152 বার পঠিত
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি>নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে ভাগ্যবিড়বিম্বত জামেনুর রহমান নিজ জন্ম স্থান ও নিজ গ্রামে ভূমিহীন। তিল ধারনের জমি নেই তার।
জাতীয় পরিচয়পত্রের সূত্র ধরে তিনি উপজেলার পুটিমারী ইউপির কালিকাপুর মন্থনা গ্রামের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত্যু কান্দুরা মামুদের ছেলে। বাবা অন্যের ভিটেমাটিতে জীবন কাটায় ।
পরবর্তীতে সেখানে ঠাঁই না হওয়ায় তিনি কিশোরগঞ্জ টেংঙ্গনমারী সড়কের মন্থনা হাফিজিয়া মাদ্রাসা অদুরে সড়কের ধারে আশ্রয় নেয়।
সেখানে ১৫ বছর যাবত জরাজীর্ণ ছাপরা টিনের চালায় পলিথিন আর ভাঙ্গাচোরা টিনের কিছু জোড়াতালি দেওয়া বেড়া । একমাত্র জীর্ণ টিনের চালায় বৃদ্ধা মা,স্ত্রী,বিবাহ যোগ্য পুত্রকে নিয়ে এক চৌকি ও মেঝেতে গাদাগাদি বসবাস।আর সেখানে রাধেন,সেখানে ঘুমান,সেখানে প্রকৃতি সারেন।
ভাঙ্গা বেড়া ও পলিথিনের ফাঁক দিয়ে অনায়াসে চোখে পড়ে জীর্ণকুঠিরের আদ্যোপান্ত। টিনের চালার সামনে যোগ হয়েছে পলিথিন ও পুরনো ছেড়া কাপড়। শৌচাগার নেই, যেতে হয় খোলা মাঠে।এ যেন প্রয়াত পল্লী কবি জসিম উদ্দিনের আর এক আসমানির ঘর।
পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী জামেনুর বাত ব্যাথাসহ নানা রোগে কর্ম ক্ষেত্রে অক্ষম হয়ে পড়েন।স্ত্রী জোহরা বেগমের যৎসামান্য আয়ের ঝালমুড়ির ব্যবসায় চলে তাদের কোন রকমের জীবন সংসার। এমতাবস্থায় জমিসহ নতুন ঘর নির্মাণ ইঁদুর কপালিদের কাছে আকাশ কুসুম কল্পনা।
সড়কের যানবাহনের ধুলো-বালু আর শব্দ দূষনে নির্ঘুম রাত কাটে তাদের। ঝড়বৃষ্টির কথা মনে হলে দেখা দেয় কপালে চিন্তার বলি রেখা। আশ্রয় নিতে হয় স্কুলের বারান্দায় নয়তো অন্যের ঘরে।
স্ত্রী জোহরা বলেন,জমিসহ একটি ঘরের জন্য নিদারুণ কষ্টে আছি।সড়কের ধারে বিপদজনক ও আতঙ্কে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছি ।কয়েক মাস আগে একটি ট্রাক আর্তকিতভাবে চালার ভিতরে ঢুকে যায়। এতে স্মামী গুরুত্বর আহত হয়ে অল্পের জন্য প্রানে বেঁেচ যান ।
সরকার যদি আমাদের জমি ও ঘর দান করেন,তাহলে থাকার কষ্ট দুর হবে। তিনি আরো জানান,মানবতার কান্ডারি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার মত অনেক অসহায় মানুষকে প্রতিবছর জমিসহ নতুন ঘর উপহার দিচ্ছেন।
এমন উপহার পেলে দুর্ভাগা জীবন থেকে পরিত্রান হত। পুটিমারী ইউপি চেয়ারম্যান আবু সায়েম লিটন জানান,জমি সংকটের কারনে বাস্তুহারা পরিবারটির বাড়ির তালিকায় নাম দেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন,সরকারিভাবে বাড়ি নির্মানে বরাদ্দ থাকলেও তেমন খাসজমির নেই। কেউ যদি ২শতাংশ জমি দান করেন ওই ভ’মিহীন পরিবারটিকে পূর্ণবাসিত করা হবে।