131 বার পঠিত
নবগঠিত নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা তাদের দায়িত্ব-কর্তব্য সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবেন এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরণ কারার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। দেশে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে আগামীকাল (বুধবার) ২ মার্চ ‘জাতীয় ভোটার দিবস-২০২২’ উপলক্ষে মঙ্গলবার এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, রক্ষা করব ভোটাধিকার’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দেশে চতুর্থবারের মতো ‘জাতীয় ভোটার দিবস’ উদযাপন একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
দেশের জনসাধারণ বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তি ও ভোটাধিকার প্রয়োগের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রতিপাদ্যটি যথার্থ হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় একজন ভোটার তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করে সাংবিধানিক দায়িত্বপালন করেন এবং তার নির্বাচিত প্রতিনিধির মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনায় অংশগ্রহণ করে থাকেন। এ প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচন কমিশন নিয়মিত ভিত্তিতে যোগ্য নাগরিকদের ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তি; মৃত ভোটারের নাম কর্তন ও স্থানান্তরিত ভোটারদের স্ব স্ব ভোটার এলাকায় নাম স্থানান্তরের মাধ্যমে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় জাতীয় ভোটার দিবসে হালনাগাদ কার্যক্রমের আওতায় অন্তর্ভুক্ত ভোটারদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ একটি প্রশংসনীয় অর্জন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সর্বশেষ ২০১৯ সালের হালনাগাদকরণ কার্যক্রমে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে নিবন্ধিতদের এবং ২০২২ সালের ২ মার্চ পর্যন্ত পরিচালিত হালনাগাদ কার্যক্রমে নিবন্ধিতদের রিভাইজিং অথরিটির নিকট উত্থাপিত দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তির পর এই ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকাভুক্তির পাশাপাশি নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্রও প্রদান করে থাকে। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বের সকল নাগরিকের পরিচিতি সংক্রান্ত ডেমোগ্রাফিক এবং ছবি ও আঙ্গুলের ছাপসহ অন্যান্য বায়োমেট্রিক তথ্য কম্পিউটারভিত্তিক ডাটাবেইজে সংরক্ষণ করছে, যা সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে নাগরিক পরিচিতি যাচাই ও সেবা নিশ্চিত করছেন।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়নের পাশাপাশি সঠিকভাবে ও দ্রুততম সময়ে জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত সেবা প্রদানে নির্বাচন কমিশন জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ সকল পর্যায়ের নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। নির্বাচন কমিশন তাদের সেবা কার্যক্রমে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার এবং ভোটগ্রহণ পদ্ধতিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার শুরু করেছে, যা সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহায়ক।
নির্বাচন কমিশনকে তাদের এ উদ্যোগের জন্য সাধুবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রপতি ‘জাতীয় ভোটার দিবস-২০২২’ উদযাপনে সব কার্যক্রমের সফলতা কামনা করেন।