179 বার পঠিত
ঝালকাঠির নলছিটিতে আলোচিত ঘটনা লামিয়া ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষিতা নারীর বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে । গত ১৯ আগস্ট কুলকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আখতারুজ্জামান বাচ্চু বাদী হয়ে ধর্ষিতা নারী সহ ৪/৫ জন অজ্ঞাত নামা আসামী করে ২০১২ সনের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের ৮(১) ৮(২) ৮(৩) ৮(৫)/(ক) ধারায় নলছিটি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নম্বর ০৬।
মামলার এজাহারে চেয়ারম্যান (বাদি) লিখেছেন, অজ্ঞাতসারে পর্নোগ্রাফি প্রস্তুত, পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে সামাজিক মর্যাদাহানি, মানসিক নির্যাতন করতঃ ইন্টারনেট ও পেনড্রাইভের মাধ্যমে পর্নোগ্রাফি প্রকাশ, প্রচার ও সরবরাহ করার অপরাধ করেছেন লামিয়া নামের এক নারী।
ইউপি চেয়ারম্যান বাচ্চু এজাহারে আরো লিখেছেন, ‘২০২১ সালের আগষ্ট মাসে আমি গুরুতর অসুস্থ থাকাকালীণ আমাকে দেখতে নলছিটির বাসায় এসেছিলো লামিয়া নামের এক নারী। ঐ সময় লামিয়া আমার স্থির ও ভিডিও চিত্র ধারণ করে। পরবর্তীতে ধারণকৃত ছবি ও ভিডিও সম্পাদনের মাধ্যমে আমাকে নিয়ে অশ্লীল স্থির চিত্র ও ভিডিও পর্নোগ্রাফি প্রস্তুত করে আমার কাছে ১ কোটি টাকা চাদা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে উক্ত ছবি ও অশ্লীল ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে। এতে আমি সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন সহ মানসিকভাবে নির্যাতিত হয়েছি।’
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারী লামিয়া নামের এক কিশোরী ঢাকা বনশ্রীর এক বাসায় ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ এনে কুলকাঠির ইউপি চেয়ারম্যান বাচ্চুকে আসামী করে ঢাকার খিলগাঁও থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯(১)/৩০ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছিলেন।
ঐ মামলায় ৬ এপ্রিল বুধবার বেলা ১২ টায় রাজধানীর নারী ও শিশু দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে। ঐ আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. রাশেদ কবির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আখতারুজ্জামান বাচ্চুকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে দুই সপ্তাহ কারাভোগের পর চেয়ারম্যান বাচ্চু জামিনে মুক্ত হয়ে এলাকায় এসে ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনা শুরু করেন।
চেয়ারম্যান বাচ্চু জেল থেকে জামিন নিয়ে এলাকায় ফিরে মামলা প্রত্যাহার করার জন্য লামিয়াকে খুনের ভয় দেখিয়েছে এমন অভিযোগ এনে গত ৯ মে নলছিটি থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেছিলো লামিয়া।
ধর্ষন মামলার প্রধান আসামী ইউপি চেয়ারম্যান বাচ্চু মামলার বাদি লামিয়ার বিরুদ্ধে নলছিটি থানায় পর্ণগ্রাফি আইনে মামলা করায় বিষয়টি এলাকায় নতুনকরে আলোচনায় ওঠে।
এ বিষয়ে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কুলকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যন এইচএম আখতারুজ্জামান বাচ্চু মুঠোফোনে দৈনিক দেশেরকথাকে বলেন, সবকিছু আবার তদন্ত করাহোক, তাহলেই সত্য/মিথ্যা বেড়িয়ে আসবে। চেয়ারম্যান আরো বলেন, ইতিপূর্বে দায়েরকরা ধর্ষন মামলাটি মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের সাজানো নাটক।