179 বার পঠিত
জবি প্রতিনিধি> বলেছেন, আমরা কোনো পেশি শক্তির উপর ভরসা করে রাজনীতি করি না। কোনো প্রকার বন্দুকের নলের ওপর প্রধানমন্ত্রী বিশ্বাস করে না। প্রধানমন্ত্রী এ দেশের জনগণের ওপর বিশ্বাস করেন। তিনি দেশকে যেভাবে এগিয়ে নিয়ে গেছেন আগামী নির্বাচনে অবশ্যই মানুষের আস্থা পাবেন। প্রধানমন্ত্রী যতদিন থাকবেন, ততদিন দেশ এগিয়ে যাবে।
রোববার (২৯ মে) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র “স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস” উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৮১ সালের ১৭ মে যখন পদার্পন করেন তখন বাংলাদেশের অবস্থা ছিলো করুণ। তিনি শুধু বাংলাদেশের নেত্রী নন তিনি বিশ্ব নেত্রী। শেখ হাসিনার বাংলাদেশকে পিছিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। শিক্ষাঙ্গনগুলো কলুষিত হয়েছিলো সেশনজট, শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে আবারও ১৪ সালের মতো করার অপচেষ্টা করছে।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, করোনাকালীন সময়ে সরকার কৃষির ওপর নজর রেখেছিলেন। যেখানে সারাবিশ্বে খাদ্য উৎপাদনে সমস্যা দেখা দিয়েছিল সেখানে আমাদের দেশে ব্যাঘাত ঘটেনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ১৭ মে ঝড় বৃষ্টিতে আকাশ ছিলো প্রকম্পিত। যেন তাঁকে দেখার জন্যই আকাশ কেঁদেছিল। সেদিন জনগণ বলেছিলে, শেখের বেটি এসেছেন এখন আমাদের আর কেউ ধরে রাখতে পারবে না।
এসময় আসাদুজ্জামান খান বলেন, এই জগন্নাথের নাম শুনলেই আবেগে আপ্লূত হয়ে যাই৷ আমার রাজনীতির শুরু এ প্রতিষ্ঠান থেকেই। পরিচ্ছন্ন রাজনীতির শুরু হতে হবে ছাত্রলীগ থেকে। আমাদের যা অর্জন সবই কিন্তু ছাত্রলীগের মাধ্যমে হয়েছে।
সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, আমি সব হারিয়েছি, বাংলাদেশের জনগনই ওনার সব। তিনি দেশে এসেছিলেন বলেই পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু টানেল পাচ্ছি। তিনি শুধু স্বপ্ন দেখেন না স্বপ্ন পূরণও করান।
এসময় প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দ্যেশ করে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসের উন্নয়ন কর্মকান্ড সঠিকভাবে চালাতে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করার অনুরোধ জানান।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি নজরুল ইসলাম বাবু বলেন, ৮১ সালে যখন রক্তের হলিখেলায় মত্ত, সেইসময় শেখ হাসিনা ফিরে এসেছিলেন। সেইসময় তিনি ছাত্রলীগের ওপর ভরসা করেছিলেন। তখন অনেক রাজপথে লড়াই করেছি, গ্রেনেড হামলার শিকার হয়েছি, তবুও শেখ হাসিনার সাথে ছিলাম এবং থাকবো। পুলিশ ছাড়া মাঠে আসার চ্যালেঞ্জ জয় আর লেখক নিয়েছে। কিন্তু যারা এই চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন এখন আর তাদের দেখা যায় না।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহিম ফরাজীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইনের সঞ্চালনায় এ আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি বাবু দেবাশীষ বিশ্বাস, শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব গোলাম ফারুক স্বপন ও সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব কামরুল হাসান রিপন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক গাজী আবু সাইদ ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন।
এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।