1. admin@daynikdesherkotha.com : Desher Kotha : Daynik DesherKotha
  2. arifkhanjkt74@gamil.com : arif khanh : arif khanh
কিশোরগঞ্জে খরার কবলে রোপা আমন ক্ষেত- বিপাকে কৃষক - দৈনিক দেশেরকথা
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০১:৪৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
মেট্রোরেলে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। কোটা সংস্কার আন্দোলনে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা লক্ষ্য করে তাণ্ডব আমার বিশ্বাস তারা ন্যায়বিচার পাবে, হতাশ হতে হবে না,জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীরা কোথাও আগুন কিংবা ভাঙচুর করেনি: ডিবিপ্রধান চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের বিষয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উলিপুরে আলোকিত শিশু কন্ঠ পরিষদের আয়োজনে পবিত্র  আশুরা পালিত পবিত্র আশুরা উপলক্ষে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ ছারছীনার পীর সাহেব হুজুর আর নেই দেশের সব স্কুল-কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা নলডাঙ্গায় ১১ অসহায় পরিবারের মাঝে চেক ও ঢেউটিন বিতরন

কিশোরগঞ্জে খরার কবলে রোপা আমন ক্ষেত- বিপাকে কৃষক

আনোয়ার হোসেন
  • প্রকাশ শনিবার, ২০ আগস্ট, ২০২২

 218 বার পঠিত

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি>অনাবৃষ্টি খরা প্রখর রোদের কবলে পড়ে সদ্য রোপণকৃত রোপা আমন ক্ষেত বিবর্ন রঙ ধারণসহ ফেটে চৌচির হচ্ছে। এতে বিপাকে পড়েছেন নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের কৃষক।

তারা বলছেন, এসময় ক্ষেতে পানি থাকা দরকার। কিন্ত পানি না থাকায় চারা রক্ষায় ২/১ দিন পর স্যালো মেশিন,বৈদ্যুতিক পাম্প বসিয়ে ধান ক্ষেতে সেচ দেয়া হচ্ছে। তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় ঘন ঘন সেচ দেয়াও অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

এতে ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে আমন চাষ করা হচ্ছে। এ বছর আমন চাষ যেন মড়ার উপর খাড়ার ঘাঁ হয়ে দাড়িয়েছে।চলতি বছর ১৪ হাজার ৮৭০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন নিচু ধানী বিল এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বৃষ্টির অপেক্ষায় থেকে এসব মাঠের চারা রোপণ পিছিয়ে পড়ে। মাস খানেক আগে খানিকটা বৃষ্টির হলে ,এসব জমিতে কৃষক আমনের চারা রোপণ করেন।

এরপর পানির অভাবে মাঠের পর মাঠ আমন ক্ষেত ফেঠে চৌচিরসহ হলুদ রং ধারণ করেছে।পাশাপাশি উচু জমিতে সম্পূরক সেচের মাধ্যমে চাষকৃত আগাম জাতের আমন ধানের শীষ বের হচ্ছে।

তেল ও ইউরিয়া সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় এ সব জমিতে ৩থেকে৪ বার সেচ ,সার দিতে গিয়ে কৃষক/বর্গাচাষির নাভিশ্বাস দশা এমনটাই জানান,বাহাগিলী ইউপির উত্তর দুরাকুটি পশ্চিম পাড়ার গ্রামের বর্গাচাষি জেনারুল ইসলাম।

চাঁদখানা ইউপির সরঞ্চাবাড়ি গ্রামের বর্গাচাষি কেদার বর্মন বলেন, টাকার অভাবে ক্ষেতে পানি দিতে না পারায় ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। কমে গেছে চারার বাড়ন্ত। ধান না হইলে বাঁচার উপায় থাকবেনা।

এমন চিন্তায় মাথায় হাত দিয়ে ক্ষেতে মুষড়ে পড়েন তিনি। মাগুড়া ইউপির হঠাৎ পাড়া গ্রামের জামেনুর ও গাড়াগ্রাম ইউপির গাড়াগ্রাম দক্ষিন পাড়া গ্রামের কৃষক আজিজার রহমান জানান,বৃষ্টির উপর নির্ভর করে প্রতি বছর আমন চাষ করা হয়। কিন্ত এ বছর ভিন্ন চিত্র। বৃষ্টির অপেক্ষায় থেকে চারা রোপণ পিছিয়েছে । বিভিন্ন উপায়ে চারা রোপণ করলেও অনাবৃষ্টিকারণে জমি ফেটে যাচ্ছে। একদিকে তেল,ইউরিয়ার দাম বেড়েছে। এতে সেচ দেওয়ার অতিরিক্ত খরচ যোগাতে গিয়ে হিমশিম অবস্থা। কিছু দিন আগে ঘন্টা দরে সেচে টাকা লাগত ৮০ থেকে ৯০ টাকা।এখন লাগছে ১৫০টাকা।একবার স্যালো মেশিন ,বৈদ্যুতিক পাম্পে ১ বিঘা আমন ক্ষেতে সেচ দিত খরচ হচ্ছে ৭৫০টাকা। বৃষ্টি না হলে এভাবে সেচ দিয়ে ফসল রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।
উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিবুর রহমান বলেন,বৈরি আবহাওয়ায় এমন হচ্ছে। কৃষক বিভিন্ন উপায়ে পানি দিচ্ছে। তবে বৃষ্টির পূর্বাভাস দেখা যাচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে ২/১ দিনের মধ্যে বৃষ্টি নামবে। তাপদাহ মোকাবেলা করে আমন চাষে মাঠ পযায়ে উপ-সহকারী কৃষিকর্মকর্তাগণ কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছে।

দেশেরকথা/বাংলাদেশ

এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা

এই সাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।কপিরাইট @২০২০-২০২৪ দৈনিক দেশেরকথা কর্তৃক সংরক্ষিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park