183 বার পঠিত
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। অনুমোদন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৮ হাজার ৪২৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এরমধ্যে সরকারি তহবিল থেকে সাত হাজার ৯৩৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ সহায়তা থেকে ৪৮৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় একনেক সভা। এতে প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার। এটি চলতি অর্থবছরের ৮ম সভা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা সচিব সত্যজিত কর্মকার, কৃষি, পানি ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য আবদুল বাকী, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন এবং ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য ড. মোহাম্মদ ইমদাদউল্লাহ মিয়ান।
একনেক সভায় নতুন ১০টি প্রকল্প উত্থাপন করা হয়েছে। তারমধ্যে ভৌত অবকাঠামো বিভাগের তিনটি। কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের পাঁচটি। আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের একটি। শিল্প ও শক্তি বিভাগের একটি। তাছাড়া মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য একটি ও একনেকে অবগতির জন্য দুইটি প্রকল্প উপস্থাপন করা হয়েছে।
ভৌত অবকাঠামো বিভাগের তিনটি প্রকল্পের মধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে মিশরে কায়রোতে বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্স এবং আবাসিক ভবন নির্মাণ। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ২০টি মিটারগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ এবং ১৫০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ সংগ্রহ (প্রথম সংশোধিত)।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের কাশিনাথপুর-দাশুরিয়া-নাটোর-রাজশাহী-নবাবগঞ্জ-কানসাট-সোনামসজিদ-বালিয়াদী বর্ডার (এন-৬) জাতীয় মহাসড়ক যথাযথ ও প্রস্ততায় উন্নীতকরণ (নবাবগঞ্জ অংশ)।
কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের মধ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যমান সরকারি মৎস্য খামারসমূহের সক্ষমতা ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে অবকাঠামো উন্নয়ন (প্রথম পর্যায়) ও ই¤প্রুভমেন্ট অব ফিস ল্যান্ডিং সেন্টার অব বাংলাদেশ ফিশারিস ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন ইন কক্সবাজার ডিস্ট্রিক্ট। স্থানীয় সরকার বিভাগের বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের জেলাসমূহের পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন, ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স নির্মাণ (তৃতীয় পর্যায়) এবং প্রোমোটিং রেজিলেন্স ফর ভালনারেবল থ্রট এক্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার ই¤প্রুভড স্কিলস এন্ড ইনফরমেশন (তৃতীয় পর্যায়)।
আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ৮টি বিভাগীয় শহরে পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার, হৃদরোগ এবং কিডনি চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন (প্রথম সংশোধিত)। শিল্প ও শক্তি বিভাগের মধ্যে রয়েছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ঢাকার মিরপুরে বাংলাদেশ তাঁতে বোর্ড কমপ্লেক্স স্থাপন।
মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের বাংলাদেশ বেতার শাহবাগ কমপ্লেক্স, আগারগাঁও স্থানান্তর, নির্মাণ ও আধুনিকায়ন (প্রথম পর্যায়) ৩য় সংশোধিত।
প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন সম্পর্কে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ২০২৬ সালে এলডিসি উত্তোরণ পরবর্তী সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি অল্প ব্যয় করলে যে প্রকল্পগুলো শেষ করা যাবে সেগুলো দ্রুত শেষ করার পরামর্শ দিয়েছেন।
এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ভবন নির্মাণ কাজ শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি বৃষ্টির পানি ধরে রাখাতে ও সোলার ব্যবস্থা রাখারও পরামর্শ দিয়েছেন।