378 বার পঠিত
বাংলার সাহিত্য সংস্কৃতিতে,ছড়া গানে ও কৃষ্ণচূড়া রং ছড়িয়েছে। যুগে যুগে কবি সাহিত্যিকরাও কৃষ্ণচূড়ার প্রেমে মজেছেন। বাঙালির ইতিহাস ঐতিহ্যে,আন্দোলন সংগ্রাম ও সমাবেশের পটভূমির সাথে কৃষ্ণচূড়ার সম্পর্ক নিবিড়। বাঙালির জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম,কৃষ্ণচূড়ার প্রেমে মুগ্ধ হয়ে কবিতায় লিখেছেন। “কৃষ্ণচূড়ার রাঙা মঞ্জুরী কর্ণে, আমি ভুবন ভোলাতে আসি গন্ধে ও বর্ণে”।
“রেশমি চুড়ির তালে কৃষ্ণচূড়ার ডালে পিউ কাঁহা, পিউ কাঁহা ডেকে ওঠে পাপিয়া”
বৈশাখের শেষ বেলায় প্রচন্ড তাপপ্রবাহের মাঝে কৃষ্ণচূড়ার লাল আভা প্রশান্তির ছোঁয়া এনে দেয় হৃদয়। খরতা আর রুক্ষতাকে ছাপিয়ে প্রকৃতিতে কৃষ্ণচূড়া নিজেকে মেলে ধরেছে পরম ভালোবাসায়। কটিয়াদী উপজেলা সদরের প্রাণকেন্দ্র ঐতিহ্যবাহী কটিয়াদী বাজারের উত্তর প্রান্ত এবং উপজেলা পরিষদের পশ্চিম ভাগে অবস্থিত উপজেলার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ কটিয়াদী সরকারি কলেজের প্রবেশদ্বারের উপরে দাঁড়িয়ে থাকা কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম ফুল যেন স্বাগত জানাচ্ছে শিক্ষার্থীদের। সবুজ চিরল পাতার মাঝে যেন রক্ত রঙের ফোয়ারা বাতাসে দোলছে। শিক্ষার্থী এবং পথচারীরা পুলকিত নয়নে উপভোগ করেন এই সৌন্দর্য। এছাড়াও উপজেলা পরিষদ কার্যালয় সহ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়ে কৃষ্ণচূড়া ফুল শোভা পাচ্ছে।