166 বার পঠিত
ভারেতের নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রো মোদীর দ্বিপাক্ষীয় বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে। বৈঠকে ৭ টি বিষয়ে সমোঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
সমোঝোতার ৭ স্মারকগুলি হলঃ
১। কুশিয়ারা নদী থেকে ১৫৩ কিউসেক পানি উত্তোলনের জন্য সমঝোতা স্মারক।
২। বাংলাদেশ ও ভারতের বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা কাউন্সিলের মধ্যে সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক।
৩। ভারতের ভোপালের ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমি ও বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের মধ্যে সমঝোতা স্মারক।
৪। বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তাদের ভারতে প্রশিক্ষণের জন্য সমঝোতা স্মারক।
৫। বাংলাদেশ ও ভারতের রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক।
৬। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও প্রসার ভারতীর মধ্যে সমঝোতা স্মারক।
৭। স্পেস টেকনোলজি বা মহাকাশ প্রযুক্তি খাতে সমঝোতা স্মারক।
আজ হায়দারাবাদ হাউজে সকাল ১১ টায় শুরু হওয়া বৈঠকে উভয় নেতার উপস্থিতিতে এই সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বেলা দুপুর ২ টা পর্যন্ত বৈঠকে নানা বিষয়ে আলোচনা করা হয়। অতপর উভয় দেশের প্রধান যৌথ সংবাদ সম্মেলনে যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের রাষ্ট্রপ্রতি ভবনে বলেন, “ভারত আমাদের বন্ধু। আমি যখনই ভারতে আসি, এটা আমার জন্য আনন্দের। বিশেষত আমরা সব সময় আমাদের মুক্তিযুদ্ধকালে ভারতের অবদানের কথা স্মরণ করি। আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। আমরা পরস্পরকে সহযোগিতা করছি।
এই সফরে আলোচনা ফলপ্রসূ হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমি আশা করি, একটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা হবে। আমাদের মূল লক্ষ্য অর্থনৈতিকভাবে বিকাশ। আমাদের জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণ করা, যা আমরা করতে সক্ষম হব। বন্ধুত্বের মাধ্যমে আপনি যেকোনো সমস্যার সমাধান করতে পারেন। সুতরাং, আমরা সর্বদা তা করি”।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে- নরেন্দ্র মোদী