163 বার পঠিত
গবি প্রতিনিধি>সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যার্তের মাঝে গণস্বাস্থ্যের ত্রাণ বিতরন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এ কার্যক্রমের ১২তম দিনে সুনামগঞ্জে জয়কলস ইউনিয়ন কাটাগাং গ্রামে ১৯০০ পরিবারকে ত্রাণ দিয়েছে দেশের অন্যতম বেসরকারি প্রতিষ্ঠানটি।
বুধবার (২৯ জুন) সকাল ১০:৩০ মিনিটে রাস্তার উপরে শুকনো স্থানে বন্যার্ত পরিবারগুলোর মাঝে শুকনা খাবারঃ চিড়া, গুড়, টোস্ট, বাচ্চাদের বিস্কুট, বিশুদ্ধ পানি এবং ৫০ কেজী ওজনের গো-খাদ্যঃ কুড়া-ভূষি বিতরণ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন গণস্বাস্থ্যের কৃষি সমবায়ের পরিচালক প্রকৌশলী রঞ্জন কুমার মিত্র, গ্রামীণ স্বাস্থ্যের পরিচালক ও সিলেট সুনামগঞ্জ অঞ্চলের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ত্রাণ কার্যক্রমের সমন্বয়ক ডা. কে. এম. হালিমুর রেজা, মানবসম্পদ সহকারী অফিসার শাহনাজ পারভিন, গণ শিল্পালয়ের প্রধান মোঃ আবুল হাসান সহ অন্যান্য কর্মকর্তা, স্বেচ্ছাসেবকগণ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
ত্রাণ নিতে আসা মকবুল হোসেন বলেন, ‘আজ পর্যন্ত আমাদের এখানে সরকার বা কোনো সংস্থা থেকে সহায়তা করতে কেউ এগিয়ে আসেনি। গণস্বাস্থ্যই প্রথম সহায়তায় হাত বাড়িয়েছে। ঘর ভেঙে যাওয়ার আমাদের এলাকার জনগণরা মসজিদে, গণস্বাস্থ্য কমিউনিটি হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছে। এজন্য গণস্বাস্থ্যের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।‘
সার্বিক বিষয়ে গণস্বাস্থ্যের কৃষি সমবায়ের পরিচালক প্রকৌশলী রঞ্জন কুমার মিত্র বলেন, ‘বছরের ৭-৮মাসই এ অঞ্চল পানির নিচে থাকে। শুধুমাত্র গ্রীষ্মের সময়টা বোরো ধানের আবাদ হয়৷ অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে সেটাও এখন তলিয়ে গেছে। দুর্গত এলাকা বলে এখানে কেউ সহজে আসেও না। এদের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতার চেষ্টা করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া অব্দি এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, সিলেটে ও সুনামগঞ্জের বন্যার্তদের মাঝে ১০০ টন খাদ্য বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয় ১৭ জুন। এছাড়াও পাগলা বাজার, শান্তিগঞ্জ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালের ১০টি মেডিকেল ক্যাম্পে ৯৫০ জনকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। গৃহহীন পরিবারগুলোকেও ঘর তৈরী করে দেওয়া হয়।