1. admin@daynikdesherkotha.com : Desher Kotha : Daynik DesherKotha
  2. arifkhanhrd74@gmail.com : desher kotha : desher kotha
  3. mdtanjilsarder@gmail.com : Tanjil News : Tanjil Sarder
জামালপুরে শিক্ষকের বেত্রাঘাতে ছাত্রী আহত। - দৈনিক দেশেরকথা
শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩, ১২:৫৯ পূর্বাহ্ন

জামালপুরে শিক্ষকের বেত্রাঘাতে ছাত্রী আহত।

শাহ্ আলী বাচ্চু
  • প্রকাশ বৃহস্পতিবার, ২৫ আগস্ট, ২০২২

 42 বার পঠিত


জামালপুর প্রতিনিধি>জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলা ফুলকোচা উচ্চ বিদ‍্যালয়ের শিক্ষকের বেত্রাঘাতে ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।

এছাড়া গুরুতর আহত মল্লিকা মিনু (১৫) নামের এক ছাত্রীকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।বুধবার ২৪ আগস্ট দুপুরে মেলান্দহ উপজেলার ফুলকোচা ইউনিয়নের ফুলকোচা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে ইংরেজি বিষয় পাঠদানকালে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার জেরে বিক্ষুব্ধ অভিভাবকরা বেত্রাঘাতকারী ওই শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার ঘটনাও ঘটেছে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।

শিক্ষকের বেত্রাঘাতে আহত দশম শ্রেণির একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম দশম শ্রেণির ইংরেজি বিষয়ের পাঠদানের সময় পড়া শিখে না আসায় অন্তত ২০-২৫ জন শিক্ষার্থীকে বেত দিয়ে পেটান।

তারা সবাই কমবেশি আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত মল্লিকা মিনু নামের এক শিক্ষার্থী বাড়িতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তার অভিভাবকরা জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান।

বেত্রাঘাতে গুরুতর আহত শিক্ষার্থী মল্লিকা মিনু জানায়, শফিকুল স্যার ক্লাসে ঢুকেই যারা পড়া শিখে আসেনি তাদের দাঁড় করিয়ে বেত্রাঘাত করেন এদিকে নিজের মেয়েসহ মেয়ের সহপাঠীদের বেত দিয়ে পেটানোর ঘটনার বিচার দাবি করেছেন মল্লিকার বাবা গোলাম মোস্তফা।

তিনি বলেন, “আমার মেয়েকে হাসপাতালে জরুরি বিভাগের আনার পর মহিলা নার্সরা গুনে দেখেছেন বেতের আঘাতে অন্তত ১৫টি স্থানে মারাত্মক জখম হয়েছে। তার  শরীরে  জ্বর এসেছে।

আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ওই শিক্ষকের বিচার দাবি করছি।”বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. ফজলুর রহমান বলেন, “পড়া না শিখে আসার কারণ দেখিয়ে দশম শ্রেণির ইংরেজি ক্লাসে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাত করেন সহকারী প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম।

শিক্ষক শফিকুল ইসলাম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীদের বেত্রাঘাত করেছেন। কাজটি ঠিক করেননি তিনি।”
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও মেলান্দহ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান বলেন, “আমি শুনেছি যে শিক্ষার্থীদের বেত্রাঘাতের পর অভিভাবকরাও ওই শিক্ষককে লাঞ্ছিত করেছে। সব পক্ষকে ডেকে বিষয়টি সমাধান করা হবে।

জামালপুর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরা মুস্তারী ইভা বলেন, “ফুলকোচা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বেত্রাঘাত করার ঘটনাটি আমাকে জানানো হয়নি। এখন আপনার কাছে শুনলাম। খোঁজখবর নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

দেশেরকথা/বাংলাদেশ

এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা

এই সাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।কপিরাইট @২০২০-২০২১ দৈনিক দেশেরকথা কর্তৃক সংরক্ষিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park