1. admin@daynikdesherkotha.com : Desher Kotha : Daynik DesherKotha
  2. arifkhanhrd74@gmail.com : desher kotha : desher kotha
  3. mdtanjilsarder@gmail.com : Tanjil News : Tanjil Sarder
কিশোরগঞ্জের গ্রামীণ জনপদ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে টাকুর - দৈনিক দেশেরকথা
মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩, ০২:৫১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
আজ কৃষককুলের নয়নের মনি শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের ১০২ তম জন্মদিন সুন্দরগঞ্জে কাঁচাবাজারে প্রতিটি পণ্যের দাম বৃদ্ধি কিশোরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ব্যাংক কর্মকর্তা নিহত চুনারুঘাটে মা-বাবা-হারা তিন সন্তানের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত চলন্ত মোটরসাইকেলে বিষাক্ত সাপ বিড়ম্বনার শিকার আরোহী তুলাচারা মানব কল্যান ক্লাবের আয়োজনে স্বাধীনতা দিবস ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত কুড়িগ্রামে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত উলিপুরের ভাওয়াইয়া একাডেমিতে সম্বর্ধিত হলেন ভারতীয়  বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক দম্পতি  ইবিতে উদযাপিত হলো মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় ইতিহাসের কলঙ্কজনক গনহত্যার রাতে পিরোজপুরে জেলা রেজিষ্ট্রার কার্যালয়ে জ্বলছে জমকালো আলোকসজ্জা

কিশোরগঞ্জের গ্রামীণ জনপদ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে টাকুর

আনোয়ার হোসেন
  • প্রকাশ রবিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২২

 58 বার পঠিত

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি> নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে গ্রামীণ জনপদ থেকে হারিয়ে যাওয়া বাংলার ঐতিহ্যের অন্যতম পাট থেকে চিকন সুতলি-দড়ি পাকানোর সনাতন পদ্ধতি টাকুর। যা আঞ্চলিক ভাষায় টাকুর বা টাকুরি নামে পরিচিত।

বাঁশের চিকন কাঠি ও দুই টুকরা বাঁশের বাতা কেটে ছোট করে মাঝখানে কিছুটা ছিদ্র করে তৈরি করা হতো টাকুর। উরুর উপর রেখে হাতের তালুতে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে পাটের আঁশ থেকে চিকন সুতলি-দড়ি পাকানো হতো। একসময় যন্ত্র বিহীন যুগে চিকন সুতলি-দড়ি পাকাতে টাকুরের কোনো বিকল্প ছিল না।

কিশোরগঞ্জে গ্রামাঞ্চলের গৃহস্থালি পরিবারগুলোর সাংসারিক প্রয়োজন মেটাতে অনেকেই এ ক্ষুদ্র শিল্পকর্মের উপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করতো। তবে বর্তমানে সনাতন পদ্ধতির লোকজ ঐতিহ্যের টাকুর বিলুপ্তপ্রায়।

সরেজমিনে রবিবার দেখা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের সীট রাজিব, বাংলাবাজার, দুন্দীপাড়াা গ্রামের মাদুর (সপ) বুননে চিকন সুতলির প্রয়োজনে টাকুরের বিকল্প না থাকায় প্রাচীন এ ঐতিহ্যকে আজও আকরে ধরে আছেন ওই এলাকার কারিগররা।

এসময় দুন্দি পাড়া গ্রামের প্রবীণ কৃষক আজগার আলী বলেন,বাপ-দাদার সময় দেখেছি বাঁশ কেটে তা থেকে চিকন কাঠি ও বাতা কেটে ছোট করে টাকুর তৈরী করা হত। তবে বর্তমানে এখন আর তেমন একটা চোখে পড়েনা। কিন্তু সময় অন্তরে সেই পাকানোর কৌশলে এসেছে নানা পরিবর্তনা। হস্তশক্তির স্থলে জায়গা করে নিয়েছে যান্ত্রিক শক্তি।

একই গ্রামের মাদুর বুননের কারিগর সাত্তার হোসেন বলেন,বাংলার ঐতিহ্যের পাশাপাশি মাদুর বুননে সুতলি ব্যবহারে টাকুর ধরে রেখেছি।

কিশোরীগঞ্জ বহুমূখী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভকেশনাল শাখার সহকারী শিক্ষক শ্রী প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন,কালের বির্বতনে হারিয়ে যেতে বসেছে সনাতন পদ্ধতির গ্রামীণ সংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী টাকুর।

তারপরও অনেক কারিগর বাংলার ঐতিহ্যের অস্তিত্ব ধরে রেখেছে। এখন গ্রামীণ অতীত সংস্কতির অনেক কিছুই ঠাঁই হয়েছে যাদুঘরসহ চারুকারু পাঠে।

দেশেরকথা/বাংলাদেশ

এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা

এই সাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।কপিরাইট @২০২০-২০২১ দৈনিক দেশেরকথা কর্তৃক সংরক্ষিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park