85 বার পঠিত
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় উত্তর চৌমুহনী, কলেজ রোড, হাটবন্দ, পানিদার, কাঠালতলী, হাকালুকিসহ বিভিন্ন এলাকায় বাসা-বাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। তলিয়ে গেছে উপজেলার ফসলি জমি এবং পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ী ও স্থানীয় জনসাধারণ।
জানা যায়, ঘুর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে রোববার রাত থেকে টানা বৃষ্টি শুরু হয়। প্রায় ৪৮ ঘন্টার টানা বৃষ্টিপাতের কারণে পাথারিয়া পাহাড় থেকে নেমে আসা পানি মঙ্গলবার,বুধবার ও বৃহস্পতিবার সকাল পৌর শহরের উত্তর চৌমুহনী, কলেজ রোড, আদিত্যের মহাল, হাটবন্দ, পানিদার এলাকায় প্রবেশ করতে থাকে। যারফলে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় জনসাধারণ।
এদিকে বড়লেখা সরকারি ডিগ্রি কলেজ, নারী শিক্ষা একাডেমিতে পানি প্রবেশ করতে দেখা গেছে তাছাড়া বড়লেখা-কুলাউড়া সড়কের কাঠালতলী ও শাহবাজপুর সড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আব্দুল আজিজ জানান, বিভিন্ন ছড়া পর্যাপ্ত খনন না হওয়ায় উজান থেকে নেমে আসা পানিতে এলাকার লোকজন পানিবন্ধি হয়ে পড়েছেন। ফসলি জমি, পুকুর, ফিসারীসহ অনেক ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। পৌর শহরের উত্তর চৌমুহনীর একাংশে প্রধান সড়কের উপর দিয়ে ও জফরপুর আঞ্চলিক সড়কে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। অনেক লোকজন ঘরবাড়ি ফেলে অন্যত্র স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।
পৌর শহরে পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় ও বিভিন্ন ছোট-বড় ছড়া অবৈধভাবে ভরাট করে বাসা-বাড়ি স্থাপনা তৈরি করার কারণে পানি ঠিকমতো নিচ দিকে প্রবাহিত হতে পারছে না। সেজন্য অতি বৃষ্টিপাত হলেই উত্তর চৌমুহনীর একাংশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। তবে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে নিমজ্জিত’র পরিমাণ আরও বাড়বে।
নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) বড়লেখা শাখার সভাপতি তাহমীদ ইশাদ রিপন বলেন, প্রাকৃতিক দূর্যোগে সবসময় নিসচা মানুষের কল্যাণে কাজ করে। টানা বৃষ্টিতে পৌর শহরের একাংশে পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে কয়েকশো পরিবার। নিসচা কর্মীরা গত দু’দিন থেকে পানিবন্ধিদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছে। তাছাড়া সড়কে পানি থাকা অবস্থায় ঝুকি নিয়ে অনেকেই যানবাহন চালনা করছেন যা অত্যন্ত বিপদজনক। তিনি সকলকে সতর্কতা অবলম্বন করে যানবাহন চালানোর জন্য অনুরোধ জানান এবং পানিবন্ধি মানুষের মাঝে মানবিক সহায়তা প্রদানে সকলের সু-দৃষ্টি কামনা করেন।
বড়লেখা পৌরসভার মেয়র আবুল ইমাম মোঃ কামরান চৌধুরী বলেন, পৌর এলাকার প্লাবিত অংশে সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। পানিবন্দি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সহায়তার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে বড়লেখা সরকারি ডিগ্রি কলেজে পানিবন্ধিদের আপাতত আশ্রয় এবং তাদের পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
এসময় তিনি আরোও বলেন, ছোট-বড় ছড়া অবৈধভাবে ভরাট করে স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে। যার ফলে পানি নিষ্কাশনে ব্যাহত হচ্ছে তাছাড়া পানি নিষ্কাশনের জন্য স্থানীয়দের সহযোগিতা কামনা করেও কোন ফল পাইনি। পৌর শহরে ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকলেও যথাযথ পানি নিষ্কাশনের উপযোগী নয় তাই ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ প্রয়োজনীয় স্থানগুলো মেরামতের জন্য দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।