154 বার পঠিত
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি>এক ফসলি জমি আর বর্ষার আগেই ফসল ঘরে তুলতে আগাম ইরি-বোরো ধানের চারা রোপণে ব্যাস্ত সময় পার করছেন নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার কৃষক। চলতি বছর ১১হাজার ১শ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এদিকে দিন যতই গড়াচ্ছে ততই জেঁকে বসছে শীত। তবে শীতের কুয়াশাকে উপেক্ষা করে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কৃষকগণ জমিতে সেচ দিয়ে হাল চাষ,জমির আইল কোদাল দিয়ে কর্তন, সুষমমাত্রায় সার প্রয়োগ, সেচের জন্য ড্রেন নির্মাণ ও বৈদ্যুতিক পাম্প মেরামতসহ বীজতলা থেকে চারা তুলছেন ।
আবার অনেকে মই ও কোদাল দিয়ে জমির উঁচু-নিচু সমান করে বীজতলা তৈরি করে ফেলছেন বীজ। আগাম যারা বীজতলা করেছিলেন তাদের চারা বড় হতে শুরু করেছে। ওইসব কৃষক ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন নিচু এলাকার নদীর জলি,ধানী বিলে পানি কমে যাওয়ায় ওই সব জমি প্রস্তত করে পুরোদমে চলছে বোরো ধানের চারা রোপণের মহোৎসব। ধানের চারা রোপণকালে কথা হয়, উপজেলার বাহাগিলী ইউপি‘র উঃ দুরাকুটি ময়দান পাড়া গ্রামের কৃষক জাহেদুলের সাথে। তিনি জানান, বর্ষার আগে ফসল ঘরে তুলতে যৌবনশিরীর পানি শুন্য নদীর তলদেশের ২ বিঘা কর্দমাক্তয় বোরো ধান রোপণ করছেন।
এ আগাম ধান চাষে রোগ বালাই কম হয় এবং ফলনও ভাল হয়। রণচন্ডী উঃ বাফলা গ্রামের কৃষক অহেদুল জানান, চারা গাছ অনেকটা তৈরি হয়ে গেছে,এখন জমি প্রস্তুতের কাজ চলছে। দু থেকে তিন দিনের মধ্যে রোপণ কাজ শুরু হবে। শীতের প্রকোপ কম থাকায় বীজ তলার চারাগুলো সবুজ সমারোহে হুষ্ট-স্পুষ্ট হয়ে উঠেছে।
স্থানীয়রা জানান, গত মৌশুমে হাইব্রিড জাতের ১২০৫,জনকরাজ, হিরা টু, নাফকো, উফসি, ব্রি-৭৪,২৮,২৯,৯২,৮৮ধানের ফলন ও বাজার মূল্য ভালো পাওয়ায় চলতি বোরো মৌসুমে এ জাতের ধান চাষাবাদে কৃষকগণ আরো বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছে। অন্যান্য বছর কোল্ড ইনজুরিতে পচন লেগে বীজ চারা নষ্ট হয়ে যেতো। কিন্তু এবছর আবহাওয়া অনুক’লে থাকায় চারাও বেশ ভালো হয়েছে এবং সংকটের কোন আশষ্কা নেই।
এ ব্যাপাওে কৃষি অফিসার হাবিবুর রহমান জানান, মধ্য ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সময় হলো বোরো ধানের চারা রোপণের উপযুক্ত সময়। ইতিমধ্যে নিচু জমিতে ধানের চারা রোপণ শুরু হয়েছে। গতবছর ধানের ফলন ও ভালো দাম পেয়ে, চলতি বছর যথাসময়ে কৃষক পর্যায় কৃষি প্রণোদনার সার, বীজ,সরবরাহ করায় বোরো ধান চাষে কৃষকগণ আরো বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছে। মাঠ পর্যায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ ধান চাষে পদ্ধতি, রোগবালাইসহ নানা বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছে।সাথে ছবি আছে।