54 বার পঠিত
নীলফামারী কিশোরগঞ্জ উপজেলার শিশু নিকেতন স্কুল এন্ড কলেজে বিনা পারিশ্রমিকে ২৮ বছর চাকরি করে অবশেষে নিয়োগ বানিজ্যের কাছে হার মেনে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন পরিচ্ছন্নতাকর্মী সেকেন্দার আলী। এ ব্যাপারে তিনি রংপুর অঞ্চলের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা উপ-পরিচালক সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দাপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ ও সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে সেকেন্দার আলী ১৯৯৫ সালে শিশু নিকেতন স্কুল এন্ড কলেজে ঝাড়–দার পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। কিন্তু জনবল কাঠামোর মঞ্জুরী না থাকায় তিনি এমপিও ভুক্ত হন নাই। ২০২১ সালের ২৮ মার্চ ওই পদটি নাম পরিবর্তন করে পরিচ্ছন্ন কর্মী হিসেবে সমন্বয় করা হয়। সে সময়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সদস্যগনের সম্মতিক্রমে তার পদটিও সমন্বয় করে নিয়োগ দেওয়া হয়। সে জন্য তার কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা নেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
পরে সেকেন্দার আলীর কাছে আরো ৫ লক্ষ টাকা দাবী করেন ওই স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মালেক। ভুক্তভোগী সেকেন্দার আলী বলেন, দীর্ঘদিন বিনা পারিশ্রমিকে চাকরি করে নিঃস্ব হয়ে পড়েছি। আমার পাঁচ সদস্য পরিবারের খরচ যোগাতে বর্তমানে হিমশিম খাচ্ছি। এক মেয়ে রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ে ও এক ছেলে কুষ্টিয়া বিশ^বিদ্যালয়ে লেখা পড়ার খরচ জোগাতে পারছিনা। বর্তমানে আমার পরিবার খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। আমার পরিবারের দূর্বিসহ দিনযাপন মানবতাকে হার মানিয়েছেন। এ অবস্থায় অধ্যক্ষের চাহিদার ৫ লক্ষ টাকা দিতে না পারায় তরিঘড়ি করে অন্য প্রার্থীকে নিয়োগ প্রদান করে অধ্যক্ষ।
অভিযোগের বিষয়ে শিশু নিকেতন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মালেকের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এটিএম নূরল আমীন শাহ্ অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ভুক্তভোগী আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও অভিযোগ দিয়েছে। তারা আমাকে যে নির্দেশ করবে আমি সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।