1. admin@daynikdesherkotha.com : Desher Kotha : Daynik DesherKotha
  2. arifkhanjkt74@gamil.com : arif khanh : arif khanh
কিশোরগঞ্জের গ্রামীণ জনপদ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে টাকুর - দৈনিক দেশেরকথা
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
মেট্রোরেলে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। কোটা সংস্কার আন্দোলনে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা লক্ষ্য করে তাণ্ডব আমার বিশ্বাস তারা ন্যায়বিচার পাবে, হতাশ হতে হবে না,জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীরা কোথাও আগুন কিংবা ভাঙচুর করেনি: ডিবিপ্রধান চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের বিষয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উলিপুরে আলোকিত শিশু কন্ঠ পরিষদের আয়োজনে পবিত্র  আশুরা পালিত পবিত্র আশুরা উপলক্ষে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ ছারছীনার পীর সাহেব হুজুর আর নেই দেশের সব স্কুল-কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা নলডাঙ্গায় ১১ অসহায় পরিবারের মাঝে চেক ও ঢেউটিন বিতরন

কিশোরগঞ্জের গ্রামীণ জনপদ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে টাকুর

আনোয়ার হোসেন
  • প্রকাশ রবিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২২

 185 বার পঠিত

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি> নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে গ্রামীণ জনপদ থেকে হারিয়ে যাওয়া বাংলার ঐতিহ্যের অন্যতম পাট থেকে চিকন সুতলি-দড়ি পাকানোর সনাতন পদ্ধতি টাকুর। যা আঞ্চলিক ভাষায় টাকুর বা টাকুরি নামে পরিচিত।

বাঁশের চিকন কাঠি ও দুই টুকরা বাঁশের বাতা কেটে ছোট করে মাঝখানে কিছুটা ছিদ্র করে তৈরি করা হতো টাকুর। উরুর উপর রেখে হাতের তালুতে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে পাটের আঁশ থেকে চিকন সুতলি-দড়ি পাকানো হতো। একসময় যন্ত্র বিহীন যুগে চিকন সুতলি-দড়ি পাকাতে টাকুরের কোনো বিকল্প ছিল না।

কিশোরগঞ্জে গ্রামাঞ্চলের গৃহস্থালি পরিবারগুলোর সাংসারিক প্রয়োজন মেটাতে অনেকেই এ ক্ষুদ্র শিল্পকর্মের উপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করতো। তবে বর্তমানে সনাতন পদ্ধতির লোকজ ঐতিহ্যের টাকুর বিলুপ্তপ্রায়।

সরেজমিনে রবিবার দেখা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের সীট রাজিব, বাংলাবাজার, দুন্দীপাড়াা গ্রামের মাদুর (সপ) বুননে চিকন সুতলির প্রয়োজনে টাকুরের বিকল্প না থাকায় প্রাচীন এ ঐতিহ্যকে আজও আকরে ধরে আছেন ওই এলাকার কারিগররা।

এসময় দুন্দি পাড়া গ্রামের প্রবীণ কৃষক আজগার আলী বলেন,বাপ-দাদার সময় দেখেছি বাঁশ কেটে তা থেকে চিকন কাঠি ও বাতা কেটে ছোট করে টাকুর তৈরী করা হত। তবে বর্তমানে এখন আর তেমন একটা চোখে পড়েনা। কিন্তু সময় অন্তরে সেই পাকানোর কৌশলে এসেছে নানা পরিবর্তনা। হস্তশক্তির স্থলে জায়গা করে নিয়েছে যান্ত্রিক শক্তি।

একই গ্রামের মাদুর বুননের কারিগর সাত্তার হোসেন বলেন,বাংলার ঐতিহ্যের পাশাপাশি মাদুর বুননে সুতলি ব্যবহারে টাকুর ধরে রেখেছি।

কিশোরীগঞ্জ বহুমূখী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভকেশনাল শাখার সহকারী শিক্ষক শ্রী প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন,কালের বির্বতনে হারিয়ে যেতে বসেছে সনাতন পদ্ধতির গ্রামীণ সংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী টাকুর।

তারপরও অনেক কারিগর বাংলার ঐতিহ্যের অস্তিত্ব ধরে রেখেছে। এখন গ্রামীণ অতীত সংস্কতির অনেক কিছুই ঠাঁই হয়েছে যাদুঘরসহ চারুকারু পাঠে।

দেশেরকথা/বাংলাদেশ

এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা

এই সাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।কপিরাইট @২০২০-২০২৪ দৈনিক দেশেরকথা কর্তৃক সংরক্ষিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park