড়াও দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে এ শিল্পের কাঁচামাল বাঁশ ও বেত। বাজার গুলো দখল করেছে প্লাস্টিক ও এ্যালুম্যানিয়াম।
দেখা মিলে না আর বাঁশ ঝাড়ের। তাছাড়াও প্লাস্টিক পণ্য টেকসই ও স্বল্পমূল্যে পাওয়ায় সাধারণ মানুষের চোখ মেলামাইন ও প্লাস্টিক সামগ্রীর ওপর। জানা যায়, এক সময় দেশের বিস্তীর্ণ জনপদে বাঁশ-বেত দিয়ে তৈরি হতো গৃহস্থাথী ও সৌখিন পণ্যসামগ্রী। বাঁশ ঝাড় থেকে তরতাজা বাঁশ-বেত কেটে গৃহিনীরা তৈরি করতেন হরেক রকমের পণ্য। এসব পণ্য বিক্রি করেই চলতো তাদের জীবন জীবিকা। এখনো গ্রামীণ উৎসব ও মেলা গুলোতে বাঁশ ও বেতজাত শিল্পীদের তৈরি খাল, চাটাই, খালুই, ধামা, টোনা, পাল্লা, মোড়া, বুক সেল্ফ কদাচিৎ চোখে পড়ে।
যেখানে তালপাতার হাত পাখারই কদর নেই, সেখানে এসব পণ্য পাওয়ায় ভাগ্যের ব্যাপার। যতই দিন যাচ্ছে ততই কমে যাচ্ছে এই হস্তশিল্পের চাহিদা। মূল্যবৃদ্ধি, বাঁশ-বেতের দুষ্প্রাপ্যতা আর অন্যদিকে প্লাস্টিক, সিলভার ও মেলামাইন জাতীয় হালকা টেকসই সামগ্রী নাগরিক জীবনে গ্রামীণ হস্তশিল্পের পণ্যকে হটিয়ে দিয়েছে।
মির্জাপুর গ্রামের বাঁশ-বেত শিল্প বিক্রি করতে আসা সুনিল পাহান বলেন, বাঁশ-বেত শিল্পের দুর্দিনে হাতে গোনা কিছু সংখ্যক পরিবার এই শিল্পকে আঁকড়ে ধরে আছে। অনেকে এ পেশা বদলে অন্য পেশায় গেলেও পূর্বপুরুষের হাতেখড়ি পেশাকে কিছুতেই ছাড়তে পারেননি তারা।
বিরামপুরে শনি ও মঙ্গলবার পশু হাটসহ উপজেলার কয়েকটি সাপ্তাহিক হাটে নিয়ে ঘোরাফেরা করলে কিছু সৌখিন মানুষরা তাদের পণ্য কিনেন। যা বিক্রি হয় তা দিয়ে তয়-তরকারি কিনে বাড়ি ফেরেন তারা।

দেশেরকথা/বাংলাদেশ

এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা

এই সাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।কপিরাইট @২০২০-২০২৪ দৈনিক দেশেরকথা কর্তৃক সংরক্ষিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park