1. admin@daynikdesherkotha.com : Desher Kotha : Daynik DesherKotha
  2. arifkhanjkt74@gamil.com : arif khanh : arif khanh
  3. alaminjhalakati@gmail.com : Al-Amin Khan : Al-Amin Khan
টিনের নিচে পলিথিন টানিয়ে শত পরিবারের বসবাস। - দৈনিক দেশেরকথা
মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৩:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্বৈরাচার পতনে বাক স্বাধীনতা  ফিরে পেয়েছে গণমাধ্যম কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই স্কুলছাত্র নিহত দ্রুত শুরু হবে কালুরঘাট সেতুর নির্মাণ কাজ গলাচিপায় মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত সাবেক মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রীসহ ১৬ আসামির শুনানি আজ পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটে বসানো হতো আওয়ামী লীগ অনুগত্যদের এখন টিভির রাজশাহী প্রতিনিধি মাসুমা আক্তার আর নেই কেন চিনি খাবেন না নতুন রাজনৈতিক দলে যোগদানের বিষয়ে যা বললেন উপদেষ্টা নাহিদ নাগরিকদের তথ্য ফাঁস বাঁচাতে এনআইডি ভেরিফিকেশনে নতুন সিদ্ধান্ত: ইসি সৈয়দপুরে বিএনপির মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষে কিশোরগঞ্জে শুভেচ্ছা র‍্যালি

টিনের নিচে পলিথিন টানিয়ে শত পরিবারের বসবাস।

রফিকুল ইসলাম মনির
  • প্রকাশ মঙ্গলবার, ২ নভেম্বর, ২০২১

 171 বার পঠিত

গৌরনদী প্রতিনিধি >আশ্রায়নের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার’ এ শ্লোগানটি আবাসন প্রকল্পে খোঁদাই করে বাঁধানো থাকলেও নির্মাণের ১৬ বছর পরেও জেলার গৌরনদী পৌরসভার বড় কসবা আবাসন প্রকল্পটি এখন পর্যন্ত সংস্কার করা হয়নি।ফলে আবাসন প্রকল্পের শতাধিক বসতঘরগুলো এখন বসবাসের জন্য সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পরেছে। প্রতিটি ঘরের চালার নিতে বৃষ্টির পানি থেকে রেহাই পেতে অধিকাংশ বাসিন্দারা পলিথিন টানিয়েছেন। যাদের পলিথিন কেনার সামার্থ নেই তারা টিনের চালার ছিদ্রের নিচে পাতিল পেতে রেখেছেন। সব মিলিয়ে ওই আবাসনে বসবাসরত একশ’ পরিবারের প্রায় সাতশ’ সদস্যদের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে। ভূক্তভোগীরা জরুরি ভিত্তিতে আবাসন প্রকল্পটি সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সোমবার সকালে সরেজমিনে জানা গেছে, ২০০৫ সালে গৌরনদী পৌরসভার টরকী বন্দর সংলগ্ন পালরদী নদীর পূর্ব পাড়ে বড় কসবা আবাসন প্রকল্পটি নির্মাণ করা হয়। ২০০৬ সালে প্রকল্পটি উদ্বোধণ করেন তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহফুজুর রহমান। শুরু থেকেই আবাসনটিতে শতাধিক পরিবার বসবাস করে আসছেন।

আবাসন প্রকল্পের সভাপতি আবুল কাসেম সরদার জানান, ২০০৫ সালে প্রকল্পের বসতঘরগুলো নির্মাণের পর থেকে অদ্যবধি কোন সংস্কার না করায় ঘরগুলো জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। আবাসনের প্রতিটি ঘরে টিনের চালায় অসংখ্য ছোট-বড় ছিদ্র হয়ে গেছে। ফলে একদিকে ঘরে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে যেমন রাতের চাঁদ দেখা যায়, তেমনি বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি নামলেই ঘরের আসবাবপত্র ভিজে একাকার হয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, বৃষ্টির পানি থেকে ঘরের মালামাল রক্ষায় অধিকাংশ পরিবার চালের টিনের নিচে পলিথিন টানিয়েছেন। এছাড়া যাদের পলিথিন কেনার সামর্থ্য নেই তারা টিনের ছিদ্রের নিচে সিলভারের পাতিল পেতে পানি আটকাচ্ছেন। ইতোমধ্যে অনেক ঘরের টিনের বেড়া ও বাথরুমের চালা খসে পরেছে। আবাসনের একমাত্র কবরস্থানটি পালরদী নদীর ভাঙনের কবলে পরেছে। একমাত্র মসজিদের চুনকাম খসে পরতে শুরু করেছে।

অপরদিকে আবাসন প্রকল্পে স্থায়ীভাবে কোন স্কুল নির্মাণ না হওয়ায় শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে আবাসনের কোমলমতি শিশুরা। দীর্ঘদিন আবাসনের জরাজীর্ণ কমিউনিটি সেন্টারটিতে অস্থায়ী স্কুল পরিচালনা করা হলেও অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় কমিউনিটি সেন্টারের স্কুলটিও বন্ধ রয়েছে।

আবুল কাসেম সরদার আরও জানান, টরকীর চর থেকে আবাসন কেন্দ্রে যাতায়াতের জন্য একমাত্র সড়কটি দীর্ঘবছর যাবত বেহাল অবস্থায় রয়েছে। ফলে তাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া সরকারের সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা থেকে আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দারা বঞ্ছিত রয়েছেন। এ আবাসন প্রকল্পে বসবাসরত ভূমিহীন অধিকাংশ পরিবারের গৃহকর্তা রিকসা ও ভ্যান চালিয়ে, দিনমজুরী করে কিংবা ভ্রাম্যমাণ হকার হিসেবে উপার্জন করে কোন একমতে, যেমন নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থায় সংসার পরিচালনা করছেন। আবাসনের সমস্যাগুলো জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানো হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

এ বিষয়ে গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস বাংলাদেশের খবরকে বলেন, ইতোমধ্যে আবাসন কেন্দ্রটি পরিদর্শন করা হয়েছে। আবাসনের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছে।

দেশেরকথা/বাংলাদেশ

এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা

এই সাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।কপিরাইট @২০২০-২০২৪ দৈনিক দেশেরকথা কর্তৃক সংরক্ষিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park