1. admin@daynikdesherkotha.com : Desher Kotha : Daynik DesherKotha
  2. arifkhanjkt74@gamil.com : arif khanh : arif khanh
  3. alaminjhalakati@gmail.com : Al-Amin Khan : Al-Amin Khan
অসময়ে তরমুজ চাষে সফল কটিয়াদীরের হাদিউল ইসলাম - দৈনিক দেশেরকথা
সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:৫৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
স্বৈরাচার পতনে বাক স্বাধীনতা  ফিরে পেয়েছে গণমাধ্যম ধানমন্ডি ৩২ নিয়ে ভারত সরকারের বিবৃতি, যা বললেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবার ম্যাটস কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের লাঠিপেটা সাংবাদিকের উপর হামলার প্রতিবাদে গনমাধ্যমকর্মীদের মানব বন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান এবার বরিশালে ভক্তদের ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছে মুশফিকরা পরীমনির আক্ষেপ সায়েন্স ল্যাবে সিটি ও আইডিয়াল কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ সরকারি কর্মকতা-কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতার বিষয়ে যা বললেন অর্থ উপদেষ্টা কুয়াকাটা পর্যটন ব্যবসায়ির উপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন  ফান প্যারাডাইস পার্কে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের বনভোজন  কলাপাড়ায় অটোভ্যানের চাকায় ওড়না পেচিয়ে  পরীক্ষার্থীর মৃত্যু।

অসময়ে তরমুজ চাষে সফল কটিয়াদীরের হাদিউল ইসলাম

মোঃ সাইফুল ইসলাম
  • প্রকাশ শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২২

 211 বার পঠিত

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি> অসময়ে মালচিং পদ্ধতিতে সুগার কিং জাতের তরমুজ চাষে করে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার কৃষক হাদিউল ইসলামের বাজিমাত।

কিশোরগঞ্জেরকটিয়াদী উপজেলার মসুয়া ইউনিয়নের পুং মসুয়া গ্রামের হাদিউল ইসলাম সফল অধিকারী। মাত্র ৫০ শতাংশ জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন তিনি। এই প্রথমবার বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও অসময়ে তরমুজ চাষ করে সফল হয়েছেন তিনি। মাত্র ৭৫ দিনে উৎপাদন ও দাম ভালো হওয়ায় খুশি কৃষক। তরমুজের বাম্পার ফলন ও লাভজনক হওয়ায় এলাকার অনেকেই তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়েছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়,কটিয়াদী উপজেলার মসূয়া ইউনিয়নের পং মসূয়া গ্রামে এ বছর প্রথম পরীক্ষামুলক চাষাবাদ শুরু হয়েছে। প্রবাস ফেরত হাদিউল ইসলামের জমিতে কৃষি অফিসের সহায়তায় চাষ শুরু হয়। প্রথমেই আশানুরূপ সাফল্য মিলেছে। সঠিক পরিচর্যা ও রোগবালাই
দমনের ফলে ফলন ভালো হয়েছে। ফলে অসময়ে তরমুজ চাষের জনপ্রিয়তা বাড়বে এমনটাই আশা কৃষি বিভাগের।

কৃষক হাদিউল ইসলাম বলেন, ৫০ শতাংশ জমিতে উচ্চমূল্যের তরমুজ চাষ করেছি কৃষি বিভাগের সহযোগিতায়। রোপণকৃত গাছগুলোতে এখন তরমুজ পরিপক্ষ হতে শুরু করেছে। তরমুজ চাষে ১ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে, এখন পর্যন্ত যা বিক্রি করছি তার পরিমাণ দেড় লাখ টাকা হবে। বাজার ভাল থাকলে সাড়ে ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা বিক্রি হবে।

অল্প সময়ে ভালো ফলন হয়েছে। বর্তমান বাজারে তরমুজেরদামও বেশ ভালো পাওয়া যাবে। কেজি ৬০-৭০ টাকা প্রকার ভেদে। প্রতিটি তরমুজ গড়ে ১৬০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে তুলতে হয় না। বাগান থেকেই পাইকাররা কিনে নিয়ে যাচ্চে। ফলে বাড়তি খরচও লাগছে না।

স্থানীয় কৃষকরা বলেন,বীজ রোপনের ত্রিশ দিনের মধ্যে ফুল ও ফল আসে। আর দুই মাসের মধ্যে ফল বিক্রির উপযোগী হয়। তাই আগামীতে বৃহত্তর পরিসরে এ তরমুজের আবাদ করব।

মসুয়া ব্লকের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা শংকর কুমার সরকার জানান,আমি সবসময়ই তদারকি করেছি। ফলন শতভাগ হয়েছে ঠিকঠাক পরিচর্যার কারণে কৃষক এখন এর সুফল ভোগ করছেন। উপজেলায় প্রথম উচ্চ ফলন শীল ফসল হিসেবে এই তরমুজের চাষে সাফল্য এসেছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে কৃষক লাভবান হবে। ফলে এলাকার অনেকেই আগ্রহী হয়ে উঠেছে।

উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মুকশেদুল হক জানান, এসব উন্নত জাতের বীজ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগ্রহ করে কৃষকদের অফ সিজন তরমুজ চাষে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে এবং কৃষকরা চাষ করে সফলও হয়েছেন। তরমুজ একটি অর্থকরী ফসল। তরমুজ ভিটামিন ও খনিজ উপাদান সমৃদ্ধ। অর্থনৈতিক ভাবে বেকার যুবক ও কৃষককে স্বাবলম্বী করে তুলতে তরমুজ চাষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
পালন করতে পারে।

দেশেরকথা/বাংলাদেশ

এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা

এই সাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।কপিরাইট @২০২০-২০২৪ দৈনিক দেশেরকথা কর্তৃক সংরক্ষিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park