1. admin@daynikdesherkotha.com : Desher Kotha : Daynik DesherKotha
  2. arifkhanjkt74@gamil.com : arif khanh : arif khanh
ত্রিশালে দেড় মাস টিকা সরবরাহ বন্ধ উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা - দৈনিক দেশেরকথা
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৩৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
মেট্রোরেলে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। কোটা সংস্কার আন্দোলনে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা লক্ষ্য করে তাণ্ডব আমার বিশ্বাস তারা ন্যায়বিচার পাবে, হতাশ হতে হবে না,জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীরা কোথাও আগুন কিংবা ভাঙচুর করেনি: ডিবিপ্রধান চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের বিষয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উলিপুরে আলোকিত শিশু কন্ঠ পরিষদের আয়োজনে পবিত্র  আশুরা পালিত পবিত্র আশুরা উপলক্ষে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ ছারছীনার পীর সাহেব হুজুর আর নেই দেশের সব স্কুল-কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা নলডাঙ্গায় ১১ অসহায় পরিবারের মাঝে চেক ও ঢেউটিন বিতরন

ত্রিশালে দেড় মাস টিকা সরবরাহ বন্ধ উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা

ইমরান হাসান
  • প্রকাশ রবিবার, ৩১ জুলাই, ২০২২

 139 বার পঠিত

ত্রিশাল(ময়মনসিংহ)প্রতিনিধি>ময়মনসিংহের ত্রিশালে শিশুদের বিভিন্ন টিকার সংকট দেখা দিয়েছে। প্রায় দেড় মাস ধরে ত্রিশাল পৌর স্বাস্থ্য বিভাগে ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স্রে ৪২ দিন থেকে ৩ মাস পর্যন্ত তিন ডোজ ব্যাসিলাস ক্যালমেট গুয়েরিন (বিসিজি), পোলিওর আইপিভি ও পেন্টাভ্যালেন্ট রোগের প্রতিষেধক টিকা পাওয়া যাচ্ছে না।

এতে শিশুদের নিয়ে টিকা দিতে এসে ফেরত যেতে হচ্ছে অভিভাবকদের। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা। সময়মতো টিকা দিতে না পারলে শিশুর রোগে আক্রান্ত হয় কিনা তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় অভিভাবকরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানাযায়, ধনুষ্টঙ্কার, পোলিও, হাম ও যক্ষাসহ বিভিন্ন মরণব্যাধি রোগ প্রতিরোধের জন্য শিশুদের জন্মের পর থেকে এক বছরের মধ্যে সাতটি গুরুত্বপূর্ণ টিকা দেয়া হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) আওতায় সরকারিভাবে বিনা মূল্যে এসব টিকা সরবরাহ করা হয়। তবে গত দেড়মাস ধরে ত্রিশাল পৌর স্বাস্থ্য বিভাগ ও  সরকারি হাসপাতালে টিকাদান কেন্দ্রে বিসিজি ও পেন্টাভ্যালেন্ট টিকা পাওয়া যাচ্ছে না।

সরেজমিনে দেখাযায়, ত্রিশাল পৌরসভায় ও টিকা দানের বিভিন্ন পয়েন্টে সকাল ৯টা থেকেই টিকাদান কেন্দ্রের সামনে শিশুদের নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন কয়েকজন মহিলা অভিভাবক। কেউ কেউ কেন্দ্রে কর্তব্যরত স্বাস্থ্যকর্মীর সঙ্গে কথা বলে হতাশ হয়ে ফিরে আসছেন। আবার অনেক শিশুর মা প্রতিদিন এসে ঘুড়ে যাওয়ায়  স্বাস্থ্য কর্মীর সাথে কথাকাটাকাটি করতেও দেখা যায়। একজন মহিলা অভিভাবক বলছেন, টিকা দিতে পারবেনা তাহলে আমাদের কেন হয়রানি করেন। টিকা নাই মাইকিং করে আমাদের জানিয়ে দিতে পারেন। আর আনেকেই আগে প্রথম. দ্বিতীয় ডোজ দিয়েছেন তারাও টিকা নিতে এসে ঘুড়ে যাচ্ছেন। সরকার থেকে হলুক কালারের টিকা কার্ড প্রধান করার কথা থাকলেও। কারও হাতে কার্ড পাওয়া গেল না। সবার হাতেই ফটোকপি করা সাদা টিকার কার্ড। কর্তব্যরত স্বাস্থ্যকর্মীর সাথে কথা বলে জানাযায় সরকারী হাসপাতাল থেকে তাদের টিকা কার্ড সরবারাহ করা হয়নি। তারা বহু বার এবিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে জানালেও কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেননি। পরে তারা নিজ উদ্যোগেই ফটোকপি কওে কার্ডেও ব্যবস্থা করেছেন। আরেকটি টিকা পয়েন্টে দেখা গেল টিকা আছে শিশুদের অভিভাবক নিয়ে আসছেন কিন্তু টিকা দেয়া হচ্ছেনা। জানাগেল টিকা থাকলেও তাদের কাছে টিকার সিরিঞ্জ নেই।

