1. admin@daynikdesherkotha.com : Desher Kotha : Daynik DesherKotha
  2. arifkhanhrd74@gmail.com : desher kotha : desher kotha
  3. mdtanjilsarder@gmail.com : Tanjil News : Tanjil Sarder
কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি খোলা রাত ৭টা পর্যন্ত কিন্তু মেয়েদের হল বন্ধ সন্ধ্যা ৬টা! - দৈনিক দেশেরকথা
বৃহস্পতিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ০১:৩৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
গাউসিয়া হক মঞ্জিলের  ব্যবস্হাপনায় ২ দিনব্যাপী রাউজান উপজেলাধীন এতিমখানা ও হেফাজখানাই খাবার বিতরণ  নলডাঙ্গায় ৩ হাজার ৭০০ প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রণোদনা ও রাসায়নিক সার বিতরণ ডেঙ্গুতে আরও ১৬ জনের মৃত্যু বিএনপি খালেদা জিয়ার অসুস্থতাকে পুঁজি করে অপতৎপরতা চালাচ্ছে: ওবায়দুল কাদের ফের কমল স্বর্ণের দাম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে মঞ্চ মাতাবেন নগর বাউল ‘জেমস’ বকশিগঞ্জে একসাথে তিন সন্তান প্রসব করলেন তাসলিমা নতুনধারার রাজনৈতিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত মাধবপুরে শিকারীদের ফাঁদে বিলুপ্তির পথে কৃষকের বন্ধু সাদা বক বৃহস্পতিবার ঈশ্বরদী রূপপুরে ইউরেনিয়াম হস্তান্তর, প্রকল্প এলাকায় উৎসবের আমেজ

কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি খোলা রাত ৭টা পর্যন্ত কিন্তু মেয়েদের হল বন্ধ সন্ধ্যা ৬টা!

নিউজ ডেস্ক
  • প্রকাশ শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

 76 বার পঠিত

গত বুধবার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট ড. অশোক কুমার চক্রবর্তী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় মাগরিব নামাজের পর কোন ছাত্রী হলের বাহিরে থাকতে পারবে না। সেখানে আরও উল্লেখ করা হয়, যদি কোন ছাত্রী মাগরিব আজানের পরে হলের ভিতরে ঢুকতে চাইলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। এর পর থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে তৈরি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। 

শিক্ষার্থীরা বলছেন, ছাত্র-ছাত্রীদের হলে প্রবেশের সময় নিয়ে বৈষম্য থাকা উচিত নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি রাত ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত পড়াশুনা করে। তবে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি যেখানে রাত ৭টা পর্যাপ্ত খোলা থাকে সেখান হল সন্ধ্যা ৬টায় বন্ধ হবে সিদ্ধান্তটা অযৌক্তিক বলে মনে হয় শিক্ষার্থীদের কাছে। 

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ছাত্রীদের আবাসিক হলে রাতে প্রবেশের নতুন সময়সীমা নির্ধারণ করেছে কর্তৃপক্ষ। রাত ৭টা থেকে কমিয়ে সেটি করা হয়েছে সন্ধ্যা ৬টা(মাগরিব আযান পর্যাপ্ত তবে শীতকালে মাগরিব আযান হয়ে থাকে বিকাল ৫:৩০ এর দিকে) হল প্রাধ্যক্ষরা মিটিং করে গত ১১ সেপ্টেম্বর এ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়,  মাগরিব আযানের পূর্বে ছাত্রীদের হলে প্রবেশ করতে হবে। এর আগে এই সময়সীমা ছিল সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। তবে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ছাত্রদের হলে প্রবেশের কোনো সময়সীমা নেই। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন শিক্ষার্থীদের অনেকেই। তারা বলছেন, ছাত্র-ছাত্রীদের হলে প্রবেশের সময় নিয়ে এমন বৈষম্য থাকা উচিত নয়।

বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূইয়া বলেন, ছাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যদি শিক্ষার্থীদের আপত্তি থাকে তাহলে অবশ্যই আমরা ভেবে দেখব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের খালেদা জিয়া হলের একজন আবাসিক ছাত্রী বলেন,বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো মুক্তচর্চার জায়গায় এমন কোনো ধরনের আইন থাকা উচিত নয়। কারণ এখানে ছেলে-মেয়েদের সমান অধিকার থাকা উচিত। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের কাজ করা উচিত সম্পূর্ণ কেম্পাসে তবে মেয়েদের হলে এভাবে প্রভাববিস্তার সম্পূর্ণ হাস্যকর। 

শহীদ জিয়াউর রহমান হলের হলের আবাসিক ছাত্র রাজু বলেন, একই ক্যাম্পাসে ছেলে-মেয়ে সবার সমান অধিকার থাকা উচিত। এমন একমুখী আইন আমি সমর্থন করি না। যেখানে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি রাত ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকে সেখান মেয়েদের হল কীভাবে সন্ধ্যা ৬টার পর মেয়েদের বাহিরে থাকায় নিষেধ করে। এসব হয়রানিমূলক কোনো নিয়ম থাকা উচিত নয়।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ইবি শাখার সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিক আরাফাত বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মুক্ত জ্ঞান চর্চার কেন্দ্র এখানে সকল শিক্ষার্থীদের অধিকার সমান। শিক্ষার্থীরা যদি তাদের সমস্যার ব্যাপারে যৌক্তিক দাবি উত্থাপন করে তাহলে আমরা তাদের অবশ্যই সমর্থন করব। 

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ইবি শাখার সহ সভাপতি মেহেদী রাফি বলেন, আবাসিক হলের সময়সীমার বিষয়ে আসলে ছাত্রীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে একটি সিদ্ধান্ত নেয়া প্রয়োজন। তবে হলে প্রবেশের সময়সীমা আরও বাড়ানো দরকার।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন বলেন, ‘সান্ধ্য আইন হিসেবে ওইভাবে শিক্ষার্থীদের ওপর চাপায়ে দিতে চাই না আমরা। প্রত্যেকটা ছেলে-মেয়ের নিরাপত্তার বিষয়টা সবার আগে। ছেলে-মেয়ের বাবা-মাও যেমন করে চায় যে একটা সময় পর্যন্ত বাইরে থেকে তারা লেখাপড়ায় ব্যস্ত হোক। আমরাও স্বাভাবিক অর্থে সেইটাই চাচ্ছি। কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছাত্রীদের হল থেকে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির দুরত্ব হওয়াতে তাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ছেলেদের হলে প্রবেশের নির্ধারিত সময় নাই, অথচ মেয়েদের সময়সীমা কেন নির্ধারণ করা হলো?

এ প্রশ্নে প্রোক্টর বলেন, এটি এখন স্বাভাবিক প্রশ্ন, সবাই করতে পারে। কিন্তু এর পরিপ্রেক্ষিতটাও আমি একটু ভাবতে অনুরোধ করব। ছেলে-মেয়েরা কে কোথায় যাচ্ছে সেটা তো বলতে পারি না। আমরা বাবা-মায়েদের কথা ভেবে, অনেক বাবা-মায়ের সঙ্গে আমাদের কথাও হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও কথা হয়েছে। ছাত্রদের হলের বিষয়ে রাত ১১টার পরে বন্ধ হওয়ার কথা ছিল তবে সেটা কার্যকর করা সম্ভব হয়নি তবে বিষয়টি আমাদের মাথায় আছে। মেয়েদের নিরাপত্তার বিষয়টি প্রথমে ভাবতে হয় তাই ছেলেদের থেকে মেয়েদের হলের বিষয়টা ভিন্ন । আমরা সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব। জরুরি পরিস্থিতি বা প্রয়োজনে সময়সীমার বিষয়টা বিবেচনা করা হবে জানিয়ে প্রক্টর ড. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘কারও জরুরি প্রয়োজন হলে কেউ এতটা অমানবিক হবে না যে জরুরি বিষয়টা বুঝবে না। সেদিকটাও অবশ্যই বিবেচনায় থাকবে।

দেশেরকথা/বাংলাদেশ

এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা

এই সাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।কপিরাইট @২০২২-২০২৩ দৈনিক দেশেরকথা কর্তৃক সংরক্ষিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park