1. admin@daynikdesherkotha.com : Desher Kotha : Daynik DesherKotha
  2. arifkhanjkt74@gamil.com : arif khanh : arif khanh
  3. alaminjhalakati@gmail.com : Al-Amin Khan : Al-Amin Khan
কিশোরগঞ্জে হারিয়ে যাচ্ছে  ঠাঠারী পেশার কারিগর  - দৈনিক দেশেরকথা
মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্বৈরাচার পতনে বাক স্বাধীনতা  ফিরে পেয়েছে গণমাধ্যম কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই স্কুলছাত্র নিহত দ্রুত শুরু হবে কালুরঘাট সেতুর নির্মাণ কাজ গলাচিপায় মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত সাবেক মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রীসহ ১৬ আসামির শুনানি আজ পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটে বসানো হতো আওয়ামী লীগ অনুগত্যদের এখন টিভির রাজশাহী প্রতিনিধি মাসুমা আক্তার আর নেই কেন চিনি খাবেন না নতুন রাজনৈতিক দলে যোগদানের বিষয়ে যা বললেন উপদেষ্টা নাহিদ নাগরিকদের তথ্য ফাঁস বাঁচাতে এনআইডি ভেরিফিকেশনে নতুন সিদ্ধান্ত: ইসি সৈয়দপুরে বিএনপির মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষে কিশোরগঞ্জে শুভেচ্ছা র‍্যালি

কিশোরগঞ্জে হারিয়ে যাচ্ছে  ঠাঠারী পেশার কারিগর 

আনোয়ার হোসেন
  • প্রকাশ মঙ্গলবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১

 169 বার পঠিত

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি>স্টিল-মেলামাইন প্লাস্টিকের  তৈজস পত্রের ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছে অ্যালুমিনিয়াম, স্টিল,সিলভারের হাড়ি,পাতিল, টিনের তৈরি বালতি,হারিকেন,ল্যাম্প(কুপি),,ড্রাম।  সেই সাথে হারিয়ে যাচ্ছে পুরনো তৈজসপত্র মেরামতের ঠাঠারী  কারিগররা।আধুনিকতার ছোঁয়ায় ক্ষুদ্র ঠাঠারী শিল্পটিও আজ বিলুপ্তপ্রায়। এ শিল্পের  তৈজস পত্রের স্থান দখল করে নিয়েছে হরেক রকম কোম্পানির নান্দনিক সব তৈজসপত্র ।এক সময় কামার শিল্পের আদলে গড়ে উঠা  পুরনো তৈজসপত্র মেরামতের কারিগরদের কদর ছিল ব্যাপক।
এসব কারিগররা  গ্রাম-গঞ্জে ঘুরে  রাস্তার মোড়ে বসে  ভাতির হাওয়া, হাতে লম্বা  লোহার সিজার (কাচি), সিসার আং পাইন, আর  টুংটাং শব্দে জেড়াতালি দিয়ে  মেরামত করত পুরনো  হাড়ি,পাতিল,ঢাকনা, বালতি,জগ।  এ পেশায় সম্পৃক্ত থেকে অনেকেই সংসারও চালাত। এখন  নিপুণ হাতের  কারিগররা রোজগার জীবনের রসদ খুঁজে না পাওয়ায় অনেকে এ পেশা ছেড়ে দিয়েছেন।
কদাচিৎ দেখা মিললেও এর মধ্যে এ কারিগরের দেখা মেলে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা শহরের হাটে। কারিগর সিরাজুল সদর ইউপি’র মুশা হাজি পাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি জানান, একটা সময় গৃহস্থলী পরিবারের  পুরনো জিনিষপত্র যেমন-হারিকেন,ল্যাম্প(কুপি),জগ,বালতি,ড্রামের ভাঙ্গা ফুটো (ছিদ্র) মেরামতের কাজ ছিল প্রচুর।
হাট- বাজারসহ গ্রামে গ্রামে ঘুরে এ সব  মেরামত করা হত। তখন আয় রোজগারও ভাল ছিল।সে দিন আজ শুধুই  স্মৃতি।সময়ের ব্যবধানে মানুষের  রুচির পরিবর্তন আসায়  মুলতঃ প্লাষ্টিকসহ বিভিন্ন ব্রান্ডের রাইস কুকার,কারিকুকার ও বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবহার এসে এ পেশার ধ্বস নেমেছে। অন্য কাজ জানা না থাকায়, বাধ্য হয়ে ৪০ বছর ধরে কোন রকমে এ পেশায় চলে জীবিকা।
কিশোরগঞ্জ হাটে  পুরনো  বালতি মেরামত করতে আসা মোখলেছার রহমান জানান,আর আগের মত এদের পেশা নেই।সবাই এখন প্লাষ্টিক সামগ্রি ব্যবহারে অভ্যস্থ হয়ে পড়েছে। একসময় গ্রাম-গঞ্জে  এসব কারিগরদের  বিচরণও ছিল চোখে পড়ার মত। এখন আর তেমন চোখে পড়েনা।

দেশেরকথা/বাংলাদেশ

এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা

এই সাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।কপিরাইট @২০২০-২০২৪ দৈনিক দেশেরকথা কর্তৃক সংরক্ষিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park