এক শিশুর অভিভাবক পৌর শহরের আতিকুল ইসলাম জানান, পৌরসভা থেকে বলা হচ্ছে টিকা নেই। সরকারি হাসপাতাল ছাড়া এসব টিকা কোথাও পাওয়া যায় না। টিকাদানের কার্ডে নির্দিষ্ট সময় লেখা থাকলেও পার হয়ে গেছে। এখন কী করব বুঝতে পারছি না।

পৌর এলাকার আরেক বাসিন্দা সুইটি আক্তার নিপা বলেন, ছেলেকে ১৫ দিন ধরে বিসিজি টিকা দেয়ার জন্য পৌরসভায় বারবার ঘুরে বেড়াচ্ছি। সরবরাহ নেই বলে বারবার ফিরিয়ে দিচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। এ টিকা বাইরে কোথাও বিক্রি হয় না। সরকারি হাসপাতাল থেকে নিতে হয়। আমার ছেলে অসুস্থ হলে দায়ভার কে নেবে?

শাহিদা আক্তার নামে এক শিশুর অভিভাবক বলেন, আমার ছেলেকে নিয়ে টিকা দিতে পৌরসভায় এসে কয়েকদিন ফিরে যাচ্ছি। একবার আসার পরও টিকা দিতে পারিনি। তারা বলছে টিকা সরবারাহ নেই। এর আগে বলেছিল টিকার সিরিঞ্জ নেই। এই টিকাতো কিনতে পাওয়া যায়না। তাই বার বার কষ্ট করে আসছি।

পৌর স্বাস্থ্য বিভাগের টিকাদানকারী ওমর ফারুক বলেন, প্রায় পাঁচ/ছয় সপ্তাহ ধরে হাসপাতালের স্টোরে বিসিজি, পেন্টাভ্যালেন্ট রোগের টিকার সরবরাহ নেই। প্রতিদিন অসংখ্য অভিভাবক শিশুকে এসব টিকা দেয়ার জন্য এনে ফিরে যাচ্ছেন। অনেকেই টিকা না পেয়ে আমাদের সাথে ঝগড়া শুরু করেন। আমি হাসপাতালের ইপিআই বিভাগের সুপারভাইজার ঝর্না আক্তারকে এ বিষয়ে জানিয়েছি। তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহন করছেনা। আর অনেকদিন ধরেই টিকার কার্ড নেই। আমরা ফটোকপি করে চালাচ্ছি। উপর মহলে অনেক বার জানানোর পরও কোন ব্যবস্থা গ্রহন করে নাই। আর আমাদের কাছে টিকা থাকলেও অনেকবার টিকার সিরিঞ্জ থাকেনা। টিকার সিরিঞ্জিজের সল্পতাও রয়েছে।

উপজেলা হাসপাতালের ইপিআই বিভাগের সুপারভাইজার ঝর্না আক্তার জানান, আমাদের এখানে তিন ডোজ টিকার সংকট রয়েছে। এটা উপর মহলে জানিয়েছি। তারা বলেছে দ্রæতই টিকার ব্যবস্থা করবেন। টিকার কার্ডেরও সল্পতাও রয়েছে। আমাদের হাসপাতাল থেকে করোনার টিকা আনতে সিভিল সার্জন অফিসে আজকেউ লোক গিয়েছিল। টিকার কথা বলেছে। সিভিল সার্জন অফিস থেকে জানানো হয়েছে দ্রæতই টিকা সরবারাহ করা হবে।

ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নজরুল ইসলাম জানান, শিশুদের টিকার সংকট রয়েছে। এ বিষয়ে সিভিল সার্জন অফিসে জানানো হয়েছে। টিকা আসলেই আমরা স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে সরবারাহ করবো। টিকা কার্ড ও সিরিঞ্জ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, টিকা কার্ড আমাদের কাছে সরবারাহ নাই্ থাকলে তো আমরা দিয়েই দেই। আর টিকার সিরিঞ্জের সমস্যা ছিল তা ব্যবস্থা করেছি।

জেলা সিভিল সার্জন ইপিআই সুপারিনটেনডেন্ট এমদাদুল হক জানান, শিশুদের টিকার একটু সংকট রয়েছে। তবে দ্বিতীয় ডোজ টিকা আমাদের কাছে আসছে। এটা আমরা সরবারাহ করবো। বাকী টিকাগুলো দ্রæতই ব্যবস্থা করা হবে। আর টিকা কার্ড আমাদের কাছে শুধু নয় সারা দেশেই এর সংকট রয়েছে।

দেশেরকথা/বাংলাদেশ

এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা

এই সাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।কপিরাইট @২০২০-২০২৪ দৈনিক দেশেরকথা কর্তৃক সংরক্ষিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park