90 বার পঠিত
হবিগঞ্জ-৪ আসনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার শেষে এ আসেনে সতন্ত্র ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আট জন প্রার্থী আছেন। এর আগে সতন্ত্র প্রার্থী মো: জামাল হোসেনের প্রার্থীতা বাতিল হয় এবং জাকের পার্টির সৈয়দ আবুল খায়ের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। মাধবপুর ও চুনারুঘাট উপজেলা (সংসদীয় আসন -২৪২) নিয়ে গঠিত এই নির্বাচনী এলাকার ভোটার সংখ্যা প্রায় পাঁচ লাখ। চা বাগান অধ্যুষিত এই আসনটিকে আওয়ামী লীগের নিশ্চিত আসন হিসেবে ধরা হয়। কারণ স্বাধীনতার পরে গত এগারটি সংসদ নির্বাচনে আট বারই আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এই আসনে বর্তমান সাংসদ আওয়ামীলীগ মনোনীত দলীয় প্রার্থী বিমান ও পর্যাটন প্রতিমন্ত্রী মো: মাহবুব আলী (নৌকা), স্বতন্দ্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সমুন (ঈগল), জাতীয় পার্টির দলীয় প্রার্থী আহাদ উদ্দিন চৌধুরী (লাঙ্গল)।
বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো:আল আমিন (ডাব), ইসলামি ঐক্যজোট বাংলাদেশের আবু ছালেহ (মিনার), বিএনএম এর মো: মুখলেচুর রহমান (নোঙ্গর), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মো: আব্দুল মুমিন( চেয়ার) ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক ঐকজোটের মো: রাশেদুল ইসলাম খোকন (ছড়ি) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বর্তমানে কাগজে কলমে আট জন প্রার্থী থাকলেও বেশীরভাগ প্রার্থী নেই ভোটের মাঠে। ভোটারদের সাথে তাদের কোন যোগাযোগ নেই। সাধারণ ভোটাররা বেশীরভাগ প্রার্থীকেই চিনেন না। নির্বাচনের মাঠে সক্রিয় আছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মো: মাহবুব আলী ও সতন্ত্র প্রার্থী অনলাইন সেলিব্রিটি যুবলীগ নেতা ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইদুল হক সুমন। ব্যারিস্টার সুমন ঈগল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হওয়ার পর থেকে এই দুজন প্রার্থী ও তাদের কর্মীরা গ্রামে গ্রামে ঘুরে সাধারণ ভোটারদের নিজেদের পক্ষে টানার চেষ্টা করছেন। সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে এই দুই জনের মধ্যেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে বুঝা যাচ্ছে বাকি।
ছয়জন প্রার্থীর চোখে পড়ার মতো কোন কার্যক্রম নেই উপজেলার চা বাগান ও বেশ কয়েকটি হাট-বাজারে ঘুরে লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিএনপি নির্বাচনে না আসায় বিএনপি পন্থী ভোটারদের একটি অংশ ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইদুল হক সুমনকে ভোট দিবেন। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের মন্ত্রী বিরোধী একটি অংশ ব্যারিস্টার সুমনকে সমর্থন করছেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক হিসেবে পরিচিত চা বাগান ও আওয়ামী লীগ পন্থী বেশিরভাগ ভোটার নৌকায় ভোট দিবেন। এছাড়া ক্লিন ইমেজ এবং ব্যাক্তিগত ও পারিবারিক সম্পর্কের কারণে বিএনপি পন্থী ভোটারদের একটি অংশ গোপনে এডভোকেট মো: মাহবুব আলী’র পক্ষে কাজ করছেন। মূলত বিএনপি পন্থী ভোটারদের কেন্দ্রে উপস্থিতির উপরেই জয় পরাজয় নির্ভর করবে। তেলিয়াপাড়া চা বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি খোকন তাঁতি জানান বঙ্গবন্ধু আমাদের ভোটের অধিকার দিয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর কন্যা আমাদের সুখে দুঃখে পাশে আছেন তাই আমাদের নৌকার বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। চা শ্রমিকরা সবসময় নৌকার সাথে ছিল, নৌকার সাথে থাকবে। তেলিয়াপাড়া বাজারের ব্যাবসায়ী মকসুদ আলী বলেন, নৌকার প্রার্থীর সঙ্গে ব্যারিস্টার সুমন এর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। বাকি ছয়জনকে কেউ চিনে না। কাপড় ব্যাবসায়ী জামিল আহমেদ বলেন, নৌকা ও ঈগল প্রতীকে প্রার্থী ছাড়া অন্যদের চিনি না এই দুই জনের মধ্যেই তিব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।