85 বার পঠিত
,
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে ধ্বংসযজ্ঞ ঘটানো হয় এমন ধারণা করে পরবর্তীতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য সরকার কারফিউ জারির কারে, পুরো জুলাই মাস জুড়ে এই আন্দোলন চলমান থাকে, পরে সরকার পদত্যাগের মধ্য দিয়ে ছাত্র আন্দোলনের সমাপ্ত ঘটে এবং দেশ বাসীকে স্বাধীন বাংলাদেশ উপহার দেয়,ছাত্র সমাজ। এই আন্দোলনে থমকে গেছে বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের বেলাভূমি পটুয়াখালী কুয়াকাটার পর্যটন শিল্প । ফলে পর্যটন কেন্দ্রিক সব পেশার মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে, পর্যটক না আসায় লোকশান গুনতে হচ্ছে, বাতি হয়েছে হোটেলের আগাম বুকিং। কর্মহিন বিপাকে হাজারো মানুষ। ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন এ পর্যন্ত প্রায় ২০০ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে, বর্তমান অবস্থা স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই ক্ষতির পরিমাণ বাড়তে থাকবে।
শনিবার (১০ আগস্ট) বিকালে কুয়াকাটার সমুদ্রসৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, পর্যটকশূন্যতায় সৈকতসহ বিনোদন কেন্দ্রগুলো খাঁ খাঁ করছে। পর্যটক না থাকায় পর্যটন ব্যবসায় নেমেছে ধস। দোকানপাটও বন্ধ রয়েছে। কুয়াকাটার ছোট-বড় সব আবাসিক হোটেলে-মোটেলে সুনসান নীরবতা বিরাজ করছে। হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোরও একই অবস্থা। জনজীবনে এর চরম প্রভাব পড়েছে। কুয়াকাটা বর্তমানে রাজনীতিক কোনো প্রভাব নেই, শান্ত রয়েছে সাগর কন্যা। পর্যটকদের আশায় অপেক্ষায় দোকানিরা,মোটরবাইক, অটো চালক, স্পিডবোট, ওয়াটার বাইক, সহ পর্যটনকেন্দ্রিক সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুছিয়ে অপেক্ষায় পর্যটক বরণে।
কুয়াকাটার ফটোগ্রাফার, আলমাস খান বলেন, আমাদের ২৫০ জনার মত ফটোগ্রাফার পর্যটকদের উপর নির্ভরশীল, চলমান আন্দোলনে আমাদের একেবারেই অর্থনৈতিক চাকা থেমে গিয়েছে, সবকিছু থেমে গেলেও কুয়াকাটায় পর্যটকদের উপস্থিতি বাড়ছে না এতে চরম দুর্ভোগে আমরা।
খাবার রেস্তরার মালিক কলিম জানান, প্রায় এক মাস ধরে চলছে এ পরিস্থিতি। পর্যটক একদমই নেই। আর আমাদের ব্যবসাটাই হচ্ছে পর্যটনকেন্দ্রিক। দেশে চলমান পরিস্থিতিতে সবকিছু থমকে আছে। এ পরিস্থিতিতে আমাদের ব্যবসায় চরম ধস নেমেছে।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইব্রাহিম ওয়াহিদ বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আমরা একটা স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি,তবে এই আন্দোলনে আবাসিক হোটেল মোটেলে বড় লোকসান গুনছে,তার পরো স্থিতে বাংলাদেশ ।
কুয়াকাটা ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, দেশের পরিস্থিতির সঙ্গে কুয়াকাটার সার্বিক বিষয় সবসময় সম্পর্কিত। বড় ধাক্কা লেগে গেল পর্যটন খাতে। বর্তমানে পর্যটক শূন্যের কোঠায়। মৌসুমের শুরুতে সব পর্যটন ব্যবসায়ী তাদের মোটা অংকের একটি বিনিয়োগ নিয়ে বসে কিন্তু এখনতো তাদের মাথায় হাত। কুয়াকাটাতে ১৬টি পেশায় সরাসরি পাঁচ হাজার লোক পর্যটন সেবায় জড়িত। এ সংকটের সমাধান না হলে একদিকে বেকারত্ব এবং সরকারের একটি বড় আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ জানান, বর্তমানে কুয়াকাটার অবস্থা শান্তি পূর্ণ রয়েছে, পর্যটকরা নির্ভয় কুয়াকাটা আসতে পারে। বিগত দিনে যে আন্দোলনগুলো হয়েছে সব আন্দোলনগুলোরই প্রভাব পড়ে বাংলাদেশের পর্যটন খাতে। কুয়াকাটা বাংলাদেশের পর্যটন খাতের অর্থনৈতিক অবস্থা সব সময় জোগান দিয়ে আসছে আমরা আশা করছি শান্তি-শৃংখলভাবে পর্যটন আমাদের উপহার দেবে এই সরকার।