144 বার পঠিত
সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধি>দেশিও মা ও পোনা মাছ নিধনে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের দৌরাচ্ছে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ ঘোষিত কারেন্ট জাল।এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে প্রতিনিয়ত উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে কারেন্ট জাল বিক্রি করছে।
জেলে ও মাছ প্রেমিরা কারেন্ট জাল কিনে দিন-রাত মা এবং পোনা মাছ নিধন করে তা বিক্রি করছেন। সু-স্বাদু দেশিও মা ও পোনা মাছ হাট-বাজারে চড়া ক্রয় করছেন ক্রেতাগণ।বন্যার পানিতে উপজেলার নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর-ডোবা ও নিচু জলাশয় সমুহ অনেক আগেই ডুবে গেছে।
ওইসব নিচু জলাশয়ে ইতিমধ্যে দেশি পুটি, টেংরা, শিং, গছি, ট্যাকি, কই, মাগুর, খলিশা, পাপদা, মলা মাছ ব্যাপক হারে বংশবৃদ্ধি করেছে। মা ও পোনা মাছ ধরার জন্য জেলে ও মাছ প্রেমিরা ব্যবহার করছেন নিষিদ্ধ ঘোষিত কারেন্ট জাল। বিভিন্ন হাট-বাজারের মাছ বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশি মা ও পোনা মাছের আমদানি অনেক বেশি। বেশ চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ওইসব দেশি মা ও পোনা মাছ। আর এসব মাছ ধরতে ব্যবহার করা হচ্ছে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল।
মীরগঞ্জ বাজারের কারেন্ট জাল কিনতে আসা শিপন মিয়া জানান, বাড়ির আশপাশ নিচু জলাময় সমুহে দেশি মাছের বিস্তার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। নিজের খাবারের জন্য পোনামাছ ধরতে কারেন্ট নিতে এসেছি। কারেন্ট জাল দিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে অনেক মাছ ধরা যায়। তিনি বলেন ১০০ হাত তৈরি করা কারেন্ট জাল বিক্রি হচ্ছে ৮০০ হতে ১ হাজার টাকায়।
কারেন্ট বিক্রেতা জুয়েল মিয়া জানান, কারেন্ট জাল বিক্রি করা অন্যায়, তারপরও জীবন বাঁঁচানোর তাগিদে চুরি করে এবং গোপনে বিক্রি করে থাকি। হাট ইজারাদারদের সাথে আলোচনা করে প্রতিটি হাট-বাজারে বিক্রি করছি। অনেক সময় জরিমানা গুনতে হয়। প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেলে পালিয়ে যেতে হয়।
অবসরপ্রাপ্ত কৃষি শিক্ষক আসরাফ আলী জানান, মা ও পোনা মাছ নিধনের কারণে বিলুপ্ত প্রায় দেশিও প্রজাতির মাছ। সরকারি ভাবে মা ও পোনা নিধন এবং কারেন্ট জাল ব্যবহার করা সম্পন্নরুপে নিষিদ্ধ। তারপরও সাধারন মানুষ তা মানছে না। নিজেদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি না করলে প্রশাসনের পক্ষে এসব বন্ধ করা সম্ভব হবে না।
উপজেলা মৎস্য অফিসার তারিকুল ইসলাম সাবু জানান, মা ও পোনা মাছ ধরা এবং কারেন্ট জালের ব্যবহার সম্পন্নরুপে নিষিদ্ধ সংক্রান্ত প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে। তারপরও এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী ও মাছ প্রেমিরা কারেন্ট জাল বিক্রি এবং ব্যবহার করে আসছে।
ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার বিভিন্ন জলাশয় হতে কারেন্ট জাল জব্দ করে তা আগুন দিয়ে বিনষ্ট করে দেয়া হয়েছে। সময়মত নিবার্হী ম্যাজিষ্ট্রেট না পাওয়ায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোহাম্মদ আল মারুফ জানান, দেশিও মাছ রক্ষায় কারেন্ট জালের বিক্রি ও ব্যবহার ঠেকাতে দ্রুত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে।