126 বার পঠিত
জামালপুর প্রতিনিধি>বাঁশঝাড় থেকে মেয়ে ময়নার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধারের ৩৬ ঘণ্টা পর জামালপুরের সদর উপজেলায় নিখোঁজ জোসনা বেগমের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার বড়ইতাইর গ্রামের বানার খাল থেকে ভাসমান অবস্থায় জোসনা বেগমের লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে সদর উপজেলার নান্দিনা বাদামবাড়ী গ্রামের কামাল হোসেনের স্ত্রী জোসনা বেগম ও তার মেয়ে কাজলী আক্তার ময়না বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাদের সন্ধান মেলেনি।
সবশেষ কাজলী আক্তার ময়নার লাশ উদ্ধারের ৩৬ ঘণ্টা পর সোমবার ৫ আগষ্ট সন্ধ্যায় সদর উপজেলার বড়ইতার গ্রামের বানার খালের পানিতে এক নারীর লাশ ভাসতে দেখেন এলাকাবাসীরা। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে লাশটি উদ্ধারের পর সেটি নিখোঁজ জোসনা বেগমের লাশ শনাক্ত করেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা।
এর আগে গত রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে রানাগাছা কুমারিয়া গ্রামের একটি বাঁশঝাড় থেকে মেয়ে কাজলী আক্তার ময়না( ৩০) নামের এক যুবতীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জানা যায়,কাজলী আক্তার ময়না, জামালপুর সদর উপজেলা রানাগাছা ইউনিয়নে নান্দিনা বাগান বাড়ি গ্রামের কামাল উদ্দিনের কন্যা।
তাকে ধর্ষণের পর গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে মেয়ের লাশ উদ্ধার হলেও মা জোসনা বেগম নিখোঁজ ছিলেন।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা- ধর্ষণের পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে ও গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে কাজলীকে হত্যা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মা জোসনা বেগমকেও হত্যা করে লাশ খালের পানিতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়।
লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে জামালপুর থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজ জানান, ”জোসনা বেগমের লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। সেই সঙ্গে মা-মেয়েকে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার শোলাকুড়ি গ্রামের শামীম ও জামালপুর সদর উপজেলার বাঁশচড়া গ্রামের মামুনকে আটক করা হয়েছে। এই খুনের সাথে জড়িতের জন্য পুলিশ গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চালাছে”।