183 বার পঠিত
গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চের ভেতরে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় পুরে যাওয়া অভিযান-১০ নামক লঞ্চটি মামলার আলামত হিসেবে জব্দ করেছিলো ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশ।
ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামের লঞ্চটিতে অগ্নিকাণ্ড ও প্রাণহানির ঘটনায় ২৭ ডিসেম্বর সোমবার রাতে ঝালকাঠি সদর থানায় ২৮০/২৮৫/২৮৭ এবং ৩০৪ক/১০৯ পেনাল কোর্ড ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছিলো লঞ্চের নিখোঁজ যাত্রীর স্বজন ঢাকা ডেমরা এলাকার বাসিন্দা মো. মনির হোসেন (মামলা নম্বর ১২)।
ঐ মামলায় অভিযান-১০ লঞ্চটি তখন জব্দ করেছিলো ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশ।
ঘটনার কয়েকদিন পর ঘাট থেকে সরিয়ে সুবিধাজনক স্থান হিসেবে সুগন্ধা পাড়ের ডিসিপার্ক এলাকায় লঞ্চটি বেঁধে রাখা হয়।
পরবর্তিতে থানায় রুজু হওয়া মামলাটি ঢাকা নৌ-আদালতে স্থানান্তর করেছে ঝালকাঠির একটি আদালত। বেশ ক’মাস মাসের আইনি প্রকৃয়া শেষে চলতি বছরের ২৪ জুলাই ঢাকা নৌ-আদালত লঞ্চটির জামিন মঞ্জুর করেছেন।
ঐ আদালতের ১৪৫/২২ নম্বর স্মারকে গত ২৪ জুলাইর আদেশের কপি নিয়ে ১৩ আগষ্ট শনিবার ঝালকাঠি সদর থানায় আসেন লঞ্চ মালিক হামজালাল শেখ।
থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নজরুল ইসলামের স্বাক্ষরিত জিম্মানামার মাধ্যমে আগুনে পোড়া লঞ্চটিকে মুক্ত করেন মালিক হামজালাল।
মামলার তৎকালীণ তদন্তকারী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বিষয়টি দৈনিক দেশেরকথাকে নিশ্চিত করেছেন। তবে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খলিলুর রহমান এবিষয়ে কোনো তথ্য দিতে নারাজ। তিনি দৈনিক দেশেরকথাকে মুঠোফোনে বলেন, লঞ্চটি মালিক এসে নিয়ে গেছে এ ঘটনায় বক্তব্য দেয়ার কোনো বিষয় নেই।
এদিকে ১৯২ ফুট দৈর্ঘ্য, ৩১.৫০ ফুট প্রস্থ এবং ২৭ ফুট উচ্চতার তিনতলা বিশিষ্ট্য বিশালাকারের লঞ্চটির দুইদিকে দুটি বাল্কহেড বেধে ঘন্টাব্যাপী চেষ্টা করেও ঢাকার উদ্দেশ্যে নিয়ে যেতে পারেনি মালিক পক্ষ। স্থানীয়ভাবে লঞ্চের দায়িত্বে থাকা আবু হানিফ জনান, ২/১ দিনের মধ্যে টাগবোর্ড এনে লঞ্চটি ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হবে।