77 বার পঠিত
তলে তলে’ আপস-নিজের আলোচিত এই মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এর ব্যাখ্যা দেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী সময়মতো নির্বাচন হবে, তলে তলে আপস মানে সম্পর্কের উন্নয়ন, ভারত কিংবা যুক্তরাষ্ট্র কেউ আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসাবে এটি উদ্ভট কল্পনা, আওয়ামী লীগের শক্তি দেশের জনগণ।’
এর আগে গত মঙ্গলবার রাজধানীর আমিনবাজারের এক সমাবেশে সেতুমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘তলে তলে আপস হয়ে গেছে। আমেরিকার দিল্লিকে দরকার। দিল্লি আছে, আমরাও আছি। শেখ হাসিনা সবার সঙ্গে ভারসাম্য করে ফেলেছেন। আর কোনো চিন্তা নেই। যথাসময়ে নির্বাচন হবে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের এ বক্তব্য নিয়ে বেশ আলোচনা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে গত ২৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান। এ সময় তিনি বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়, তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন বলে ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক সূত্র জানায়। আজ সেই সাক্ষাতের প্রসঙ্গও তোলেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে গুজব এবং অপপ্রচারের জন্য বিষয়টি এমন দাঁড়িয়েছে আমাদের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক অবনতির দিকে। আমাদের সম্পর্ক খারাপ। এ ধরনের একটি গুজব এবং অপপ্রচার ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে। সম্পর্ক খারাপ এ বিষয়টি আমাদের দেশে সার্বিক অবস্থা রাজনীতিতে এ মুহূর্তে কাম্য নয়। আমি কথাটা যা বলেছি সেটি কি আপনারা অনুধাবন করছেন না?’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে যে বৈঠকের বিষয় এক সপ্তাহ পর্যন্ত কেউ জানে না। তাহলে তলে তলে অনেক কিছু হচ্ছে আমি যে কথা বলেছি, আমি তো ভুল বলিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘জো বাইডেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার কন্যার যে সেলফি তখনো তো কিছু কথা হয়েছে। সেটা তো এখন বলাবলি হচ্ছে। এটা তো আর প্রকাশ্যে হয়নি। এটা কোনো কাগজেও আসেনি, মিডিয়াতেও আসেনি। সুতরাং তলে তলে আপস মানে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়ন বা আমাদের সম্পর্ক ভালো আছে। আমি সেটা বোঝাতে চেয়েছি।’
তলে তলে শব্দটা অনেকে নেতিবাচকভাবে নিচ্ছে সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তলে তলে যে বলি সেটা পাবলিক খায়। সেজন্যই তো বলি খেলা হবে।’
এ সময় বিএনপি নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোনো অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করলে জবাব দেওয়ার জন্য সরকার ও আওয়ামী লীগ প্রস্তুত আছে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।