139 বার পঠিত
ইদ মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। ধর্মপ্রাণ মুসলমান বছরে দুটি ইদ উদযাপন করে। কিন্তু জীবিকার তাগিদে অজস্র মানুষ পরিবার ছেড়ে শহরে অবস্থান করে। সেখানে তারা তাদের কাজকর্ম করে।
তবু শত ব্যস্ততার মাঝে পরিবারের সাথে ইদ উদযাপন করার জন্য প্রতি বছর মানুষ গ্রামে যায়।
কিন্তু বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ৷ এখানে যোগাযোগ ব্যবস্থার তুলনায় জনসংখ্যা অনেক বেশি। ফলে পরিবহনের টিকেট পেতে হিমশিম এবং তীব্র ভোগান্তির শিকার হতে হয়।
নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়ে বাস, লঞ্চ, স্টিমার, ট্রেনের ছাদে করে পর্যন্ত মানুষ বাড়িতে যায়।এমন অবস্থা হয় টিকেট পাওয়া যেন সোনার হরিণের সমতুল্য।
নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে অবশেষে পরিবারের সাথে ইদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয় মুসলমান।
কর্মজীবী মানুষের সাথে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শিকড়ের টানে ছুটে আসে। তারা যখন পরিবারের সাথে ইদ উদযাপন করতে পারে তখন সব গ্লানি ভুলে যায়।
কিন্তু এই পরিবহন ব্যবস্থায় ইদ পরবর্তী সময়ে শুরু হয় টিকেটের দাম বৃদ্ধির সিন্ডিকেট। এ সময়ে পরিবহন কর্তৃপক্ষ ভাড়া দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি করে। টিকেট তো পাওয়া খুবই মুশকিল হয়ে পড়ে।
কিন্তু টিকেট থাকলেও অনেক কাউন্টারে বিক্রি করে না। পরে তারা সেই টিকেটের দাম বৃদ্ধি করে বিক্রি করে। ফলে নিরুপায় মানুষ ভুক্তভোগী হয়ে উচ্চ দামে টিকেট কিনতে বাধ্য হয়। তখন এমন পরিস্থিতি হয় যেন সাধারণ মানুষের তারা ব্লাকমেইল করছে।
ইদ উৎসব কেন্দ্র করে পরিবহন সিন্ডিকেট অনেক অনেক টাকা উপার্জন করে। এতে তাদের আয়ের পরিমাণ দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পায়। কিন্তু ভোগান্তির শিকার হয় জনসাধারণ।
তারা উচ্চ দামে টিকেট কিনলেও তাদের ব্যয়ের পরিমাণ বেড়ে যায়, তবুও আয় পূর্বের ন্যায় স্বাভাবিক থাকে। পরিবহন কর্তৃপক্ষ এই সুযোগ পায় প্রয়োজনের তুলনায় পরিবহন কম থাকায়।
তারা টিকেট, ভাড়া দ্বিগুণ করে না শুধু চলতি পথে লোকাল বাসের মতো যাত্রী তুলে। আর যাত্রীরা কোণঠাসা হয়ে দাঁড়িয়ে যায়। এত যাত্রী তুলে যে পিছনের একজন যাত্রী সামনে যাওয়ার সুযোগ পায় না।
এছাড়া নির্দিষ্ট সময়ে যাত্রাও শুরু করে না। নানা তাল বাহানা করে দেরি করে যাতে অতিরিক্ত যাত্রী তুলতে পারে। সর্বোপরি, পরিবহন সিন্ডিকেট অনেক টাকা উপার্জন করছে।
কিন্তু নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে নিরীহ মানুষ। তাই কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, তারা যেন উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে পরিবহনের এই সিন্ডিকেট বন্ধ করে এবং সাধারণ মানুষের পাশে অবস্থান করে।
মোঃ আবদুল্লাহ আলমামুন
সমাজবিজ্ঞান বিভাগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়