127 বার পঠিত
আগামীকাল ২১ জুলাই বৃহস্পতিবার জামালপুরের বকশীগঞ্জে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষনা করা হবে বকশীগঞ্জ উপজেলাকে। উপজেলাতে অসংখ্য ভূমিহীন থাকা স্বত্বেও এ ধরনের ঘোষনা এ নিয়ে সরকারী দল আওয়ামীলীগের মধ্যেও রয়েছে চরম ক্ষোভ। আর এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে সমালোচনা ঝড়।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি এ ঘোষনা দিবেন। জামালপুরের ৭টি উপজেলার মধ্যে বকশীগঞ্জ ও সারা দেশের ৫২টি উপজেলা গৃহহীন ও ভূমি ঘোষনা করবেন তিনি।
এ উপলক্ষে জামালপুরের জেলা প্রশাসক ও বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার পৃথক পৃথকভাবে প্রেস ব্রিফিং করেছেন। বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রেস ব্রিফিং সু্ত্রে জানা যায়, উপজেলার পৌরসভাসহ ৭টি ইউনিয়নের ২১২জন ভূমিহীন চিহ্নিত করা হয়েছে। এদের প্রত্যেকেই জমি ও ঘর দিয়ে পুর্ণবাসন করার ফলে বকশীগঞ্জ উপজেলা এখন ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত।
তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রেস ব্রিফিং এর সাথে সরকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মত বিরোধ রয়েছে।উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজয় জানান, ৭ ইউনিয়ন নয়, শুধু বকশীগঞ্জ পৌরসভাতেই প্রায় শতাধিক ভূমিহীন ও গৃহহীন রয়েছে। দলের সাথে সম্বন্বয় না করে মনগড়া তথ্য দিয়ে এই ঘোষনার তীব্র সমালোচনা করে জানান, উপজেলা নির্বাহী ভূমিহীন মুক্ত তথ্য কিভাবে সরকারকে দিলেন সেটি তার বোধগম্য নয়।
এ ধরনের ঘোষনা স্থানীয় আওয়ামীলীগও বিব্রত বলে জানান তিনি। এছাড়া এ নিয়ে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে সমালোচনা।অনেকই বলছেন এটি একটি নাটকের অংশ। কারণ এর আগে বকশীগঞ্জ উপজেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত,বাল্য বিয়ে মুক্ত ও পলিথিন মুক্ত ঘোষনা করা হলেও বাস্তব চিত্র পুরোটাই ভিন্ন।
এদিকে ২০১৯ সালের ১ সেপ্টম্বর বকশীগঞ্জ উপজেলাসহ পুরো ময়মনসিংহকে পলিথিন মুক্ত ঘোষনা দেয় সরকার। ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মুস্তাফিজুর রহমান এ ঘোষনা দেন। ২০১৯ সালের ৭ মার্চ বৃহস্পতিবার উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এ উপজেলাকে বাল্য বিবাহ মুক্ত ঘোষনা করেন তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেওয়ান মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ।
২০১৮ সালে জামালপুরের বকশীগঞ্জকে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষনা করে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসান সিদ্দিকী এ ঘোষনা দেন।