138 বার পঠিত
পাবনা প্রতিনিধি>পাবনা সদর উপজেলার ভাঁড়ারায় যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূ রুমানা পারভীনকে গুলি করে খুনের ঘটনায় স্বামী মো. আব্দুল্লাহকে ফাঁসি ও ১ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে মামলার ৩ জন আসামীকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মিজানুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মো. আব্দুল্লাহ ভাঁড়ারা ইউনিয়নের পশ্চিম দামুয়া গ্রামের আব্দুল লতিফ প্রামানিকের ছেলে। রায়ের সময় আসামীরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে মৃত্যুদণ্ড আসামীকে কারাগারে পাঠানো হয় এবং খালাসপ্রাপ্তদের মুক্তির আদেশ দেওয়া হয়।
নিহত গৃহবধূ রুমানা পারভীন একই গ্রামের মো. রফিকুল ইসলামের মেয়ে।মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালে ভালোবেসে বিয়ে করেন আব্দুল্লাহ ও পারভীন। বিয়ের পর থেকেই যৌতুক দাবি করে আসছিলেন আব্দুল্লাহ।
একাধিকবার টাকা দিলেও ঘটনার কয়েক দিন আগে আবারও যৌতুকের টাকা দাবি করেন তিনি। টাকা দিতে অস্বীকার করলে ২০১৪ সালের ৩০ অক্টোবর গভীর রাতে ঘরে থাকা বন্দুক দিয়ে রুমানা পারভীনকে গুলি করে মেরে ফেলেন। খবর পেয়ে পাবনা সদর থানা পুলিশ গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা মো. রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ৪ জনের বিরুদ্ধে পাবনা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ১০ মার্চ ৪ জনের বিরুদ্ধেই অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। দীর্ঘ আইনী প্রক্রিয়া শেষে মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) রায় ঘোষণা করা হলো।
আসামী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট এসএম ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘রায়ে আমার মক্কেল ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব। আশা করি আমার মক্কেল সেখানে ন্যায় বিচার পাবেন এবং নির্দোষ প্রমানিত হবেন।
তবে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি এডভোকেট খন্দকার আব্দুর রকিব। তিনি বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটি দৃষ্টান্তমূলক রায়। আশা করি আইনী প্রক্রিয়া শেষে খুব দ্রুত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে।