1. admin@daynikdesherkotha.com : Desher Kotha : Daynik DesherKotha
  2. arifkhanhrd74@gmail.com : desher kotha : desher kotha
  3. mdtanjilsarder@gmail.com : Tanjil News : Tanjil Sarder
কিশোরগঞ্জে খরার কবলে রোপা আমন ক্ষেত- বিপাকে কৃষক - দৈনিক দেশেরকথা
মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩, ০৩:২০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
আজ কৃষককুলের নয়নের মনি শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের ১০২ তম জন্মদিন সুন্দরগঞ্জে কাঁচাবাজারে প্রতিটি পণ্যের দাম বৃদ্ধি কিশোরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ব্যাংক কর্মকর্তা নিহত চুনারুঘাটে মা-বাবা-হারা তিন সন্তানের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত চলন্ত মোটরসাইকেলে বিষাক্ত সাপ বিড়ম্বনার শিকার আরোহী তুলাচারা মানব কল্যান ক্লাবের আয়োজনে স্বাধীনতা দিবস ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত কুড়িগ্রামে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত উলিপুরের ভাওয়াইয়া একাডেমিতে সম্বর্ধিত হলেন ভারতীয়  বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক দম্পতি  ইবিতে উদযাপিত হলো মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় ইতিহাসের কলঙ্কজনক গনহত্যার রাতে পিরোজপুরে জেলা রেজিষ্ট্রার কার্যালয়ে জ্বলছে জমকালো আলোকসজ্জা

কিশোরগঞ্জে খরার কবলে রোপা আমন ক্ষেত- বিপাকে কৃষক

আনোয়ার হোসেন
  • প্রকাশ শনিবার, ২০ আগস্ট, ২০২২

 107 বার পঠিত

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি>অনাবৃষ্টি খরা প্রখর রোদের কবলে পড়ে সদ্য রোপণকৃত রোপা আমন ক্ষেত বিবর্ন রঙ ধারণসহ ফেটে চৌচির হচ্ছে। এতে বিপাকে পড়েছেন নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের কৃষক।

তারা বলছেন, এসময় ক্ষেতে পানি থাকা দরকার। কিন্ত পানি না থাকায় চারা রক্ষায় ২/১ দিন পর স্যালো মেশিন,বৈদ্যুতিক পাম্প বসিয়ে ধান ক্ষেতে সেচ দেয়া হচ্ছে। তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় ঘন ঘন সেচ দেয়াও অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

এতে ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে আমন চাষ করা হচ্ছে। এ বছর আমন চাষ যেন মড়ার উপর খাড়ার ঘাঁ হয়ে দাড়িয়েছে।চলতি বছর ১৪ হাজার ৮৭০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন নিচু ধানী বিল এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বৃষ্টির অপেক্ষায় থেকে এসব মাঠের চারা রোপণ পিছিয়ে পড়ে। মাস খানেক আগে খানিকটা বৃষ্টির হলে ,এসব জমিতে কৃষক আমনের চারা রোপণ করেন।

এরপর পানির অভাবে মাঠের পর মাঠ আমন ক্ষেত ফেঠে চৌচিরসহ হলুদ রং ধারণ করেছে।পাশাপাশি উচু জমিতে সম্পূরক সেচের মাধ্যমে চাষকৃত আগাম জাতের আমন ধানের শীষ বের হচ্ছে।

তেল ও ইউরিয়া সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় এ সব জমিতে ৩থেকে৪ বার সেচ ,সার দিতে গিয়ে কৃষক/বর্গাচাষির নাভিশ্বাস দশা এমনটাই জানান,বাহাগিলী ইউপির উত্তর দুরাকুটি পশ্চিম পাড়ার গ্রামের বর্গাচাষি জেনারুল ইসলাম।

চাঁদখানা ইউপির সরঞ্চাবাড়ি গ্রামের বর্গাচাষি কেদার বর্মন বলেন, টাকার অভাবে ক্ষেতে পানি দিতে না পারায় ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। কমে গেছে চারার বাড়ন্ত। ধান না হইলে বাঁচার উপায় থাকবেনা।

এমন চিন্তায় মাথায় হাত দিয়ে ক্ষেতে মুষড়ে পড়েন তিনি। মাগুড়া ইউপির হঠাৎ পাড়া গ্রামের জামেনুর ও গাড়াগ্রাম ইউপির গাড়াগ্রাম দক্ষিন পাড়া গ্রামের কৃষক আজিজার রহমান জানান,বৃষ্টির উপর নির্ভর করে প্রতি বছর আমন চাষ করা হয়। কিন্ত এ বছর ভিন্ন চিত্র। বৃষ্টির অপেক্ষায় থেকে চারা রোপণ পিছিয়েছে । বিভিন্ন উপায়ে চারা রোপণ করলেও অনাবৃষ্টিকারণে জমি ফেটে যাচ্ছে। একদিকে তেল,ইউরিয়ার দাম বেড়েছে। এতে সেচ দেওয়ার অতিরিক্ত খরচ যোগাতে গিয়ে হিমশিম অবস্থা। কিছু দিন আগে ঘন্টা দরে সেচে টাকা লাগত ৮০ থেকে ৯০ টাকা।এখন লাগছে ১৫০টাকা।একবার স্যালো মেশিন ,বৈদ্যুতিক পাম্পে ১ বিঘা আমন ক্ষেতে সেচ দিত খরচ হচ্ছে ৭৫০টাকা। বৃষ্টি না হলে এভাবে সেচ দিয়ে ফসল রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।
উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিবুর রহমান বলেন,বৈরি আবহাওয়ায় এমন হচ্ছে। কৃষক বিভিন্ন উপায়ে পানি দিচ্ছে। তবে বৃষ্টির পূর্বাভাস দেখা যাচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে ২/১ দিনের মধ্যে বৃষ্টি নামবে। তাপদাহ মোকাবেলা করে আমন চাষে মাঠ পযায়ে উপ-সহকারী কৃষিকর্মকর্তাগণ কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছে।

দেশেরকথা/বাংলাদেশ

এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা

এই সাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।কপিরাইট @২০২০-২০২১ দৈনিক দেশেরকথা কর্তৃক সংরক্ষিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park