166 বার পঠিত
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের শেখরকাঠি গ্রামে এক কিশোরী গণধর্ষণের স্বিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৩০ আগষ্ট) নলছিটি থানায় একটি মামলা দ্বায়ের করেছে ভুক্তভুগী ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরী। মামলাটি রুজুর পরেই এজাহারভুক্ত ৪ আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মামলা গ্রহন এবং আসামী গ্রেফতারের তথ্যটি নিশ্চিত করেছে নলছিটি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতাউর রহমান।
ওসি বলেন, ‘কিশোরীর কাছ থেকে পাওয়া এজাহারটি মামলা হিসেবে রুজু করেছি, এজাহারে যে ৫জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে তারা হলো, বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ থানার মোতালেব সিকদারের ছেলে ৪৮ বছর বয়সী মোজাফফর সিকদার, মতিউর রহমানের ছেলে ৩০ বছর বয়সী আরিফ হোসেন, নলছিটি থানা এলাকার বেলাল হাওলাদারের ছেলে ৩৫ বছর বয়সী মো. রাসেল হাওলাদার। ঘটনায় সহযোগীতাকারী ৪৫ বছর বয়সী মোসাম্মৎ শাহিদা বেগম, ৪২ বছর বয়সী মোসাম্মৎ আসমা বেগম। এর মধ্যে রাসেল ছাড়া বাকিদেরকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
ধর্ষনের স্বিকার দাবীকরে এজাহারে ঐ নারী লিখেছেন। গত ২৯ আগস্ট সোমবার সন্ধ্যার দিকে তিনি তার বাড়িতে গণধর্ষণের স্বিকার হয়েছেন। ৫জনে মিলে তাকে পালাক্রমে ধর্ষন করেছে বলেও তিনি এজাহারে লিখেছেন।
মামলার বাদী ঢাকার নারায়নগঞ্জের বাসিন্দা ঐ কিশোরী বলেন, ‘সেখরকাঠি গ্রামের শাহিদা বেগমের সাথে ঢাকায় থাকাকালীন সময়ে তার সাথে একটি ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠে তারই সুবাধে গত ২৯ আগস্ট সকালে শাহিদার ঝালকাঠির বাসায় বেড়াতে আসি। ঐদিন বিকেলে ৫জন লোক আমাকে টাকার লোভ দেখায় এবং আমাকে তাদের সাথে যেতে বলে, আমি রাজি হইনাই। পরে সন্ধ্যার সময় আমাকে শাহিদার ঘরেই জোর করে পালাক্রমে ধর্ষন করে।
দপদপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) নাজনিন আক্তার নিপা বলেন, ‘ঘটনা শুনার পরে মঙ্গলবার স্থানিয়দের সহযোগীতায় মেয়েটিকে আমি আমার হেফাজতে নলছিটি থানা পুলিশের কাছে নিয়ে যাই এবং ঘটনায় জড়িত ৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দ্বায়েরে সহযোগীতা করেছি।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ‘মেয়েটিকে মূলত অণৈতিক কাজের জন্যই ঢাকা থেকে এখানে নিয়ে আসা হয়েছে। এখন তাদের ভিতর আর্থিক বনিবনা না হওয়ায় ঘটনা ভিন্ন দিকে প্রবাহিত হয়েছে